খানা খাওয়ার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক
, ০৭ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৪ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ২২ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৬ অগ্রহায়ণ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
১। খানা খাওয়ার পূর্বে ওযূ করা এবং খানার পর ওযূ করা উভয়টি-ই খাবারের মধ্যে বরকত মুবারক লাভের কারণ। (শামায়েলে তিরমিযী শরীফ)
২। উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধোয়া। (আবূ দাউদ শরীফ)
৩। দস্তরখানা বিছিয়ে খাবার খাওয়া। (বুখারী শরীফ)
৪। দস্তরখানা খয়েরী রংয়ের এবং চামড়ার হওয়া খাছ সুন্নত মুবারক। (শামায়েলে তিরমিযী শরীফ)
খয়েরী রংয়ের চামড়ার দস্তরখানায় আহারের ফযীলত মুবারক :
খয়েরী রংয়ের চামড়ার দস্তরখানায় খাবার খাওয়া নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অন্যতম মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক।
সাইয়্যিদুনা হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার দস্তরখানাও চামড়ার ও খয়েরী রংয়ের ছিল এবং সেটা আসমান হতে অবতীর্ণ হয়েছিল।
যে ব্যক্তি খয়েরী রংয়ের চামড়ার দস্তখানায় আহার করবে, তার প্রতি লোকমার প্রতিদানে সে একশত করে ছওয়াব পাবে এবং সম্মানিত জান্নাতের একশত দরজা তার জন্য নির্ধারিত হবে। সে ব্যক্তি জান্নাতের মধ্যে সবসময়ই সাইয়্যিদুনা হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম ও অন্যান্য হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাজার হাজার ছলাত ও সালাম লাভ করবে।
আর যে ব্যক্তি খয়েরী রংয়ের চামড়ার দস্তরখানায় কোন গরীব দুঃখীকে আহার করাবে, তার জন্য শ্রেষ্ঠ প্রতিদান তার আমলনামায় লিখা হবে এবং যখন খাদ্য খাওয়া শেষ হবে, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি তার গুণাহগুলোকে মাফ করে দিবেন।
খয়েরী রং-এর দস্তরখানায় খাবার খাওয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনারও সুন্নত মুবারক এবং অন্যান্য হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদেরও সুন্নত মুবারক। সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি দস্তরখানায় খাবার না রেখে আহার মুবারক করতেন না।
যে ব্যক্তি কখনো চামড়ার তৈরী খয়েরী রং-এর দস্তরখানায় রুটি খাবে, সে এক উমরাহ পালন করার ছওয়াব লাভ করবে, এক হাজার ক্ষুধার্তকে পেট ভরে খাদ্য খাওয়ানোর ছওয়াবও লাভ করবে। সে ব্যক্তি এত বেশী ছওয়াব লাভ করবে, যেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের মধ্যে হাজার বন্দীকে মুক্ত করালেন।
যে ব্যক্তি সবসময় চামড়ার তৈরী খয়েরী রং-এর দস্তরখানায় আহার করতে থাকবে, রোজ হাশরে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি তার জন্য জান্নাতী পোশাক সহ বোরাক নিয়ে আসবেন। বোরাকের উপর উপবেশন করিয়ে এবং পোশাক পরিয়ে জান্নাতে নিয়ে যাবেন।
যে ব্যক্তি কোন মেহমানকে চামড়ার তৈরী খয়েরী রং-এর দস্তরখানায় আহার করাবে, সে প্রতিটি দানা; যা সে মেহমানকে ভক্ষন করাবে তার প্রতিদানে এক হাজার নেকী পাবে।
যে ব্যক্তি চামড়ার তৈরী খয়েরী রং-এর দস্তরখানায় খাবার খাবে এবং খাওয়াবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে রহমত মুবারকের নজরে দেখবেন এবং তাকে এক হাজার জান্নাতের প্রকোষ্ঠ দান করবেন। (আনিসুল আরওয়াহ, মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ, ৪৭/৬১)
৫। খানার শুরুতে পবিত্র বিসমিল্লাহ শরীফ পাঠ করা। (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
খানা খাওয়ার শুরুতে এই দু‘আ মুবারক পড়তে হয় -
بِسْمِ اللّٰهِ وَعَلٰى بَرَكَةِ اللهِ.
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নাম মুবারক স্বরণ করে এবং উনার বরকত মুবারক প্রত্যাশায় শুরু করছি।”
খানা খাওয়ার দু‘আ মুবারক ভুলে গেলে-
(স্মরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে) যেন বলে-
بِسْمِ اللّٰهِ اَوَّلهٗ وَاٰخِرهٗ.
অর্থ: “খাবারের শুরুতে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নাম মুবারক এবং শেষেও মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নাম মুবারক স্বরণ করে শুরু করছি।”
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওযূর একটি মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক অনিচ্ছাকৃত তরক করায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সতর্কতা মুবারক
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক - ২
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক -১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হাত ও পায়ের নখ কাটার মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেসব দিনে গোসল করা ও গোসলে কি কি ব্যবহার করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (১)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৪)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












