গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার সাহেবজাদা কুতুবুল মাশায়িখ হযরত আব্দুর রাযযাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, “আমার সম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউসুল আ’যম হযরত বড়পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদিন জুমুয়ার নামায পড়ার জন্য বের হলেন। আমি এবং আমার আরো দুই ভাই হযরত আব্দুল ওহাব রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ঈসা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে ছিলাম। পথিমথ্যে বাদশাহর তিনটি শরাবের পাত্র আমাদের নিকট দিয়ে বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেগুলো হতে দুর্গন্ধ এত অধিক মাত্রায় বের হচ্ছিল বাকি অংশ পড়ুন...
দুনিয়া একটি মৃত প্রাণী থেকেও অতি নিকৃষ্ট
১৭ই মুহররম, ১৪৪২ হিজরী (ইয়াওমুল আহাদ)
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِجَدْىٍ اَسَكَّ مَيِّتٍ فَقَالَ اَيُّكُمْ يُحِبُّ اَنَّ هٰذَا لَهٗ بِدِرْهَمٍ فَقَالُوْا مَانُحِبُّ اَنَّهٗ لَنَا بِشَىْءٍ قَالَ فَـوَاللهِ لَلدُّنْـيَا اَهْوَنُ عَلَى اللهِ مِنْ هٰذَا عَلَيْكُمْ. (مسلم شريف)
হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একবার একটা মৃত কানকাটা বকরীর বাচ বাকি অংশ পড়ুন...
একদিন একজন ক্ষুধার্ত যুবক দজলা নদীর তীর দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ উনার চোখে পড়ল, নদীর মধ্যে একটি আপেল ফল ভাসছে। ক্ষুধা এত অধিক ছিল যে, তিনি বেশি কিছু না ভেবে আপেলটি তুলে খেয়ে ফেললেন। কিন্তু রাত্রে বিছানায় শুয়ে চিন্তা করতে লাগলেন, আপেলটি খাওয়া কতটুকু জায়েয হলো। যদিও পবিত্র শরীয়ত অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি ৩ দিন না খেয়ে থাকে তার জন্য হারামটা মুবাহ হয়ে যায়; তবুও তিনি শান্তি পাচ্ছিলেন না। সকাল হতেই তিনি আবার দজলা নদীর তীরে গেলেন। যেদিক থেকে আপেলটি ভেসে এসেছিল সেদিকে হাঁটতে লাগলেন। কিছুদূর যাবার পর তিনি দেখলেন, নদীর কিনারায় একটি আপেলের বাকি অংশ পড়ুন...
তালবীনাহ এক প্রকার লঘুপাক খাদ্য। তালবীনা শব্দটি লাবানুন (لَبَنٌ) শব্দ থেকে এসেছে। অর্থাৎ তালবীনা একটি দুগ্ধজাত খাদ্য। অসুখ বিসুখে রোগীকে সহজপাচ্য, পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় পথ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অসুখ-বিসুখ, দুঃখ-শোকে তালবীনা খাওয়ার পরামর্শ দিতেন।
সাধারণত যবের আটার সাথে দুধ মিশিয়ে তালবীনাহ প্রস্তুত করা হয়। সাথে মিষ্টি জাতীয় খাবার, যেমন: মধু অথবা গুড় অথবা চিনি মিশ্রিত করা হয়।
তালবীনাহ স বাকি অংশ পড়ুন...
ঘটনা-৭০
দুনিয়া ধোঁকার উপকরণ ব্যতীত কিছু নয়
‘দুনিয়া ধোঁকা ব্যতীত কিছুই নয়’ এ বিষয়ে হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি সুন্দর নছীহতপূর্ণ একটি উপমা পেশ করেছিলেন।
এক ব্যক্তি জঙ্গলে হাঁটছিল। হঠাৎ দেখলো এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে। সে প্রাণভয়ে দৌড়াতে লাগলো। কিছুদূর গিয়ে একটি পানিবিহীন কুয়া দেখতে পেল। সে চোখ বন্ধ করে তাতে ঝাঁপ দিলো। পড়তে পড়তে একটি ঝুলন্ত দড়ি দেখে তা খপ করে ধরে ফেললো এবং ঐ অবস্থায় ঝুলে রইলো। উপরে চেয়ে দেখলো, কুয়ার মুখে সিংহটি তাকে খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। নিচের দিকে চেয়ে দেখলো, বিশাল এক সাপ তার নিচে নামা বাকি অংশ পড়ুন...
দুনিয়া অন্বেষণকারী না হয়ে পরকাল অন্বেষণকারী হও
১৯শে মুহররম, ১৪৪২ হিজরী (ইয়াওমুল ইসনাইন শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ شَدَّادٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ الدُّنْـيَا عَرَضٌ حَاضِرٌ يَأْكُلُ مِنْـهَا الْبَـرُّ وَالْفَاجِرُ وَإِنَّ الْاٰخِرَةَ وَعَدٌ صَادِقٌ يـَحْكُمُ فِيْهَا مَلِكٌ عَادِلٌ قَادِرٌ يُـحِقُّ فِيْهَا الْـحَقَّ وَيُـبْطِلُ الْبَاطِلَ كُوْنُـوْا مِنْ أَبْـنَاءِ الْاٰخِرَةِ وَلَا تَكُوْنُـوْا مِنْ أَبْـنَاءِ الدُّنْـيَا فَإِنَّ كُلَّ أُمٍّ يَـتْـبَـعُهَا وَلَدُهَا. (مشكوة الـمصابيح)
হযরত শাদ্দাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলে বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত উম্মে আতিয়্যাহ আল আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার পবিত্র নাম মুবারক ছিল নুছাইবা বিনতে হারেস। কারো কারো মতে, উনার পবিত্র নাম মুবারক ছিল নুছাইবা বিনতে কাআব। উম্মে আতিয়্যাহ ছিল উনার পবিত্র উপনাম মুবারক। তিনি এই পবিত্র নাম মুবারকেই প্রসিদ্ধ ছিলেন।
হযরত উম্মে আতিয়্যাহ আল আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ আনছারী মহিলা ছাহাবী। তিনি সেই সম্মানিতা মহিলা ছাহাবী যাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত দয়া ইহসান মুবারক করে উনার সম্মানিত বানাত, বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
مَنْ كَانَ يُرِيْدُ الْـحَيَاةَ الدُّنْـيَا وَزِيْـنَـتَهَا نُـوَفِّ إِلَيْهِمْ أَعْمَالَـهُمْ فِـيْـهَا وَهُمْ فِيْـهَا لَا يُـبْخَسُوْنَ ﴿১৫﴾ أُولٰئِكَ الَّذِيْنَ لَيْسَ لَـهُمْ فِي الْاٰخِرَةِ إِلَّا النَّارُ ۖ وَحَبِطَ مَا صَنَـعُوْا فِيْـهَا وَبَاطِلٌ مَّا كَانُـوْا يَـعْمَلُوْنَ ﴿ ১৬﴾ سورة الـهود
যারা দুনিয়া (পার্থিব জীবন) এবং এর সৌন্দর্য চায় আমি তাদেরকে তাদের আমলের পুরোপুরি বদলা সেখানেই (দুনিয়াতে) দিয়ে দেই। তাদেরকে কোনো কিছুই কম দেয়া হয় না। কিন্তু পরকালে তাদের জন্য জাহান্নাম ব্যতীত আর কিছুই থাকবে না। তারা দুনিয়াতে যা করেছে তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। (কারণ) তারা যা আমল কর বাকি অংশ পড়ুন...












