গ্রীনিচকে ০ (শূন্য) ডিগ্রি দ্রাঘিমায় ধরে মূল মধ্যরেখা স্থির করার কোন ঐতিহাসিক গুরুত্ব নেই: পবিত্র কা’বা শরীফ উনার অবস্থান ০ (শূন্য) ডিগ্রি ০ (শূন্য) মিনিট ০ (শূন্য) সেকেন্ড ডিগ্রি দ্রাঘিমা ধরে ১৫ ডিগ্রি অন্তর অন্তর সময় অঞ্চলে ভাগ করাই সর্বোত্তম (২)
, ১২ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৮ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
(ক) পৃথিবীর প্রাচীনতম স্থান পবিত্র কা’বা শরীফ:
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন মুসলমানগণের জন্য সম্মানিত ক্বিবলা হিসেবে নির্ধারণ করে দিয়েছেন পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে; যা পবিত্র মক্কা শরীফে অবস্থিত। পৃথিবীর চতুর্দিক থেকে অর্থাৎ পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ থেকে সকল মুসলমান পবিত্র কা’বা শরীফ উনার দিকে সম্মানিত ক্বিবলা ঠিক করে ছলাত আদায় করে। পৃথিবীর যে পবিত্রস্থানে এই পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ বা পবিত্র কা’বা শরীফ তৈরি হয়েছে তা পৃথিবীর কেন্দ্রে অবস্থিত এবং সেখান থেকে দু’পাশে পৃথিবী বিস্তৃত হয়েছে।
সূরা আলে ইমরান শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রকৃতপক্ষে, মানবজাতির জন্য প্রথম যে ঘর তৈরি করা হয়েছিল তা হচ্ছে এই পবিত্র বাক্কা বা মক্কা শরীফ। যা নিয়ামত দ্বারা পূর্ণ এবং মানবজাতির জন্য পথ প্রদর্শক। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৯৬)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “পবিত্র কা’বা শরীফ ছিল পানির উপর একটি ছোট পাহাড় এবং তার নিচ দিয়ে পৃথিবী সৃষ্টি হয়। ” অর্থাৎ পবিত্র কা’বা শরীফ উনার নিচের অংশটুকু ছিল পৃথিবীর প্রথম যমীন; যা বিশাল সাগরের মাঝে প্রথম সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সেই পবিত্রস্থানের চতুর্পার্শ্বে তা বিস্তার লাভ করতে থাকে এবং প্রথমে একটি বিশাল মহাদেশের সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে বর্তমানে যে সাতটি মহাদেশ আছে সেগুলো মূলত একটি মহাদেশ ছিল; যাকে বলা হয় Mother Continent (মাদার কন্টিনেন্ট) বা Pangaea (পেনগা)। যার অর্থ হচ্ছে, মূল মহাদেশীয় অঞ্চল। পরবর্তীতে এগুলো একে অপরের কাছে থেকে সরতে শুরু করে এবং বর্তমান অবস্থায় পৌঁছে।
বিশ্ব সৃষ্টির দু’ হাজার বছর পূর্বে মহান আল্লাহ পাক তিনি পানির দিকে দৃষ্টি মুবারক দেন তখন পানি ঘূর্ণায়মান এবং অশান্ত ছিল। সেখানে উজ্জ্বল আলোর মতো একটি বস্তু থেকে পৃথিবী সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তা চতুর্দিকে প্রসারিত হয়। সে কারণে পবিত্র মক্কা শরীফ উনাকে বলা হয় উম্মুল কুরা। পরবর্তীতে মহান আল্লাহ পাক তিনি পাহাড় সৃষ্টি করলেন এবং পৃথিবী শান্ত হয়। প্রথমে যে পাহাড় সৃষ্টি হয় তা হচ্ছে, আবু কুবায়েস পাহাড়। আবু কুবায়েস পাহাড়ের পাশেই সৃষ্টি হয় পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ।
(খ) যে স্থানের পবিত্রতা অপরিসীম:
পবিত্র কা’বা শরীফ এমন একটি স্থান যেখানে সৃষ্টির দু’হাজার বছর পূর্ব থেকেই পবিত্র কা’বা শরীফ উনার এলাকা তাওয়াফ করেছেন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম। প্রথম মানব ও নবী হযরত আদম আলাইহিস্্ সালাম তিনিও তাওয়াফ করেছেন এই পবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে। আর এই পবিত্র কা’বা শরীফ স্পর্শ পেয়েছেন যিনি নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিনি এখানে উমরা করেছেন, তাওয়াফ করেছেন। এই পবিত্র কা’বা শরীফ উনার বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে তিনি অসংখ্য অগণিত দোয়া করেছেন। প্রতিদিন অবারিত রহমত নেমে আসে এই পবিত্র কা’বা শরীফ উনার উপর।
-আবুল বাশার।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












