আহলান! সাহলান!! সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ১লা তারিখ আজ; যা মহিমান্বিত হিজরত মুবারক উনার সুমহান দিবস।
পবিত্র হিজরত শরীফ উনার সুমহান চেতনায় মুসলিম বিশ্বকে ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত হতে হবে।
এডমিন, ০১ রবীউর আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৭সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০২ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়

মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে সৃষ্টির শুরু হতে মাসের সংখ্যা ১২টি। তন্মধ্যে ৪টি মাসকে সাধারণ মানুষ হারাম বা সম্মানিত বলে জানে। কিন্তু সবচেয়ে সম্মানিত মাস বা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ, তা জানা এবং মানা প্রতিটি মুসলমানের জন্যই ফরয।
মুসলমানদের উচিত সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসের ফাযায়িল-ফযীলত সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সম্মানিত মাস উনাকে উদযাপনের জন্য বিশেষ জজবায় অনুপ্রণিত হওয়া এবং সর্বাত্মক কোশেশ করা। কারণ এ সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাপবিত্র মাসে মহান আল্লাহ পাক উনার পরেই যিনি, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। আবার এই যমীন থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারক-এ মিলিত হয়েছেন এ মহাপবিত্র মাসেই। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
এছাড়াও আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র নুবুওওয়াত শরীফ, পবিত্র হিজরত শরীফ এবং আরো বহু মুবারক ঘটনা এই মহাপবিত্র মাস মুবারকেই সংঘটিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার প্রথম দিন বা পহেলা তারিখ আজ। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে ‘পবিত্র হিজরত মুবারক’ করার মহাসম্মানিত দিবস।
পবিত্র হিজরত মুবারক উনার ঘটনা আবশ্যিকভাবে মুসলমানদের মাঝে অনেক নির্দেশনা ও নছীহত মুবারক প্রদান করে। প্রসঙ্গত, মুসলমান যে ভূ-খ-ে বা দেশে বাস করবে, সেখানে পরিপূর্ণ সম্মানিত ইসলামী আবহ থাকতে হবে। মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় অতিক্রম করলে অকল্পনীয় গায়েবী মদদ মুবারক লাভ হয়। এক মুসলমান অপর মুসলমান পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার রাহে অকল্পনীয় ভ্রাতৃত্ববোধে আবদ্ধ হবে। মুসলমান উনার সমাজ জীবনে পরিপূর্ণভাবে সম্মানিত ইসলামী আদর্শের প্রতিফলন পাবে।
প্রসঙ্গত, আর মাত্র ১০ দিন পর সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ মহাসম্মানিত ১২ই শরীফ।
যা মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ ১২ই শরীফ হিসেবে সমধিক পরিচিত। যা পালন করা শুধু মুসলমানই নয়, বরং কুল-কায়িনাতের সবার জন্য ফরয।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য- মুসলমানরা এ বিষয়ে খুবই লজ্জাজনকভাবে গাফিল। এমনকি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশেরও একই অবস্থা। এদেশের শতকরা ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও এদেশের গণমাধ্যমে আলোড়িত হয় ভাষার মাস, স্বাধীনতার মাস, বিজয়ের মাস ইত্যাদি। মিডিয়ায় হেডিং হয়-
“আজ শুরু ভাষার মাস।”
“স্বাধীনতার মাস- মার্চ”
“এলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর”
দেখা যাচ্ছে, মাসকে মূল্যায়নের উর্বর মানসিকতা এদেশবাসীর আছে। সেক্ষেত্রে অনিবার্যভাবে সর্বাগ্রে এবং সর্বোত্তমভাবে কোন্ মাসটি পালনের অবকাশ রাখে? তা যে সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম, মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস- এ সত্যটি এদেশবাসী ও সরকার যত তাড়াতাড়ি বুঝবে, ততই তাদের জন্য কল্যাণকর।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)