বাংলাদেশে কখন ও কীভাবে শরীয়তবিরোধী যৌতুক প্রথার প্রচলন শুরু হয়
, ০৩ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১২, মে, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম অনুযায়ী বিয়ের সময় পাত্রকে পাত্রীর মোহরানা পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে উল্টো পাত্রী পক্ষকে যৌতুক দিতে বাধ্য করা হচ্ছে! ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে যৌতুক নামক প্রথা অপরিচিত ছিল। সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশে ১৯৪৫-১৯৬০ সালে যৌতুকের হার ছিল মাত্র ৩%। ১৯৮০ সালে আইনগতভাবে যৌতুক নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে যৌতুকের হার অনেকাংশে বেড়েছে, যা ২০০৩ সালে ছিল ৭৬%। কয়েক বছর আগে ব্র্যাক ও আমেরিকার পপুলেশন কাউন্সিলের সমীক্ষা অনুযারী বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা ভেদে যৌতুকের হার হচ্ছে ২০% থেকে ৮০%।
কিন্তু প্রাচীন মুসলিম সামজে যৌতুকের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। ইতিহাসেও পাওয়া যায় না।
এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকায় এর ইতিহাস আলোচনা করতে গিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
বিংশ শতকের শুরুতে বিধর্মী সমাজকে যখন যৌতুক প্রথা অস্থির করে তুলেছিল তখন মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজ নিশ্চিন্ত ও দুশ্চিন্তামুক্ত ছিল। শুধু তাই নয়, মুসলিম সমাজের মেয়েদের কদরও ছিল অনেক বেশি।
দীর্ঘদিন যাবৎ মুসলিম সমাজ ও বিধর্মী সমাজ কাছাকাছি বসবাসের কারণে সাম্প্রতিককালে আরো বিভিন্ন কুপ্রথার মতো এই যৌতুক কুপ্রথাটিও মুসলিম সমাজে প্রবেশ করে। (ইসলামের বৈধ ও নৈতিক প্রেক্ষাপট, তমিজুল হক, ব্যরিস্টার এট ল., পৃ. ৫২৮)
বাংলাদেশে যৌতুক প্রথা প্রচলনের কিছু কারণ:
১. পবিত্র দ্বীন ইসলাম থেকে সরে যাওয়া যৌতুক প্রথা বাংলাদেশে চালু হওয়ার মূল কারণ।
২. দীর্ঘদিন যাবৎ মুসলিম সমাজ ও বিধর্মী সমাজ কাছাকাছি বসবাসের কারণে।
৩. সমাজ বিজ্ঞানীর মতে বিধর্মী সংস্কৃতির প্রভাব বাংলাদেশে যৌতুক প্রথা প্রতিষ্ঠিত করতে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে।
৪. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী আমাদের দেশে যৌতুক প্রথা প্রতিষ্ঠার পেছনে মুসলিম বিবাহ সংক্রান্ত আইন-কানুন পরিবর্তন (দ্বিতীয় বিবাহে অত্যন্ত কঠোরতা ও বিবাহ-বিচ্ছেদ আইনত ঝামেলাপূর্ণ) ও বাকীতে মোহরানা দেওয়ার প্রবণতাকেও দায়ী করা হয়েছে।
৫. কন্যার বৈবাহিক জীবনের নিশ্চয়তার লক্ষ্যে ‘সিকিউরিটি মানি’ হিসেবে যৌতুক দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। অন্যদিকে পাত্ররাও মোহরানা বাকীতে পরিশোধ করতে চায়। এজন্য কন্যার অবিভাবকেরাও বড় অংকের মোহরানা ধার্য করে যা বেশীর ভাগ পাত্রই পরিশোধ করার সমর্থ রাখে না।
৬. যৌতুক গ্রহণে মানুষের লোভ অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে তরুন সমাজের বেশীর ভাগ যৌতুককে খারাপ দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে। কিন্তু দূর্মূল্যের বাজারে ‘ফাও’ পেতে সবারই থাকে প্রচ- আকাংখা।
যেহেতু পবিত্র শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে যৌতুক নেয়া বা দেয়া সম্পূর্ণ হারাম, সেহেতু মুসলমানাদের মুশরিকি প্রথা থেকে বের হয়ে আসার সর্বাগ্রে চিন্তা করতে হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কথিত ফ্যাশন হাউজগুলো অশ্লীলতার আমদানীকারক
২৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়ার অর্থ হচ্ছে- হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম এবং হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিরোধিতা করা!
২৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতবাসীর সমস্ত নিয়ামত মুবারক বণ্টনকারী
২৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শিরক কি? শিরক সম্পর্কে আলোচনা
২৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শোকরগোযারী দ্বারা নিয়ামত বৃদ্ধি পায় শোকর গোযার না করলে নিয়ামত বন্ধ হয়
২৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিলাদের জন্য হাত, পা ও চেহারা আবৃত করে ঘর থেকে বের হওয়া ফরজ। খোলা রেখে বের হওয়া হারাম, জায়েয বলা কুফরী (৪)
২২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত মীলাদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
২২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কোথায় যাকাত দিবেন, তা আগে যাচাই করে দেখতে হবে
২০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার পবিত্রতা রক্ষা করা সকলের জন্যেই ফরয
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র যাকাত পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মধ্যে দেয়াই উত্তম
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিলাদের জন্য হাত, পা ও চেহারা আবৃত করে ঘর থেকে বের হওয়া ফরজ। খোলা রেখে বের হওয়া হারাম, জায়েয বলা কুফরী (৩)
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)