সম্পাদকীয়-২
অতীতের সব সরকারের মত অন্তবর্তী সরকারও চালের দাম বৃদ্ধিতে নড়েচড়ে বসছে না। কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না একমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র প্রজ্ঞাতেই চালের দাম সর্বোচ্চ সস্তা হওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
, ৫রা রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ২১ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, ধানের দাম কমলেও সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালের দামে মানভেদে বাড়ানো পাইকারিতে চার থেকে আট টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। আর খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে আরও বেশি। পাড়ামহল্লার বাজারগুলোয় কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে প্রায় ৬ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। অথচ দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ নেই। সব স্বাভাবিক থাকার পরও চালের দাম না কমার কারণে বৃদ্ধির পেছনে কারা দায়ী, তা খুঁজে বের করতে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে অন্তবর্তী সরকার।
আমরা জানি, দেশে চালের দাম বেড়ে গেলে খাদ্য অধিদপ্তর ব্যবসায়ীদের কাছে চাল মজুতের হিসাব চায়। অন্য সময় তারা এ ব্যাপারে চুপ থাকে। আর চাল ও ধান ব্যবসায়ীরা যে হিসাব কাগজে-কলমে দেন, তা পরীক্ষা করে দেখারও সুযোগ সরকারি লোকজনের নেই। ফলে প্রকৃত বাজার ও বেসরকারি মজুত পরিস্থিতি সরকার জানতে পারে না।’
চালের দাম বাড়লে যে সীমিত আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে পড়ে, সেটা নিশ্চয়ই সরকারের নীতিনির্ধারক খুব একটা গুরুত্বের সাথে অনুধাবন করে না। বাজারে অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়লে মানুষ কম কিনে ব্যয় কমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু চালের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব নয়। দাম যত বেশিই হোক না কেন, প্রয়োজনমতো চাল তাকে কিনতেই হবে। কঠিন বাস্তবতা হলো, গরিব মানুষের আয়ের সিংহভাগ ব্যয় করতে হয় চাল কিনতে।
এমন সময়ে চালের দাম বাড়ল, যখন আমনের ভরা মৌসুম। সাধারণত খরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ে আর ভরা মৌসুমে কমে। এবার হয়েছে তার বিপরীত।
খুচরা ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়ার জন্য মিলমালিক ও বড় ব্যবসায়ীদের দায়ী করেন। বড় ব্যবসায়ীরা বাজারে যখন দাম কম থাকে, চাল কিনে মজুত করেন, আর যখন বাড়তি থাকে, তখন বিক্রি করেন। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে চালের অভাব নেই। কিন্তু ব্যবসায়ীরা নানা কারসাজি করে দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
যেকোনো পণ্যের দাম স্থিতিশীল করতে সরকার সাধারণত দুটি উদ্যোগ নেয়। প্রথমত, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সরবরাহ বাড়ানো। দ্বিতীয়ত আমদানি করে ঘাটতি পূরণ। গত নভেম্বরে সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে চালের আমদানিরও সব শুল্ক তুলে নেয় এবং বেসরকারি খাতের ২২৭টি প্রতিষ্ঠানকে আমদানির অনুমতি দেয়। এখন প্রশ্ন হলো, এই প্রতিষ্ঠানগুলো কি প্রতিশ্রুত চাল আমদানি করেছে? যদি করে থাকে, তাহলে বাজারে তার কোনো প্রভাব পড়ল না কেন?
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, এই মুহুর্তে খোলাবাজারে সাশ্রয়ী দামে চাল বিক্রি করলে দাম কমে আসতে বাধ্য। তবে সেটা লোকদেখানো হলে হবে না। টিসিবির ট্রাকের সামনে মানুষের দীর্ঘ সারিই বলে দেয় তারা কত কষ্টে আছেন। দিনের কাজ ফেলেও অনেককে ট্রাকের পেছনে দাঁড়াতে হয়। আবার সারিতে দাঁড়ালেই যে সবাই চাল পাবেন, তার নিশ্চয়তা নেই। অনেক সময় সারির পেছনের মানুষকে বিমুখ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।
কিন্তু দু:খী মানুষের সে মলিন চেহারার প্রতি সরকারের কর্তাব্যক্তিদের কোনো দৃষ্টিপাত নেই। তাৎক্ষনিক উদ্যোগ নেই। সহমর্মিতা নেই। দায়িত্ববোধ নেই।
চালের দাম যেভাবে বাড়ছে, সেভাবে মানুষের আয় বাড়েনি। ধানের উৎপাদনে যখন ঘাটতি নেই, ব্যবসায়ীদের কাছে যখন যথেষ্ট মজুতও আছে, তখন কেন সেই চাল যৌক্তিক দামে ভোক্তার কাছে পৌঁছাবে না? এটা যে বড় ধরনের ব্যর্থতা সে বোধ সরকারের নাই। পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতাও সরকারের নেই।
মূলত, এসব বিষয় বাস্তবায়নের অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ এবং সক্ষমতা আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা ও জজবা এবং পরিক্রমা থেকে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়লেও সুবিধার বাইরে ৭১ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দারিদ্রের যাঁতাকল থেকে জনগণকে বের করে না আনলে দেশ অবিলম্বে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাঁচতে হলে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই পাওয়া যাবে প্রকৃত নিরাপত্তা ও সফলতা ইনশাআল্লাহ
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিগত সরকারগুলোর মত কথিত অন্তর্বর্তী সরকারও দেশের পতিত জমির দিকে নজর দিচ্ছে না অথচ প্রায় ১ কোটি ৫৩ লাখ ৫৫ হাজার শতক পতিত জমি আবাদের আওতায় এনে দেশকে মহা সমৃদ্ধ করা যায় যতদিন খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা না হবে ততদিন এসব নিয়ামত অধরাই থেকে যাবে (নাউযুবিল্লাহ)
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলো আদৌ ইসলামী নয়। সুদবিহীন ব্যাংক নয়। দ্বীনদার, পরহেজগার মুসলমানের জন্য সুদবিহীন ইসলামী ব্যাংকের সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই তা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত মুবারক এবং আখিরী যামানায় মুর্দা দিলের পূনরুজ্জীবন।
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ভারতকে উপলব্ধি করতে হবে ভারতের সেবাদাস আর ভারতের প্রতি নতজানু পররাষ্ট্রনীতিকে বাংলাদেশের মানুষ কত ঘৃণা করে। বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য মানুষ কিভাবে শাহাদাতকে কবুল করে সীমান্তে কাটাতারের বেড়া দেয়া আর চলবে না
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র রমাদ্বান শরীফে লোডশেডিং তো নয়ই আসন্ন গ্রীষ্মেও লোডশেডিং বরদাশতযোগ্য নয়
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দৈনন্দিন ৩২ বার পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করলেও মুসলমান কি পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ শুধু পাঠের মধ্যেই আবদ্ধ থাকবে? ফিকির আর আমল কী অধরাই থাকবে?
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহাপবিত্র ০৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ০৭ই শা’বান শরীফ আজ। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার শান-মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা, ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ ও নেক ছোহবত মুবারক হাছিল করা সর্বোপরি উনার নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সব নারীদের জন্য ফরয।
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফলের উপর শুল্ক অবিলম্বে প্রত্যাহার করে আসন্ন পবিত্র রমাদ্বান শরীফে রোযাদারদের ইফতারিতে ফল খাওয়ার সুযোগ দিন। বিলাসী পণ্যের তালিকা থেকে ফলকে বাদ দেয়া এবং ফলের উপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের আন্দোলনের সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার চেতনাসহ গোটা দেশবাসী একমত।
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বাংলাদেশে রপ্তানি বাণিজ্য খুবই কম। বিপুল এ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ বানানো এবং পণ্য রপ্তানিতে বৈচিত্র আনার মাধ্যমে হাজার বিলিয়ন ডলার রপ্তানি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুবারক হো ৫ই শা’বান শরীফ- সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, সিবতু রসূল আল খমিস, রাইহানু রসূলিল্লাহ, শহীদে আকবর, শহীদে কারবালা, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার এবং সুলত্বানুল আউলিয়া, পেশওয়ায়ে দ্বীন, যীনাতুল আরেফীন, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ আলাইহিস সালাম উনাদের বরকতময় ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)