ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র নছীহত মুবারক (৪৪)
মহিলাদের ইজ্জত-সম্মান, পর্দা রক্ষা করার বিষয়ে সুখবর! সুখবর! সুখবর!
, ০৮ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০১ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০১ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১৫ই ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
(গত ০৯ রজবুল হারাম শরীফ ১৪৪৪ হিজরী শরীফ উনার পর)
যার প্রমাণস্বরূপ এই আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালের একটি ঘটনা নিম্নে তুলে ধরা হল- একজন সন্তান সম্ভাবনা মা ডেলিভারীর দিন এই হাসপাতালে ভর্তি হন। আল্ট্রা করে দেখা যায়, পেটের ভিতরে পানির পরিমাণ কমে গেছে। তখন ডাক্তাররা বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাচ্চা পানিশূণ্য হয়ে পড়বে এবং বাচ্চা বের করা কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু এদিকে বাচ্চা হওয়ার তেমন কোন আলামত তখনও প্রকাশ পাচ্ছিলনা। এর মধ্যে সন্ধ্যা হয়ে যায় কিন্তু তখনও বাচ্চা হওয়ার তেমন কোন আলামত প্রকাশ পাচ্ছিলনা। সন্ধ্যার পরে ডাক্তার এসে বলেন, “অনেক অপেক্ষা করা হয়েছে। আর আধাঘণ্টা অপেক্ষা করা হবে। এর মধ্যে যদি বাচ্চা না হয়, তাহলে সিজার করতে হবে। অন্যথায়, মা-বাচ্চা কাউকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। শুরু থেকে সমস্ত অবস্থায়ই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে জানানো হল, তখন তিনি বললেন, পড়া পানি খাওয়ার জন্য। তারপর পড়া পানি তিনবার অল্প অল্প করে মুখে দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তেমন কোন লেভার পেইন ছাড়াই নরমালে বেবী হয়ে যায়। ডেলিভারীর পর, বাচ্চাটির গলায় ডাবল কর্ড/নাড়ি পেঁচানো দেখা যায়। সাধারণত, এ ধরনের বেবীরা নরমালে হতে গেলে অনেক জটিলতা দেখা দেয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিজার করতে হয়। কিন্তু সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উসিলায় এই কঠিন বিষয়টি সহজ হয়ে যায় এবং মা-বাচ্চা উভয়ই পরিপূর্ণ সুস্থ থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
বলাবাহুল্য, সম্মানিত হাসপাতালটিতে যে সমস্ত চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে থাকেন এবং যে সমস্ত রোগীরা সেবা নিয়ে থাকেন উনাদের ভাষ্যমতে জানা গেছে, উনারা এরকম আরো অনেক কুদরতি শেফা লাভ করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গত, মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وجَعَلَ لِكُلِّ دَاءٍ دَوَاء فَتَدَاوَوْا وَلا تَداووا بحرام. رواه أبو داود
অর্থ মুবারক: “মহান আল্লাহ পাক তিনি সমন্ত রোগের ঔষধ সৃষ্টি করেছেন তোমরা সেসকল ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করো, আর হারাম জিনিস দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করো না। মহান আল্লাহ পাক তিনি রোগ নাযিল করেছেন এবং ঔষধও নাযিল করেছেন।” অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি শুধু রোগ নাযিল করেছেন। তা নয় অবশ্যই নিরাময়ের জন্য ঔষধও নাযিল করেছেন।
এছাড়া, রোগ নিরাময়ের জন্য কোন কোন ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না, সে সমস্ত বিষয়গুলোও সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে মুসলমান ঈমানদারদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَعَنْ حصرت أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ الله تعالى عَنْهُ نـهى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الدَّوَاءِ الخبيث رواه احمد و ابو داود و الترمذی وابن ماجه
অর্থ মুবারক: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নাপাক বা অপবিত্র ঔষধ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।” যেমন: এলকোহল।
সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কাছে আসার কারণে হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা করা যাবে না এ বিষয়টিও আমরা জানতে পারছি।
সঙ্গতকারণে বলতে হয়, যারা মহান আল্লাহ পাক ও উনার প্রিয় হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বতের দাবিদার, একমাত্র তারাই উনাদের আদেশ-নিষেধ মুবারক মান্য করবে এবং শরীয়ত মুতাবেক চিকিৎসা করার মাধ্যমে নিজের ঈমান-আমল, ইজ্জত-সম্মান হিফাজত করবে।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য: সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উম্মতের নাজাতের চিন্তায় প্রতিনিয়ত ব্যাকুল থাকেন। তাই উনার প্রতিটা কথা মুবারক, কাজ মুবারক, পদক্ষেপ মুবারক আমাদের জন্য পরম পাথেয়। কেননা, সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী ক্বায়িম-মাক্বাম। যার কারণে সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি দায়েমীভাবে সেই মহাপবিত্র শান মুবারকে অবস্থান মুবারক করে থাকেন। কিন্তু ফিকির না করার কারণে বিষয়টি উপলব্ধি করা সম্ভব হয় না।
পাশাপাশি আরো উল্লেখ্য, “আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী হলো ৩রা শা’বান শরীফ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ। যার ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালে তাশরীফ মুবারক রাখেন। যার ফলে ডাক্তার, রোগী, উপস্থিত সকলে এমনকি পুরো হাসপাতালটিই বরকতময় হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি হাসপাতাল এবং চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট উনার মহামূল্যবান নছিহত মুবারক রাখেন। উক্ত মজলিসে সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি ১৫ই শা’বান শরীফ উনার ফযিলত মুবারক সম্পর্কেও মহামূল্যবান নছিহত মুবারক করেন। এই সম্মানিত লাইলাতুম মুবারকাহ কিভাবে পালন করার মাধ্যমে উম্মাহ নাজাত লাভ করতে পারবে সেই বিষয়টিও জানিয়ে দিয়েছেন। উক্ত মজলিসে পবিত্র মিলাদ শরীফ পাঠ করা হয় এবং বরকতময় দোয়া-মুনাজাত শরীফের মাধ্যমে তিনি সকলকে নিয়ামত দান করেন।
তাই গোটা মহিলা জাতির জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবতে এসে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার যাবতীয় হুকুম-আহকাম জেনে তা যথাযথ পালনের মাধ্যমে, হায়াতে থাকতেই নিজেদের নাজাতের ফায়সালা করে নেয়া। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উসিলায় আমাদের সকলকে সেই তৌফিক দান করেন। আমিন।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












