আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার আযীমুশ শান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ
, ২৩ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৪ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৩, মে, ২০২৪ খ্রি:, ২০ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
বেশুমার ছলাত ও সালাম মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত মামদূহ আক্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক স্মরণে। বেহদ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ ও সালাম শরীফ সাইয়্যিদাতুনা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের মুবারক চরণে। দোয়া চাই, করুণা চাই ছহিবু ইলমিল আউওওয়ালি ওয়াল আখিরি, জামি‘উন নিয়ামত মামদূহ আক্বা আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুবারক পাক ক্বদমে), যেন লিখতে পারি উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, বুযুর্গী-সম্মান মুবারক এই অধমে। গড়তে চাই ভবে মামদূহ আহাল পাক উনাদের ছানার তাজমহল। ক্বিবলা কা’বা উনার করুণা পেলেই হবো যে সফল।
ধন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শাওওয়াল শরীফ। ধন্য উনার নব হিলাল। ধন্য আসমানের ওই অসংখ্য শিহাব-সিতারা। ধন্য গ্রহ-নক্ষত্র-পর্বত সারা। ধন্য আরশ-ফরশ পুরো কায়িনাত। ধন্য হুর-মালাইক, মু’মিন-মু’মিনাত। ধন্য পুণ্য ওই নূরে রওশন আউলিয়াবাগ। বলছে সবাই আল বালাগ, আল বালাগ। তাশরীফ- শাহযাদী ঊলা সাইয়্যিদাহ্ মুহ্তারামাহ্। স্বাগতম হে হাবীবী আহাল পাক মিছাদাক্বে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম! আপনার মুবারক ক্বদম পরশে খোদ আরশ পাক ধনবান। মাখলূক্ব সবে জানাই আহলান সাহলান।
মারহাবা- ইয়া ঊলা শায়েখযাদী সাইয়্যিদাহ্ নূরী আত্বহার! আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার তরে সৃষ্টি করেছে অধীর আগ্রহে ইনতিযার। পুরিলো তাদের আশা- করিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ্ শরীফ আবাদ। মারহাবা- ইয়া মামদূহযাদী! জিন্দাবাদ! জিন্দাবাদ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মুত্বহহার, মুত্বহহির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার প্রথমা আওলাদ। তিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, মালিকায়ে জাহান। উনার মুবারক ক্বদম তলে সৃষ্টিকুলের শির শোভামান। হাবীবাহ্ হয়ে সৃষ্টি যিনি, কে লিখতে পারে উনার মুবারক শান-মান?
মুহূর্ত, ঘণ্টা, দিন কতেক বৎসর পেরিয়ে আবারও হাজির সেই মুবারক শাওওয়াল মাস। যেই বরকতী মাসে গুলে মদীনা, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আফদ্বালুন নিসা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের পক্ষ থেকে রহমতে খাছ নিয়ে দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়ে কুল মাখলূককে ধন্য-পুণ্য করেছিলেন। আজ খুশিতে বাগ বাগ করছে এই বরকতময় ফযীলতপূর্ণ মাস উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২তম নিশির জ্যোৎস্না। সিতারার দল আজ মিট মিট করে হাসছে। যেন তারা মুক্তার দানা বিলিয়ে দিচ্ছে সবার মাঝে। আর মনে মনে কার যেন মুবারক শান-মান বয়ান করছে। চাঁদ-তারার এই অপরূপ ঝিলিমিলি হাসি আজ সকলের মন কেড়ে নিয়েছে। এক আনন্দঘন, বিশাল রহস্যময় মুহূর্ত। এমন শুভ রজনী আর কেউ কখনও দেখেনি হয়তো।
এদিকে নদ-নদীতে পূর্ণ জোয়ার এসেছে। সাগর বক্ষের ঊর্মি মালায় খুশির ঢল নেমেছে। সিন্ধুর সমস্ত প্রাণীকুল তার সাথে একাত্ম হয়েছে। সমুদ্রের শামুক-ঝিনুক তাদের মুক্তা মেলে তথায় সৌন্দর্য বর্ধন করছে। আকাশ আর সাগরের এই নিখুঁত সাজ। দৃশ্য দেখে পৃথিবীও অপরূপ সাজে সুসজ্জিত হয়েছে আজ। পুষ্পে পুষ্পে ভরে গেছে পুরো বসুন্ধরা। গুলের সুবাসে আজ সকলে আত্মহারা। ডালে ডালে শুনা যাচ্ছে বুলবুলি পাখির সুমিষ্ট কলতান। সব তরু-লতা আজ পরেছে নতুন লেবাস। দোয়েল-কোয়েল, ময়না-শ্যামা আরো জানা অজানা হাজারো ধরনের হাজারো পাখি, কীট-পতঙ্গ, গর্তের পিপীলিকা গুন গুন করে তাদের ভাষায় ঈদের ধ্বনি তুলছে। এই তুলনাহীন অপরূপ দৃশ্য খোদ রব তা‘য়ালা উনার কুদরতী নজির, যা কোটি কোটি ঋতুরাজ বসন্তকে হার মানিয়েছে। মরুর বালিকণা তার অগণিত যবান দ্বারা সাইয়্যিদাতুনা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক উনার তাসবীহ পড়ছে। যমীনের নিচে লুকিয়ে থাকা সমস্ত হীরা-মণি-মুক্তা অমূল্য রতœ ভা-ারও আজ উনার মুবারক খিদমতে নিজেদেরকে বিলিয়ে দিতে পাগলপারা হয়ে উঠেছে। ওই তাহতাচ্ছারা হতে আরশে আলার মাঝে যত মাখলূক্বাত রয়েছে সকলেই নিজেদেরকে উনার মুবারক খিদমতে বিলিয়ে দিতে এরূপ বেকারার পেরেশান বনে গেছে। হে নির্বোধ মানুষ! তুমি হয়তো বুঝ না; কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টির সমস্ত মাখলূক্বাত তা বুঝে।
দেখ! দেখ! ওই দেখ! আজ খুলে গেছে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার সব বাব। হুর-গিলমান সব মালাইকার ললাটে ফুটেছে খুশির ভাব। তারা সবে নিয়ে উপস্থিত সম্মানিত জান্নাতী লু’লু মারজান। রহমতী দ্বার খুলে গেছে আজ। শোন উনার পবিত্র আযান। তামাম জিন-ইনসান সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার আনন্দে হয়েছে আত্মভোলা। দেখ! দেখ! সমস্ত সৃষ্টির দস্তে দস্তে শোভিছে সদ্য ফুটন্ত পুষ্পমালা।
আজ খোদা তা‘য়ালা উনার আরশ এবং হাবীবী রওযা শরীফ সেজেছেন নয়া সাজে। খুশির বন্যা বইছে খোদ ইলাহী-হাবীব মাঝে। আম্বিয়া-আউলিয়া শক্ত হস্তে ধরে আছেন সেই পথ। প্রকাশ হচ্ছে ওই শাহযাদী ঊলা উনার আলীশান আযমত।
ওই রসূলুম মিনাল মালাইকা হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি ঘোষিছেন এক মুবারক খোশ খবরী সারা কায়িনার পরে। বায়ু তা বহে নিয়ে গেছে ধরণীর প্রতি দ্বারে দ্বারে। তাই সকলের কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে এক বরকতময় মুবারক শুভ ধ্বনি। আজ মামদূহযাদী উনার আযীমুশ শান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ- সহসা নাও জানি।
মুত্বহহার, মুত্বহহির, হাবীবুল্লাহ, জামি‘উন নিয়ামত, ছহিবে ক্বাসিম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার পক্ষ থেকে এই আযীমুশ শান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ উনার অনুষ্ঠানের দাওয়াতনামা অনেক পূর্বেই হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, ওলী-আব্দাল, গাউছ, কুতুব, নক্বীব-নুক্বাবা রহমতুল্লাহি আলাইহিম, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম, জিন-ইনসান, হুর-পরী, পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ, জামাদাত-শাজারাত, হাজারাত অর্থাৎ তামাম কায়িনাত মাঝে পৌঁছে গেছে। তাই শুরু হলো শাহী আয়োজন। হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ জিন-ইনসান সকলেই লেগে গেল প্রাণপণে অতি আনন্দের সাথে এই আযীমুশ শান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবাতে আযীম শরীফ উনার বরকতী কাজে।
প্রস্তুত মাখলূক্ব তামাম। পূর্ণ হলো সকল আঞ্জাম। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ আজ সম্মানিত জান্নাতী জ্বালওয়ায় জ্বল জ্বল করে জ্বলছেন। অনবরত সেখানে বারিধারার ন্যায় মহান খোদা তা‘য়ালা উনার সম্মানিত রহমতে খাছ বর্ষিত হচ্ছেন। নূরে নূরে ভরে গেছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পাক দরবার শরীফ। হাজির তথায় হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, ওলী-গাউছ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাসহ সব মাখলূক্ব খোদা তা‘য়ালা উনার। বাদ মাগরীব সকলে অধীর আগ্রহে করছে ইনতিযার। কখন হবেন মুনাওওয়ার মজলিসে সাইয়্যিদী দুলহান ইযহার।
দেখ! ওই তো! আসছেন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের বেষ্টনীতে সম্মানিত গাড়ি মুবারক-এ সওয়ার হয়ে শাহ সাইয়্যিদ, নূরে মুকাররাম, হাবীবুল্লাহ, বাবুল ইলম, নব দুলহান, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী। বর্ষিত হলেন উনার উপর মুর্শিদী রহমত, হাবীবী-রববী নূর অবিরত ধারায়। এক অপূর্ব মুচকি হাসির শোভা দেখলাম অধম উনার মুবারক চেহারায়। আমার দিল সাগরে উথলে উঠলো আনন্দের মহা জোয়ার। আমি যে দেখতে পাচ্ছি খোদ মান্্যূরায়ে মদীনায়ে মুনাওওয়ার। গগণবিদারী তাকবীরে আজ আসমান-যমীন একাকার। বলছে সবে খোশ আমদেদ- হে সাইয়্যিদী দুলহান, নকশায়ে হায়দার! যেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দরবারে নববীতে হচ্ছেন আজ এই রহমত, বরকত, সাকীনাপূর্ণ মুবারক আয়োজন। যেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদে নববী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মিম্বার শরীফ উনার মধ্যে বসে আছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে বসে আছেন নূরী বদ্রী জ্যোৎস্না বেহেশতী নারীকুল উনাদের সাইয়্যিদাহ্, জান্নাতী নূরী মেহমান, সাইয়্যিদাতুন নিসা, হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম। তিনি নিজেই নূরুন আলা নূর। তবুও উনাকে আজ রববী হাবীবী, মুর্শিদী খাছ নূর, রহমত-বরকত সাকীনাহ্ ঘিরে রেখেছেন। এই দিকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মিম্বার শরীফ উনার সামনে দুই জানু মুবারক পেতে পূর্ণ আদব লয়ে সম্মানিত ছলাত উনার ছূরতে বসা যেন আসাদুল্লাহিল গালিব সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে শাওওয়াল শরীফ। লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার রাত)। সম্মানিত ছলাতুল ইশা উনার ওয়াক্ত। আজকের এই রহমত, বরকত, সাকীনাপূর্ণ আনন্দঘন জৌলুসপূর্ণ মুহূর্তে যেন হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাত, খাতুনে জান্নাত, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে খতানু মুছত্বফা আসাদুল্লাহিল গালিব হযরত আলী ইবনে আবী ত্বলিব আলাইহিস সালাম উনার মুবারক যাওজিয়াতে তুলে দিলেন। ক্ববূলিয়াত শোনে মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক খোদায়ী যবানে উচ্চারিত হলো ‘আলহামদুলিল্লাহ’। পঠিত হলো মুবারক খুতবাহ্। সম্পন্ন হলেন মক্ববূল মুনাজাত। আমীন! আমীন! বললো কুল-কায়িনাত। সঁপে দিলেন উনাদেরকে রব-হাবীব উনাদের নিকট। শুরু হলেন সাইয়্যিদাতুন নিসা, ছহিবাতুল খইর, ছহিবাতুল আয়াত, ছহিবাতুত তাক্বওয়া, হাবীবাতুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সাথে নূরে মুকাররাম, নূরে মুয়াযযাম, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নতুন জিন্দেগী মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মধ্যে শাহী মেহমানদারী চললেন। কায়িনাতের সমস্ত মেহমানগণ উনারা তৃপ্তিসহকারে আহার করলেন। আয়োজিত হলেন চারদিন ব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সামা শরীফ উনার মুবারক মাহফিল। পাঠ করলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বাছীদাহ্ শরীফ হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার এবং হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের মুবারক শানে জিন-ইনসান, হুর-মালাইক, পশু-পাখি, কুল-মাখলুক্বাত, আবাবীল। মুবারক হোক! মুবারক হোক! উনাদের নয়া জিন্দেগী। এই বলে সবাই হলেন অসীম নিয়ামতের ভাগী।
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহালু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাঝে মিশে গেলেন সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি। উনার মুবারক জীবন হলেন রহমত, বরকতে ভরপুর। সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী ঊলা ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা নকশায়ে হায়দার-যাহরা পুরা। উনাদের আপাদমস্তক রসূলী নূরে গড়া। উনাদের মুবারক পরশে ফুটুক ফের সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের গুল। নববী বাগে শোভা পাক নূরানী মুবারক ফুল অতুল। উনাদের সুবাসে ধন্য-পুণ্য হোক তামাম কায়িনাতবাসী। অনন্তকাল ঝরতে থাকুক উনাদের হতে খোদায়ী নাজ-নিয়ামত রাশি রাশি। নাজাতী নিশান, খিলাফতী ঝা-া উড়–ক ফের দিকে দিকে। আবারো আসুক ফিরে শান্তি শিমাল-যুনুব, মাগরিব-মাশরিকে।
আমার দেহ-মন, আপাদমস্তক দ্বারা প্রকাশিত ও প্রচারিত হোক মামদূহ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহালু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক ছানা। এটাই যে এই অধমের উনাদের পাক ক্বদমে প্রার্থনা। উনাদের মুবারক ছানা দিয়ে গড়বো ভবে তাজমহল। মামদূহ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহালু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক দয়া পেলেই হবো চির সফল। সহজ করে দিন ইয়া মামদূহ! আমার ইল্্মী পথ। আমি যে দেখবো আপনার কুদরতী আযমত। ছহীহ ইলিম, হুসনে যন চাই আক্বা আপনার নূরানী পাক ক্বদমে। লুকিয়ে থাকতে চাই আমি চিরকাল আপনার হেরেমে। জাহিরী-বাতিনী হাক্বীক্বী ইছলাহ্ দানুন আমারে। এই মুবারক সময়ে ভিক্ষা চাইছি ফকীর আপনার দুয়ারে। অশ্রুর নহর বহায়ে দিলাম আপনার মুবারক পদযুগলে। থাকতে চাই অনন্তকাল আপনাদের মাঝে মিলে। শিফায়ে জিসম- শিফায়ে ক্বলব চাই হে মালিক সুবহান! আপনি যে মোর তরে একমাত্র দারুল আমান। সাইয়্যিদাতুনা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের মুবারক উসীলায় মোরে করুন ক্ববূল। আপনি যে রহমাতুল্লিল আলামীন, মিছদাক্বে সাইয়্যিদী রসূল। আপনাদের ইশকেই হোক মোর মরণ। তবেই স্বার্থক হবে অধম গোলামের এই জীবন।
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত খিলাফত মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া (১)
০৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ
০৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৫)
০৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্ধকারে-আলোতে, দিনে-রাতে এবং সামনে-পিছনে সমান দেখতেন
০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৪)
০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঝুটা মুবারক খাওয়ার ফলে বরকত মুবারক লাভ
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল বারাকাত মুবারক উনার ফলে কূপের পানি সবচেয়ে অধিক সুপেয় ও সুমিষ্ট হয়ে যাওয়া
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বগল মুবারক উনার শুভ্রতা মুবারক
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৩)
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)