সম্পাদকীয় (১)
এবার ছাত্র-জনতাকে- ভারতের ভূ-রাজনীতির মারাত্মক আগ্রাসী জাল ছিন্ন করে সত্যিকার সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে আনতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ০৯ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৭ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৯ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বাংলাদেশে ভারতের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ আদায়ের উদাহরণ বৈশি^ক প্রেক্ষাপটে বিরল। বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্কের উপাদান দু’টি। প্রথমটি হলো- চীনের আঞ্চলিক আধিপত্য মোকাবেলা এবং দ্বিতীয়টি হলো- বাংলাদেশে ইসলামীকরণের ভীতি। দুটোই মূলত ভারতের নিরাপত্তা শঙ্কা থেকে উৎসারিত। উত্তর-পূর্ব ভারতের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশের মাটি প্রয়োজন ভারতের। আর বাংলাদেশে ইসলামীকরণ যত শক্তিশালী হবে ততই ভারতের কাশ্মির পরিস্থিতি এবং অভ্যন্তরীণ ডেমোগ্র্যাফি তাদের কল্পিত উদ্বেগের কারণ হয়ে পড়বে। অন্য দিকে উত্তর-পূর্বে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাজ্যগুলোর বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগ্রামও তাদের উৎকণ্ঠার কারণ রয়েছে। যদিও ভারতেরই ইন্ধন ও সহযোগিতায় সুদীর্ঘ প্রায় ২০ বছর শান্তিবাহিনী চট্টগ্রামের পাহাড়ে বাংলাদেশীদের রক্ত ঝরিয়েছে।
চির প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের মোকাবেলা ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ইসলামী মূল্যবোধ ঠেকানোর নীতিমালা থেকেই ভারতের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা হলো বাংলাদেশকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা এবং তার ওপর দিয়ে অবাধ যাতায়াতের বন্দোবস্ত করা। কিন্তু দেশের জাতীয়তাবাদী ও ইসলামপন্থী শক্তির কাছ থেকে তা আদায় করা সম্ভব হয়নি। সীমান্তে কাঁটাতার দিয়ে বাংলাদেশকে ঘেরাও করে রাখলেও যাতায়াতের জন্য ভূমি ব্যবহার করার অনুমতি পায়নি। তাই গত ১৫ বছর ধরে ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার বন্দোবস্ত করেছে। আর এই সময়ের মধ্যেই তারা বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নেয়ার চেষ্টা করেছে। ফেনী নদীর ওপর সেতু করে দ্রুততার সাথে বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে রেখেছে। কিন্তু এই ফেনী সেতু বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। কোনো কারণে ভারতের সাথে আমাদের বৈরিতা সৃষ্টি হলে এই কৌশলগত সেতু ভারতকেই সুবিধা দেবে।
ট্রানজিটের কথাটি আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর থেকেই আলোচনায় আসতে থাকে। তখন এটিকে এশিয়ান হাইওয়ে বা ট্রান্সএশিয়ান কানেকটিভিটি হিসেবে বলতে শোনা যায়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর এ বিষয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। আমাদের তিতাস নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে ভারতীয় ভারী যন্ত্রাংশ নদীপথে এনে আশুগঞ্জ থেকে সড়কপথে ত্রিপুরায় পৌঁছানো হয়। এরপর থেকে নৌ, রেল ও সড়কপথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যাত্রী ও মালামাল পারাপারের ব্যবস্থা চালু হয়। ভারতের প্রতি সহানুভূতিশীল আমাদের বড় বড় অর্থনীতিবিদ আগে এই ট্রানজিটের আয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানিয়ে ফেলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে শেখ হাসিনার একজন উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ বললেন, ভারতের কাছে ট্রানজিটের মাশুল চাওয়া সভ্যতাবিবর্জিত কাজ!
এই ট্রানজিটের সর্বশেষ রূপান্তর হলো রেল করিডোর। পত্রপত্রিকার তথ্য মতে দেখা যায়, ভারতের রেলগাড়ি তাদের নিয়ন্ত্রণে থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করে আবার ভারতের অপর অংশে চলে যাবে। এ দিকে ইতোমধ্যে মংলা বন্দরকে রেল যোগাযোগে সংযুক্ত করা হচ্ছে। আর মংলা বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ভারত পেতে যাচ্ছে।
ভারত ভূ-রাজনীতির মায়াজালে আমাদেরকে আবদ্ধ করে যেভাবে শতভাগ সুবিধা নিশ্চিত করে ফেলেছে।
ভারতের যানবাহনের যাতায়াতের জন্য রেলপথ, রাস্তাঘাট, ব্রিজ ইত্যাদির রক্ষণাবেক্ষণের চাপ আমাদের ওপর পড়বে। তাছাড়া আমাদের যোগাযোগব্যবস্থা দেশীয় যানবাহনের ট্রাফিকই সামলাতে পারছে না। বিদেশী যান চলাচল এই সমস্যা আরো প্রকট করে তুলবে।
আমাদের দেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় যানবাহনের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত নাজুক হবে। বাংলাদেশে জনগণের মধ্যে ভারতবিরোধী একটি অংশের উপস্থিতি রয়েছে। ফলে তাদের যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের অজুহাতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োজিত হতে পারে।
করিডোর দিয়ে ভারতীয় রেল চলাচলের সুবাদে চোরাকারবারিরা এ দেশকে মাদকদ্রব্য ও অবৈধ অস্ত্রের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ফেলার সুযোগ পাবে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে রেল করিডোর দিয়ে দিলে ভারতের সাথে আমাদের দরকষাকষির আর কিছু বাকি রইল কি?
এবার জাগরিত ছাত্র-জনতার জোর চেতনা ভারতের ভূ-রাজনীতির মারাত্মক আগ্রাসী জাল ছিন্ন করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব সত্যিকারভাবে ফিরিয়ে আনতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












