ইমাম আবু আব্দিল্লাহ মুহম্মদ ইবনে সাঈদ আল বুসিরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি রচিত ‘ক্বাছীদাতুল-বুরদা’ শরীফ সমগ্র বিশ্বময় সর্বাধিক পঠিত একখানা দীর্ঘ ক্বাছীদা শরীফ। একশত ষাট পংক্তি বিশিষ্ট এই ক্বাছীদা শরীফটি রচিত হয়েছে সপ্তম হিজরীতে। আজও এ ক্বাছীদা শরীফ প্রতিদিন অগণিত সূফী সাধক ওযীফার ন্যায় পাঠ করে থাকেন। পৃথিবীর এমন কোনো অঞ্চল নেই যেখানে ‘ক্বাছীদাতুল বুরদা’ শরীফ উনার নিয়মিত পাঠক পাওয়া যাবে না। এই ‘ক্বাছীদাতুল বুরদা’ শরীফ উনার সাথে একটি বরকতময় স্বপ্নের ঘটনা জড়িত আছে।
হযরত ইমাম হাসান আল বুসিরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বয়স যখন ষ বাকি অংশ পড়ুন...
পর্দার আবশ্যকতা:
প্রতিটি নর-নারীর জীবনে পর্দা এমন একটি জরুরী বিষয়, যার বাস্তবতা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। পরিবারের মানসিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার পূর্বশর্ত হচ্ছে পর্দা। এটি অস্বীকার করে কোন মানুষ তার চারিত্রিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটাতে পারে না। অফিস, আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল থেকে শুরু করে নিজের শয়নকক্ষ পর্যন্ত পর্দা একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
পর্দা না থাকার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান ও সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারী পুরুষের মাঝে বহু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে যা কিছু আমরা স্বচক্ষে দেখছি আর বহু ঘটনা আমরা দৈনিক পত্রিকাগুলোতে অহ বাকি অংশ পড়ুন...
এক লোক প্রতিদিন বাদ আছর, গাউসুল আ’যম হযরত বড়পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ছোহবত মুবারকে যেত। তার যাতায়াতের রাস্তায় এক আলিমের বাড়ি পড়তো। আলিম প্রতিদিন মুরীদ লোকটিকে তার বাড়ির সামনে দিয়ে যেতে দেখতেন।
একদিন সেই আলিম, মুরীদ লোকটিকে আটকালেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি প্রতিদিন কোথায় যান?’ মুরীদ লোকটি উত্তর দিলেন, ‘আমি আমার সম্মানিত শায়েখ হযরত বড়পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে যাই।’ আলিম বললেন, ‘ঠিক আছে। আমি আপনাকে একটি মাসয়ালা জিজ্ঞেস করবো। যদি উত্তর দিতে পারেন তাহলে আপনি যেতে পারবেন। নইলে আমি এই রা বাকি অংশ পড়ুন...
পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা থেকে গাফিল থাকার পরিণতি
২৬শে যিলহজ্জ, ১৪৪১ হিজরী (ইয়াওমুস সাবত)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
قَدْ خَسِرَ الَّذِيْنَ كَذَّبُـوْا بِلِقَاءِ اللّٰهِ ۖ حَتّٰى إِذَا جَاءَتْـهُمُ السَّاعَةُ بَغْـتَةً قَالُوْا يَا حَسْرَتَـنَا عَلٰى مَا فَـرَّطْنَا فِيْـهَا وَهُمْ يَـحْمِلُوْنَ أَوْزَارَهُمْ عَلٰى ظُهُوْرِهِمْ ۚ أَلَا سَاءَ مَا يَـزِرُوْنَ ﴿৩১﴾ وَمَا الْـحَيَاةُ الدُّنْـيَا إِلَّا لَعِبٌ وَلَـهْوٌ ۖ وَلَلدَّارُ الْاٰخِرَةُ خَيْـرٌ لِّلَّذِيْنَ يَـتَّـقُوْنَ ۗ أَفَلَا تَـعْقِلُوْنَ ﴿৩২﴾ سورة الانعام
যারা মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাতকে মিথ্যারোপ করেছে তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবশেষে যখন তাদের কাছে হঠ বাকি অংশ পড়ুন...
মহিলাদের মসজিদে যাওয়া হারাম হওয়ার উপর উম্মতের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং যুগ যুগ ধরে সারা বিশ্বে তা অনুসৃত হয়ে আসছে। সম্মানিত ইজমা ও সম্মানিত ক্বিয়াস যেহেতু পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফেরই অন্তর্ভুক্ত ও সমর্থিত, সেহেতু উক্ত ইজমাকে অস্বীকার করা বা মু’মিনদের প্রচলিত পথের বিরোধিতা করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফের দৃষ্টিতে প্রকাশ্য গোমরাহী। নিম্নে আম ফতওয়া মুতাবিক মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদ ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম বা নিষিদ্ধ হওয়ার দলীলসমূহ পেশ করা হলো-
سَاَلْتُ اَبَا حَنِيْفَةَ عَنِ النِّسَاءِ هَلْ يَرْخُصُ لَهُنَّ فِىْ حُضُو বাকি অংশ পড়ুন...
যখন গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণের সময় নিকটবর্তী হলো, তখন উনার ছোট ইসিন্জার রাস্তা দিয়ে রক্ত মুবারক প্রবাহিত হতে লাগলো। এমনকি তা থেকে আতর গোলাপের সুঘ্রাণ বের হচ্ছিলো এবং যিকিরও হচ্ছিলো। সুবহানাল্লাহ!
উনার মুরীদ-মুতাকিদ যাঁরা ছিলেন, উনারা বললেন, হুযূর! আপনার শরীর অসুস্থ। আপনার চিকিৎসা করানো দরকার। হযরত বড়পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রথমে বললেন: দেখ, চিকিৎসা করে কি হবে? যিনি সমস্ত চিকিৎসকের চিকিৎসক, সমস্ত হাকীমগণের হাকীম সেই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল বাকি অংশ পড়ুন...
পরকালের তুলনায় দুনিয়াবী সম্পদ সামান্য
১৪ই মুহররম, ১৪৪২ হিজরী (ইয়াওমুল খমীস)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
قُلْ مَتَاعُ الدُّنْـيَا قَلِيْلٌ وَالْاٰخِرَةُ خَيْـرٌ لِّمَنِ اتَّـقٰى وَلَا تُظْـلَمُوْنَ فَتِيْلًا ﴿৭৭﴾ سورة النساء
আপনি বলুন, দুনিয়াবী সম্পদ সামান্য। আর মুত্তাকীগণ উনাদের জন্য পরকালই উত্তম এবং তোমাদের প্রতি সামান্য অবিচারও করা হবে না। [সূরা নিসা শরীফ: ৭৭]
মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়াবী সম্পদকে সামান্য বলেছেন। আর এই সামান্য সম্পদের পরিমাণ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنِ الْمُسْتَـوْرِدِ بْنِ شَدَّادٍ رَضِيَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইনাস হলো বায়ুর পকেট যা নাকের পেছনে, গালের হাড়, চোখ ও কপালের মাঝখানে থাকে। এই সাইনাসগুলোর আস্তরণ শ্লেষ্মা তৈরির জন্য দায়ী, একটি পাতলা তরল যা বিদেশী কণা ও জীবাণুগুলোকে আটকে দিয়ে অনুনাসিক গহ্বরের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করা থেকে রক্ষা করে। এ আস্তরণের প্রদাহ অনুনাসিক প্যাসেজে অত্যধিক শ্লেষ্মা তৈরি করতে পারে, যা বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে। এ অবস্থাকে সাইনোসাইটিস বলা হয়।
সাইনোসাইটিসের প্রকারভেদ:
তীব্র সাইনোসাইটিস: যখন সাধারণ সর্দি-কাশির কারণে সৃষ্ট ভাইরাস অনুনাসিক পথের প্রদাহের দিকে পরি বাকি অংশ পড়ুন...












