কোন মু’মিন নর-নারীর জন্য জায়িয হবে না, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেই ফায়সালা মুবারক করেছেন, সেই ফায়সালার মধ্যে চু-চেরা, কিল ও কাল এবং মত পেশ করা
, ২২ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২২ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২১ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ০৮ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, কোন মু’মিন নর-নারীর জন্য জায়িয হবে না, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা যেই ফায়সালা মুবারক করেছেন, সেই ফায়সালার মধ্যে চু-চেরা, কিল ও কাল করা, যদি কেউ করে তবে সে মু’মিন থাকতে পারবে না। এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার শানে নুযুলে কি বলা হয়? এই পবিত্র আয়াত শরীফ কেন নাযিল হয়েছিলো? এ পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছিলো হাক্বীক্বী মু’মিন কাদেরকে বলা হয়।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফুফাতো বোন। তিনি উম্মুল মু’মিনীন হিসেবে পরিচিতি মুবারক প্রকাশ পাওয়ার পূর্বের ঘটনা। উনাকে বিবাহ দিতে হবে। উনার জন্য একটা পাত্র/ছেলে খুঁজতেছিলেন। এদিকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চিন্তা করলেন, হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকেও বিবাহ করাতে হবে, আর হযরত জয়নাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনাকে বিবাহ দিতে হবে। এখন একজন ছেলে দরকার, একজন মেয়ে দরকার। আর যদি বিষয়টি এখানেই ফায়সালা করা যায়, তাহলে তো আর আলাদা করে ছেলে-মেয়ের প্রয়োজন হয় না। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মনে মনে চিন্তা করলেন, হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কাছে হযরত জয়নাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনাকে বিবাহ দেয়া যেতে পারে। তিনি এটা চিন্তা করলেন। এ সংবাদ গিয়ে পৌঁছলো হযরত জয়নাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনার কাছে এবং উনার ভাই হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কাছে। উনাদের কাছে গিয়ে যখন সংবাদ পৌঁছলো, পৌঁছার পর উনারা মনে মনে চিন্তা করলেন, কুফুর বিষয়টা। বিবাহ-শাদীর মধ্যে কুফু একটা শর্ত আছে, ‘সমকক্ষতা’, সমকক্ষতা একটা শর্ত রয়েছে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি মনে মনে চিন্তা করলেন, আমরা কুরাইশ বংশীয়, আমরা অভিজাত ব্যক্তি। আর হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হলেন গোলাম। এটা কি করে সম্ভব হয়? তিনি চিন্তা করলেন, এই চিন্তা করার সাথে সাথেই মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে দিলেন-
وما نان لمؤمن ولامؤمنة اذا قضى الله ورسوله امرا ان يكون لهم الخيرة من امرهم ومن يعص الله ورسوله فقد ضل ضللا مبينا-
মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, “কোন মু’মিন নর-নারীর জন্য জায়েয হবে না, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেই ফায়সালা মুবারক করেছেন, সেই ফায়সালা মুবারকের খেলাফ করা। অর্থাৎ চু-চেরা, কিল ও কাল বা মত পেশ করা, যদি কেউ করে তাহলে সে প্রকাশ্য গোমরাহে গোমরাহ হয়ে যাবে। সে মু’মিন থাকতে পারবে না। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত জয়নাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনাদের কাছে গিয়ে যখন পবিত্র আয়াত শরীফ পৌঁছলো, উনারা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা কখনো দ্বিমত পোষণ করিনি। তবে চিন্তা করেছিলাম ‘কুফু’ হবে কি-না? এখান থেকে উপলব্ধির বিষয় হলো, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেই ফায়সালা মুবারক করেছেন, উনার ফায়সালা মুবারকের খিলাফ মত পোষণ করা জায়েজ নেই। যদি কেউ চু-চেরা, কিল ও কাল করে সে হাক্বীক্বী মু’মিন থাকতে পারবে না।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত ক্বদমবুছী মুবারক খাছ সুন্নাত মুবারক
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূঁজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (৯)
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাযিনু কামালিল্লাহ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বেমেছাল মুহব্বত মুবারক
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
উলামায়ে সূ’ ধর্ম ব্যবসায়ীদের পরিচিতি ও হাক্বীক্বত (৭)
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
০৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (৮)
০৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)