সম্পাদকীয়-১
আদানির সাথে এবং স্বার্থে জালেম সরকারের ‘একতরফা’ এবং চুক্তি এক্ষুনি পরিহার করুন
, ০৮ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
৩ নভেম্বর ভারতের গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, বিদ্যুৎ আমদানির জন্য আদানির মাসিক বিল ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন (৯-১০ কোটি) ডলার।
আদানির সঙ্গে চুক্তিতে অনেক ধরনের বাড়তি খরচ ধরা হয়েছে। পদে পদে সুবিধা দেয়া হয়েছে এবং নিয়েছে তারা। এর ফলে দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার নিয়ে যাচ্ছে আদানি। ভারত তোষণের জন্য বিগত জালেম সরকারের করা এটি একটি একতরফা চুক্তি, সেই সুযোগটাই নিচ্ছে আদানি। তাই এ চুক্তি থেকে এক্ষুণি সরে আসা দরকার সরকারের।
গত জুলাই থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার বাড়তি দাম ধরে বিদ্যুৎ বিল করছে আদানি। বকেয়া বিল পরিশোধে চাপও দিচ্ছে। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে দিয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ‘একতরফা’ চুক্তির সুযোগ নিচ্ছে আদানি।
আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি অবস্থিত ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায়। গত বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর আগেই কয়লার দাম নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। কয়লার বাড়তি দাম দিতে অস্বীকৃতি জানায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এরপর দাম কমাতে রাজি হয় আদানি। পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে কম দামে কয়লা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিলেও এক বছর পর এখন আবার ২২ শতাংশ বাড়তি দাম চাইছে আদানি।
গত বৃহস্পতিবার থেকে একটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছে আদানি। ৭৫০ মেগাওয়াট সক্ষমতার চালু ইউনিট থেকেও উৎপাদন হচ্ছে ৫০০ মেগাওয়াটের একটু বেশি। অন্যদিকে কয়লার অভাবে বন্ধ রয়েছে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র। বকেয়া জটিলতায় উৎপাদন কমেছে রামপাল ও বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে। এতে ঘণ্টায় দেড় হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে।
তথ্য মতে, ভারত থেকে দুই হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের। দেশটির সরকারি-বেসরকারি ছয়টি কেন্দ্র থেকে এসব বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। এজন্য মাসে এক হাজার থেকে এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা বিল পরিশোধ করতে হয়। তবে দুই বছর ধরে নিয়মিত ভর্তুকি না পাওয়া এবং ডলার সংকটে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে সাবেক সরকার যতই সাফল্য দাবি করুক না কেন, এ খাতে কীভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় ও লোপাট হয়েছে; ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক (রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল) বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সরকারের বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সরকার একদিকে কম দামে জ্বালানি সরবরাহ করেছে, অন্যদিকে বেশি দামে কিনেছে বিদ্যুৎ। সেই বিদ্যুৎ আবার ভোক্তার কাছে সরকার বিক্রি করছে অর্ধেকেরও কম মূল্যে। এভাবে কেনাবেচার মধ্য দিয়ে বছরে মোটা অঙ্কের অর্থ গচ্চা দিয়েছে সরকার।
আধুনিক যুগে বিভিন্ন জ্বালানির সহজলভ্যতার কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বরং কমার কথা। আমাদের দেশে এর ব্যয় বাড়ছে এবং এ খাতে প্রতি বছর হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার সাবেক সরকার ঝুঁকেছে ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দিকে। সরকারি হোক আর বেসরকারি, সব ক্ষেত্রেই অস্বাভাবিক ব্যয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সাবেক সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এ বিষয়ে দৈনিক আল ইহসান শরীফে বহুবার বিশেষভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর পরও ওই চুক্তি পর্যালোচনা করা হয়নি। জালেম সরকার বিদায়ের পর জনগণের অর্থের অপব্যবহার তথা লোপাট এখন ব্যাপকভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। ইতোমধ্যে আদানি চুক্তির বিরুদ্ধে রীটও করা হয়েছে। কথিত উপদেষ্টা সরকার আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি খতিয়ে দেখার জন্য জাতীয় রিভিউ কমিটি করেছে। তবে এক্ষেত্রে ‘আঠারো মাসে বছর’ বা ‘ধরি মাছ না ছুই পানির’ উদাহারণ না তৈরি করে এক্ষনি আদানি চুক্তি পরিহার করতে হবে ইনশাআল্লাহ- এটাই জনপ্রত্যাশা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
১২টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে দেশে, থাকবে শিলাবৃষ্টিও বিত্তবানদের জন্য আরামদায়ক হলেও তীব্র শীত হতদরিদ্রদের জন্য ভয়ানক কষ্টের খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাই শীতার্ত মানুষকে সাহায্য করতে পারে
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কুখ্যাত আইএমএফর ভয়ঙ্কর ঋণের ফাঁদে বিগত জালিম সরকারের পথেই আরো অগ্রসর হচ্ছে সরকার কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র জজবা গ্রহণ করলেই ঋণের ফাঁদ থেকে বাঁচা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিগত সরকারগুলোর মত কথিত অন্তর্বর্তী সরকারও দেশের পতিত জমির দিকে নজর দিচ্ছে না অথচ প্রায় ১ কোটি ৫৩ লাখ ৫৫ হাজার শতক পতিত জমি আবাদের আওতায় এনে দেশকে মহা সমৃদ্ধ করা যায় যতদিন খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা না হবে ততদিন এসব নিয়ামত অধরাই থেকে যাবে (নাউযুবিল্লাহ)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত মুবারক এবং আখিরী যামানায় মুর্দা দিলের পূনরুজ্জীবন।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়লেও সুবিধার বাইরে ৭১ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দারিদ্রের যাঁতাকল থেকে জনগণকে বের করে না আনলে দেশ অবিলম্বে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাঁচতে হলে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই পাওয়া যাবে প্রকৃত নিরাপত্তা ও সফলতা ইনশাআল্লাহ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলো আদৌ ইসলামী নয়। সুদবিহীন ব্যাংক নয়। দ্বীনদার, পরহেজগার মুসলমানের জন্য সুদবিহীন ইসলামী ব্যাংকের সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই তা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খেজুর নিয়ে ভূল পদক্ষেপে বিগত পতিত সরকারের মত দুরাবস্থাই তৈরী করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় রোযাদারদের শুধু কমমূল্যে নয় বরং বিনামূল্যেও খেজুর প্রদান সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা শিশুরাও এখন মাদকের বাহক, ক্রেতা, এমনকি মওজুদ কারক কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায় মদ ও মাদকের প্রতি কঠিন ঘৃণাবোধের সঞ্চার সম্ভব
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গ: আলু ও আলু বীজের দাম বৃদ্ধি ও সঙ্কট আমদানী বাদ দিয়ে উৎপাদন খরচ কম ও উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে অতীতের মত বর্তমান সরকারেরও নজর নেই কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই পাওয়া যাবে প্রকৃত প্রজ্ঞা ও পরিক্রমা
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৯শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৮ জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বানুল নাস বা’দাল আম্বিয়া, ছাহিবু রসূলিল্লাহি ফিল গার, মুছাদ্দিকুল হুসনা, আশ শাহিদু আলান নাস, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
০১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)