আবারো চালের দাম বৃদ্ধি চাল এদেশবাসীর প্রধান খাদ্য তাই সরকারের প্রথম কাজ- চালের দাম সস্তা রাখা
, ০৪ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২১ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৩ অগ্রহায়ণ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
গত পরশু দৈনিক আল ইহসান শরীফে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে, “ঝোপ বুঝে কোপ চালের দামে”।
খবরে বলা হয়, আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের ধাক্কায় বেসামাল বাজারে গত কিছুদিন ধরে চালের দামও বাড়তি। গত দুই সপ্তাহে ব্রি-২৮ চাল পাইকারি পর্যায়ে প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
বর্তমানে মিলাররা বাজার অস্থিতিশীল করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তারা চাহিদা অনুযায়ী চাল সরবরাহ না করে মজুত করে রাখছেন। পাইকাররা চাল কেনার বেশি চাহিদা দিলেও আড়তদার বা মিলাররা চাল কম বিক্রির নাটক সাজাচ্ছেন। এভাবে কৌশলে বাজারে চালের সরবরাহ সংকটের অজুহাতে দাম বাড়ানো হচ্ছে। জানা যায়, সরকারের গুদামে চালের মজুত যথেষ্ট। পাশাপাশি মিল থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কোনও সংকট নেই। এরপরও বাজারে দাম বাড়ছে। এক মাসের ব্যবধানে মিল পর্যায়ে ৫০ কেজির বস্তায় দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা। এর প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। বস্তুত সব নিত্যপণ্যের দামই এখন ঊর্ধ্বমুখী। এতে ভোক্তাদের দুর্ভোগ বাড়ছে। প্রশ্ন হলো, বাজারে যারা কারসাজি করে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করবার কথা যাদের, তারা কী করছেন? গত ২৬ আগস্ট ভারত চাল রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যায়। ওই সময় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ফলন ভালো হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ধান-চালের মজুত যথেষ্ট রয়েছে। আমদানির দরকার নেই। চালের দাম সহনীয় পর্যায়েই থাকবে। কিন্তু বাস্তবে কি তা থেকেছে? থাকেনি।
ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিছু এলাকায় সেচ সংকট ও পোকামাকড়ের আক্রমণ নিয়ে কৃষক চিন্তিত থাকলেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় রোপা আমনের ভালো ফলনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। নতুন ধান বিক্রি শুরু হলেও চালের বাজারে অস্থিরতা চলছে। কয়েক বছর ধরেই এমনটি দেখা যাচ্ছে। যেহেতু ধান কাটার মৌসুমেও চালের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে, সেহেতু সিন্ডিকেটের কারসাজির বিষয়ে কোনও সন্দেহই থাকে না।
বস্তুত সরকারি চাল বিতরণ করলে বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল থাকে। কিন্তু বোরো মৌসুমের শেষ সময়ে ধানের মজুদ কমে আসে। এ সময় অক্টোবরে ওপেন মার্কেট সেলসের (ওএমএস) চাল বিতরণ বন্ধ থাকাকে বাজারে মোটা চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ বলে অনেকেই মনে করছেন। অথচ বিগত কয়েক মাসের মূল্যস্ফীতির সময় চালের বাজার বেশ স্থিতিশীল ছিল।
দেশের চালের সবচেয়ে বড় মোকাম নওগাঁ জেলায় অস্থিরতা বাড়ছে। এ জেলায় সবচেয়ে বেশি চালকল রয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে জেলার মোকামগুলোয় পাইকারি পর্যায়ে সব ধরনের চালের দাম প্রতি কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। ধানের সরবরাহ সংকটের কারণে চালের দামে আকস্মিক এ পরিবর্তন বলে চালকল মালিক ও আড়তদাররা দাবি করেছেন। তবে পুরনো চালের পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও রাতারাতি চালের বাজারে হেরফের করার বিষয়টিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট হিসেবেই দেখছেন। এজন্য বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকার বিকল্প নেই বলে তারা মত দিচ্ছেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তাই আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না। কৃষি খাতসংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, আমন মৌসুমের চাল আসা পর্যন্ত মোটা ও মাঝারি চালের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) তথ্য অনুযায়ী, চলতি আমন মৌসুমে ৫৮ লাখ ৫৪ হাজার হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ৭ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে সরবরাহ সংকট ও সিন্ডিকেশনের কারণে চালের দাম বাড়ছে। সরবরাহ সংকট দেখা দিলে তখন সিন্ডিকেশনও কাজ করে। এছাড়া প্রায় প্রতি বছরই চাল আমদানি করে সরকার। গত অর্থবছরেও প্রায় ১০ লাখ ৫৬ হাজার টন চাল আমদানি হয়। তবে এ বছর চাল আমদানি না করার পরিকল্পনা নেয় সরকার। এটিও চালের অযৌক্তিক দাম বাড়ার কারণ কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে। এজন্য মিলগুলোয় চালের মজুদ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা প্রয়োজন।
অতীতে দেখা গেছে, দফায় দফায় শুল্ক কমিয়ে বেসরকারি খাতকে চাল আমদানির সুযোগ দেয়া হলেও ভোক্তারা এর সুফল পায়নি। এ থেকেই স্পষ্ট সিন্ডিকেটের শেকড় কতটা গভীরে বিস্তৃত। মানুষকে জিম্মি করে যারা অনৈতিক ব্যবসা করবার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। যেভাবেই হোক নিত্যপণ্যের বাজারের অস্থিরতা দূর করা জরুরি।
প্রসঙ্গত, পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট খুচরাবাজারে তদারকি করতে আসে, জরিমানা করে। মজুদদারের কাছে যায় না। অথচ তদারকি করা দরকার বড় কোম্পানিগুলোর গুদামে। তারা কত টাকা মণ চাল কিনল, আর বিক্রি করল কত টাকায়Ñ এর হিসাব নেওয়া দরকার।
এদেশবাসীর প্রধান খাদ্য ভাত বা চাল। কাজেই চাল সরবরাহ ও চাল সস্তা রাখা তথা চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করাকেই-
সরকার তার প্রথম কাজ মনে করবে ও বাস্তবায়ন করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার বিশাল নথিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি দখলদার ১ লাখ ৬০ হাজার নাম এসেছে শুধু নাম সর্বস্ব না করে বনভূমি উদ্ধারের বাস্তব নজীর চাই
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরো সোনালী সমৃদ্ধি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কারফিউতে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে আরো আগুন। ধারদেনায় চলছে শ্রমজীবী মানুষ। তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করবে কে? সরকারকেই সবকিছু নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশের উদ্যোক্তারা ব্যাংক ঋণসহ বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত সরকারের উচিত- উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অপুষ্টির কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতি প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা; দেশের ৫০ ভাগ শিশুমৃত্যুর কারণ অপুষ্টি; অপুষ্টিতে শিশুদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বাড়ছে স্থুলতা। দেশের জনগণের প্রতি রাষ্ট্রযন্ত্রের কি কোনই দায়বদ্ধতা নেই?
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল খমিস, সাইয়্যিদুশ শুহাদা, শহীদে কারবালা, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। ঐতিহাসিক পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররমুল হারাম শরীফ।
১৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)