নারীস্বাস্থ্য: অস্টিওআর্থ্রাইটিস বেশি দেখা যায় বয়স বাড়লে
, ১৫ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩০ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
এ রোগে চিকিৎসাপদ্ধতি কী?
যখন কেউ এ ধরনের সমস্যা নিয়ে আসে তখন আমরা প্রথমে রোগীর ইভ্যালুয়েশন করি, রোগটা দেখি এবং বিবেচনা করি। বয়স কত, জীবনাচরণ কেমন, শরীরের কী অবস্থা, আগে থেকে কোনো রোগ আছে কিনা ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে আসি। এসবের ওপর ভিত্তি করে আমরা আসলে ফোকাস করি রোগীর কী হয়েছে। কেন রোগী কষ্ট পাচ্ছে। এরপর আমরা সরেজমিনে পরীক্ষা করি-রক্তশূন্যতা আছে কিনা, তার পালস কেমন। পাশাপাশি আমরা তার হাঁটু পরীক্ষা করি, ঘাড়ে সমস্যা থাকলে ঘাড় পরীক্ষা করি। এরপর আমরা দেখি তার আর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা লাগবে কিনা। আমাদের যদি বিবেচনায় আসে পরীক্ষা নিরীক্ষা না করলেও চলবে তখন ওষুধ দিই। পাশাপাশি রোগীকে হাঁটুর কিছু ব্যায়াম করতে বলি। যদি রোগীর হঠাৎ করে বেশি খারাপ লাগে তাহলে আমরা কিছু পরীক্ষা করতে বলি। রোগীকে মূলত আমরা একটা এক্স-রে করতে দিই। হাঁটুর ব্যথা হলে হাঁটুর এক্স-রে করতে দিই। এছাড়া আনুষঙ্গিক আরো পরীক্ষা করতে হয়-কিডনি ফাংশন ঠিক আছে কিনা। রোগীর হিস্ট্রি নিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় ইভ্যালুয়েশন রাখি আমরা। এসব পরীক্ষা করার মাধ্যম আমরা বিবেচনা করি কী ধরনের চিকিৎসা করা যায়। আমরা যদি দেখি তার আগে কোনো সমস্যা ছিল না, তখন আমরা তাকে বুঝিয়ে বলি, টেনশন যাতে না করে, এটা একটা স্বাভাবিক সমস্যা। এটা জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত, এটা বংশানুক্রমেও হয়ে থাকে। রোগী ভালো আছে বলে আশ্বাস দিই। রোগীকে কাউন্সেলিং করি। যে কারণে হাঁটু ব্যথা বেড়েছে সে কারণগুলো যদি আমরা তাকে জানিয়ে দিতে পারি সে সাবধানতা অবলম্বন করলে রোগী ভালো থাকতে পারবে। তবে এ রোগ নিয়ে ভালো থাকা সম্ভব। রোগীর অন্য কোনো সমস্যা না থাকলে এক্ষেত্রে আমরা রোগীকে ব্যথানাশক ওষুধই দিই। সেটা অবশ্যই ডাক্তারের বিবেচনা সাপেক্ষে ও পরামর্শ অনুযায়ী। এ ধরনের চিকিৎসা অবশ্যই একজন ভালো ফিজিশিয়ান দিয়ে করানো উচিত। এর বাইরে কোনো চিকিৎসকের কাছ থেকে যদি রোগী চিকিৎসা করায়, তাহলে তার উপকারও হতে পারে আবার ক্ষতিও হতে পারে। শুধু ব্যথানাশক ওষুধ দিয়েই চিকিৎসা না। বাংলাদেশের সব হাসপাতালে এ রোগের চিকিৎসা হয়। আমাদের দেশের হাসপাতালগুলোয় অর্থোপেডিক ডিপার্টমেন্ট আছে, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আছে। ওষুধের পাশাপাশি কী ধরনের ব্যায়াম লাগবে তা বলা হয়ে থাকে। হাঁটু ব্যথার কারণে যেগুলো রিস্ক ফ্যাক্টর সেগুলো থেকে বিরত থাকা। ওজন কমানো, নিচে না বসা, সিঁড়ি দিয়ে বেশি ওঠানামা না করা, লিফট ব্যবহার করা, হাই কমোড ব্যবহার করা ইত্যাদির মাধ্যমে রোগী সুস্থ থাকতে পারে।
এ রোগ প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন?:
যদি রোগীর পরিবারের ক্ষেত্রে জেনেটিক সমস্যা থাকে তাহলে এ ক্ষেত্রে তো কিছু করার থাকে না। তবে যে এনভায়রনমেন্টাল কারণগুলো আছে যা তার হাঁটু ব্যথা বাড়াচ্ছে অর্থাৎ রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো কমাতে হবে। অর্থাৎ হাঁটুর ওপর থেকে লোড কমাতে হবে। যেমন নিচে না বসা, সিঁড়িতে ওঠানামা কম করা, বঁটিতে বসে কাজ না করা, যাদের সমস্যা আছে তাদের কৃষিকাজ থেকে বিরত থাকা। রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো মডিফাই করার মাধ্যমে রোগগুলো থেকে অনেকটা সুস্থ থাকা যায়।
খাদ্যাভাসের সঙ্গে এ রোগের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা:
খাবারের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বললেই চলবে। তবে এ রোগের সঙ্গে ওজনের একটা সম্পর্ক আছে। হাই প্রোটিন বেশি আছে যেগুলো সে খাবারগুলো এড়িয়ে চলা ভালো। এছাড়া শিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি এসব এড়িয়ে যাওয়া। রাতের খাবারের ক্ষেত্রে বিশেষ করে সাবধানতা অবলম্বন করা। রাতে ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়া খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে এ রোগের কোনো সম্পর্ক নেই।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












