স্বাস্থ্যকথা:
কানে কম শোনার কারণ ও করণীয়
, ০৭ মে, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহিলাদের পাতা
কেউ জন্ম থেকেই শ্রবণশক্তির সমস্যায় ভোগেন, কারও সমস্যার সূত্রপাত পরবর্তী জীবনে। কেউ একেবারেই কানে শোনেন না, কেউ হয়তো আংশিক শোনেন। শিশুদের শ্রবণ থেকেই ভাষাগত দক্ষতা তৈরি হয়। শ্রবণযন্ত্রে সমস্যা থাকলে তা যত দ্রুত নির্ণয় করে চিকিৎসা দেওয়া যাবে, ততই সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা। তাই শিশুর জন্মের পর থেকে তার শ্রবণশক্তি লক্ষ করুন।
ঘুমন্ত শিশু জোরে উচ্চ শব্দে চমকে উঠবে। জাগ্রত শিশু জোরালো কোনো শব্দে ভয়ে চোখ বুজে ফেলে। জন্মের পর থেকে ২ মাস বয়স পর্যন্ত এগুলো লক্ষ করলে বোঝা যায়। ৪ থেকে ৫ মাস বয়সী শিশু কানের কাছে জোরে শব্দ হলে আড়াআড়িভাবে চোখের মণি নাড়ায়। ৬ থেকে ৭ মাস বয়সী শিশু শব্দের উৎসের দিকে ঘাড় ফেরায়।
সব সময় তার সামনে উচ্চারিত শব্দের মধ্যে সহজ কিছু সে উচ্চারণ করতে পারে এক বছর বয়স হলে, দেড় বছর হলে দুই শব্দের ছোট্ট বাক্যও বলতে পারে। এগুলো ঠিক থাকলে বোঝা যায়, তার শ্রবণতন্ত্র ভালো আছে।
এই বিষয়গুলোতে অসামঞ্জস্য লক্ষ করলে নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে অতিসত্বর। বেড়ে ওঠার সময়ে শিশুর সঙ্গে কথা বলা এবং তাকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়াও জরুরি, না হলে শ্রবণতন্ত্র ঠিক থাকা সত্ত্বেও শিশু কথা ঠিকমতো শেখে না।
শিশুর শ্রবণযন্ত্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গর্ভাবস্থায় মায়ের যতœ নিশ্চিত করুন। গর্ভাবস্থায় অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধ সেবন, ভাইরাস সংক্রমণ, এক্স-রে বা বিকিরণ গর্ভস্থ শিশুর বধিরতার ঝুঁকি বাড়ায়। অপরিণত নবজাতক জন্ম, জন্মের সময় নবজাতকের মস্তিষ্কে আঘাত কিংবা সন্তান¬সম্ভাবা অবস্থায় যদি গর্ভপাতের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়ে থাকে, তাহলে জন্মের পর শিশুটি বধির হতে পারে।
শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক যে কারও শ্রবণশক্তি কমে গেলে নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন যত দ্রুত সম্ভব। বাংলাদেশে উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি বর্তমান। শ্রবণে সাহায্যকারী কোষগুলো কার্যকর থাকলে কানে শোনার যন্ত্র ব্যবহার করা যায়। বাইরে থেকে যন্ত্রের উপস্থিতি বোঝা যায় না, এমন যন্ত্রও রয়েছে। তবে শ্রবণতন্ত্রের অন্তঃকর্ণের স্নায়ুকোষ কার্যকর না থাকলে অস্ত্রোপচার (ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট) করার প্রয়োজন পড়ে।
জন্ম থেকে বধির ব্যক্তির অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসার আরও কিছু ধাপ পেরোতে হয়, যা ক্রমান্বয়ে শ্রবণশক্তিকে ফিরিয়ে জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক করবে। শিশুদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার পাশাপাশি অভিভাবকের মিথস্ক্রিয়া (শিশুর চোখে চোখ রেখে বেশি বেশি কথা বলা এবং ডিজিটাল ডিভাইস এড়িয়ে চলা) খুবই জরুরি।
-ডা. মারুফ হাসান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হাশরের ময়দানে যে ৫টি প্রশ্নের উত্তর প্রত্যেককেই দিতে হবে
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












