কিতাবে একটি ঘটনা বর্ণিত আছে। একবার এ ব্যক্তি কোনো একটি মজলিসে বসা ছিলো। তার উপস্থিতিতেই কিছু লোক সেখানে উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিয়ে কটূক্তিকর কিছু কথা বললো। লোকটি শুনেও না শুনার ভান করে থাকলো। অত:পর সে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়ার পর স্বপ্নে দেখতে লাগলো- স্বয়ং নূর নবীজি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি লোকটিকে লক্ষ্য করে বলছেন- হে ব্যক্তি উঠো বসো এবং শুনো, তোমার সামনে উম্মুল মু’মিনীন উনাদের শানে কটূক্তি করা হলো, অথচ তুমি কেনো কোনো প্রতিবাদ করোনি কেন? লোকটি এ কথা শুনে- নিজের পক্ষে মিথ্যা সাফাই করে বললো- বাকি অংশ পড়ুন...
বাদশাহ আকবরের পরিচয় জানে না এমন কোনো শিক্ষিত প্রশাসক বা সরকারি আমলা থাকার কথা নয়। জানা না থাকলে জানাটা জরুরী। কারণ তার এতো প্রভাব, প্রতিপত্তি কিভাবে ধূলিস্যাৎ হলো তা জানলে কোনো সরকারই ক্ষমতার মসনদকে বালাখানা মনে করতে পারে না। বাদশাহ আকবর তার শাসনামলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিধি-বিধানকে একের পর এক পরিবর্তন করতে থাকে। নাউযবিল্লাহ!
হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অনেক সময়ই অনেকভাবে তাকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু সে সতর্ক তো হয়নি, উপরন্তু উনার বিরুদ্ধে নানা প্রকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। উলামায়ে ‘সূ’দের দ্বারা বাকি অংশ পড়ুন...
শিক্ষার্থীদেরকে সন্ত্রাসবাদ বিমুখ করার লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (হারাম) সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রকৃতপক্ষে বাস্তবসম্মত নয়, বরং বাস্তবতার নীরিখে হওয়া উচিত ছিলো বিপরীত। অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দেশের সর্বস্তরে সংস্কৃতির নামে হারাম কর্মকা- তুলে দিয়ে সঠিক দ্বীন ইসলাম শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা উচিত।
বাস্তবতার আলোকে আমরা দেখতে পাই, সাম্প্রতিক হামলাগুলোর সাথে যারা জড়িত তারা প্রত্যেকেই উচ্চবিলাসী, সংস্কৃতমনা এবং সংস্কৃতির নামে হারাম পরিবেশের মধ্য দিয়েই বেড়ে বাকি অংশ পড়ুন...
রাজাকার আর নাস্তিকদের মধ্যে একটি গভীর মিল রয়েছে। হা হলো, এরা এদের অপকর্ম ঢাকতে তাদের খোলসটি বিক্রি করে দেয়। যেমন রাজাকাররা ১৯৭১-এ তাদের খুন-সম্ভ্রমহরণ এবং লুন্ঠনের অপকর্ম ঢাকতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের বিক্রি করে। এদের বলা হয় ধর্মব্যবসায়ী, যারা সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব। অন্যদিকে নাস্তিকরা তাদের ইসলামবিদ্বেষী কর্মকা- ঢাকতে তাদের স্বাধীনতার লেভেল বিক্রি করে বারংবার। প্রকৃতপক্ষে এরাই হচ্ছে স্বাধীনতা ব্যবসায়ী এরা জাতির নিকৃষ্টতম জীব।
-মুহম্মদ মাহফুজুর রহমান।
বাকি অংশ পড়ুন...
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّ الَّذِيْنَ يُؤْذُوْنَ اللهَ وَرَسُوْلَه لَعَنَهُمُ اللهُ فِـى الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ وَاَعَدَّ لَـهُمْ عَذَابًا مُّهِيْنًا.
অর্থ: “নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার রসূল, উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে কষ্ট দেয়, তাদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত দুনিয়া ও আখিরাতে এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে- “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।” (পবিত্র বুখারী শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছেÑ “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ বাকি অংশ পড়ুন...
এ সম্পর্কে বুঝার জন্য একটি উদাহরণ দিই। যেমন- ‘আওলাদে রসূল’ উনাদের প্রত্যেককে মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীম করতে হবে। আর অনুসরণ-অনুকরণ করতে হবে শুধু ঐ সকল আওলাদে রসূলগণ উনাদেরকে যাঁহারা পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা, ক্বিয়াস উনার পরিপূর্ণ অনুসারী। এ প্রসঙ্গেই হযরত ইমাম শাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আওলাদে রসূলগণ উনারা হলেন- পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ন্যায়। অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে দু’প্রকার পবিত্র আয়াত শরীফ রয়েছে। ১ম প্রকার পবিত্র আয়াত শরীফ হলো- যা তিলাওয়াত এবং আমল উভয় করতে হয় ও তার যথাযথ মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীমও করতে হয় বাকি অংশ পড়ুন...
বৈশ্বিক জায়নবাদের প্রবর্তক ‘থিওডর হের্জল’ (Theodor Heryl) ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে জায়নবাদীদের প্রথম বিশ্বসভায় যেই দস্তাবেজগুলো (দলীলগুলো) উপস্থাপন করেছিল। সেই দস্তাবেজগুলোকে ‘জায়নবাদি বুদ্ধিজীবিদের গোপন (Protocols) প্রটোকলস' বলা হয়। এই ‘থিওডোর হের্জল’ ছিলো অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির একজন ইহুদি সাংবাদিক ও লেখক। সে বেঞ্জামিন জেইভ হার্জল হিসেবে জন্মগ্রহণ করে। তাকে আধুনিক ইহূদী রাজনীতির জনক এবং ইজরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
আসুন জেনে নেয়া যাক সেই গোপন প্রটোকলে কী আছে?
সেখানে বলা আছে,
১. আমাদের পাসপোর্ট অথবা আমাদের পরিচয় পত্র বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اَلْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُوْنَ مِنْ لِّسَانِهِ وَيَدِهِ.
অর্থ: “মুসলমান হল ঐ ব্যক্তি যার হাত ও মুখের অনিষ্টতা ও কষ্ট দেয়া হতে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে।”
مُسْلِمٌ (মুসলিম) শব্দটিسلم ধাতু থেকে নির্গত, অর্থ: আত্মসমর্পন করা, বশ্যতা স্বীকার করা।
যে মু’মিন ব্যক্তি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সকল বিধি-বিধান তথা হালালকে হালাল, হারামকে হারাম, সুন্নতকে সুন্নত এবং বিদায়াতকে বিদায়াত হিসেবে জানেন এবং মানেন উনাকেই বলা হয় মুসলমান।
কিন্তু আজ বাংলাদেশে ৯৮% মুসলমান বাকি অংশ পড়ুন...
ফসলী সন তথা বাংলা সনের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ মূলত বিজাতীয়-বিধর্মীদের উৎসব। পহেলা বৈশাখের আগের দিন চৈত্র সংক্রান্তি পূজা আর পহেলা বৈশাখ হলো ঘট পূজা, গনেশ পূজার দিন এছাড়া আরো অনেক পূজা রয়েছে। বৌদ্ধরা এইদিনে উল্কিপূজা করে। মজুসীরা (অগ্নিউপাসকরা) এই দিন নওরোজ উৎসব পালন করে। উপজাতিরা বৈশাখী অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! তাহলে দেখা যাচ্ছে পহেলা বৈশাখে মুসলমানগণের কোনো অংশ নেই।
তাহলে মুসলমানগণ কি করে বিজাতীয়-বিধর্মীদের অনুষ্ঠান পালন করতে পারে? মুসলমানগণের ঈমানী কুওওয়ত এতোই কমে গেছে যে, মুসলমানগণ ইসলামবিদ্বেষী কোনো ঘটনা বাকি অংশ পড়ুন...
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের হক্ব হচ্ছে, সন্তানকে পবিত্র দ্বীনী তা’লীম দিবে, সম্মানিত শরীয়ত উনার হুকুম আহকাম শিক্ষা দিয়ে যথাযথভাবে পালনের সু-ব্যবস্থা নিবে। সন্তানের হক্ব যদি পিতা-মাতা আদায় না করে, তাহলে পিতা-মাতাকে সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিকোণ থেকে জবাবদিহী করতে হবে ।
অতএব, পিতা-মাতাসহ সকল অভিভাবকের দায়িত্ব কর্তব্য হলো- তাদের সন্তানদেরকে সম্মানিত শরীয়ত উনার নির্দেশ মুবারক পালনে সতর্ক করা, এ বিষয়ে অভিভাবকদের দায়িত্বশীল হতে হবে। অন্যথায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে- পরকালে কঠিন জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।
-মুহম্মদ তাসনীম।
বাকি অংশ পড়ুন...
সুন্নত নামায, নামাযের পর মুনাজাত, মীলাদ শরীফ এরকম আরো অনেক আমল নিয়ে অনেকেই বলে থাকে- “যে আমল পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনাদের মধ্যে নেই, তা এদেশের মানুষ কেমনে করে। ইসলাম কি তারা আমাদের চেয়ে কম বুঝে?...”
এমন প্রশ্ন শুনে সাধারণ মানুষ হতচকিয়ে উঠে। কিন্তু তাদের নিকট প্রথমেই আমাদের সরাসরি প্রশ্ন হলো- পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের কোথাও কি সরাসরি পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনার অধিবাসীদের অনুসরণ-অনুকরণ করতে বলা হয়েছে? এরূপ একটি দলীলও কি আপনারা পেশ করতে পারবেন? আর পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরী বাকি অংশ পড়ুন...












