চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর দেশের উদ্যোক্তারা ব্যাংক ঋণসহ বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত সরকারের উচিত- উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
, ২৫ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
বদলাচ্ছে দেশের অর্থনীতির আকার। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থানের। কর্মসংস্থানের একটি বড় অধ্যায় হল আত্মকর্মসংস্থান। আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি নিজের কর্মসংস্থানের চিন্তা করে কাজে হাত দেয়। একজন আত্মকর্মসংস্থানকারী ব্যক্তি তখনই একজন উদ্যোক্তায় পরিণত হবে, যখন সে নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সমাজের আরও কয়েকজনের কর্মসংস্থানের চিন্তা নিয়ে কাজ শুরু করে। দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি কর্মসংস্থানেরও সুযোগ তৈরি করে উদ্যোক্তারা।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছে, ‘শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হতে হবে। শুধুমাত্র পাস করেই চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরা উদ্যোক্তা হতে হবে এবং অন্যকে চাকরি দেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে উদ্যোক্তাদের সংখ্যা। এক হিসেবে, দেশে ৭৮ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা রয়েছে। তবে উদ্যোক্তা বাড়লেও উদ্যোক্তাদের জন্য অনুকূল পরিবেশের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে দেশে।
দেশের কৃষি খাত কিছুটা ঋণ পায়। এর কারণ হচ্ছে, এর সাথে খাদ্য-নিরাপত্তার সম্পর্ক রয়েছে এবং সরকারের নীতিগত অবস্থান ও মনোযোগ রয়েছে। কৃষিঋণ নিয়ে পাবলিক সেন্টিমেন্টের একটা ব্যাপারও আছে। এ ব্যাপারে দেশের গণমাধ্যমগুলোও বেশ সজাগ। কিন্তু এসএমই খাতের ঋণ নিয়ে এখনো পাবলিক সেন্টিমেন্ট তৈরি হয়নি, কেউই সোচ্চার নয় এবং মিডিয়াও খুব বেশি কথা বলে না।
এ খাতে একটা সমস্যা হচ্ছে অর্থায়ন সঙ্কট। এর উদ্যোক্তারা ব্যাংক ঋণ কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খুব কম পায়। বেশির ভাগ সময় তারা মাইক্রো ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউশন তথা এনজিওর ওপর নির্ভরশীল। অবশ্য কিছু ব্যাংকের এসএমই সেক্টর কর্মসূচি তাদের কিছু সহায়তা করে থাকে। এর বাইরে গতানুগতিক ভাবধারায় চলা ব্যাংকগুলো তাদের অর্থায়ন করতে চায় না। তাদের ঋণ দেয়া ঝুঁকিপূর্ণ, অল্প অল্প করে অধিক মানুষকে ঋণ দিতে হয়, সুপারভিশন করতে প্রচুর সময় ব্যয় হয়। এ রকম নানা অজুহাত দেখিয়ে থাকে ব্যাংকগুলো। ফলে উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হয়।
বিগত তথাকথিত লকডাউন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সরকার থেকে যে প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়া হয়েছিলো তার মধ্যে রফতানি খাত, বিশেষ করে আরএমজি এক্সপোর্ট সেক্টর, তারপর বৃহৎ শিল্পের অন্যান্য সেক্টরে অতি দ্রুত প্যাকেজের টাকা শেষ হয়ে যায়; কিন্তু এসএমই খাতে ব্যাংকগুলো বরাদ্দ টাকা দিতে পারেনি।
উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিধিবিধানগত শর্ত পূরণ এবং একই উদ্দেশ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দেশে যেসব হয়রানি, দীর্ঘসূত্রতা ও অনিয়মের চর্চা রয়েছে, সেগুলোও উদ্যোক্তাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে গ্রহণের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। অনেক সম্ভাবনাময় আগ্রহী নতুন উদ্যোক্তাই এসব ‘ব্যয়বহুল’ ও হয়রানিপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার ধরন দেখে ভয় পেয়ে গিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপারে সব আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
উদাহরণস্বরূপ: বাংলাদেশে যেকোনো ব্যবসায় বা শিল্প শুরু করার জন্য প্রথমেই দরকার হয় স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স। এ ট্রেড লাইসেন্স পেতে যুক্তিসংগত পরিস্থিতিতে সাধারণভাবে কত দিন লাগার ও কত ব্যয় হওয়ার কথা, আর বাস্তবে কত দিন লাগে ও কত ব্যয় হয়, তার একটি হিসাব করলেই উদ্যোক্তা উন্নয়নের পুরো প্রক্রিয়ার হয়রানি ও ‘ব্যয়’ সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারণা পাওয়া সম্ভব।
এক কথায়- প্রধানমন্ত্রীসহ সরকার সংশ্লিষ্টরা উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করলেও দেশের উদ্যোক্তারা অবহেলাপূর্ব পরিস্থিতির শিকার। অন্যদিকে- উদ্যোক্তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ শুধু বক্তৃতা-বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ থাকায় উদ্যোক্তা জাতীয় অর্থনীতিতে যতটা অবদান রাখার কথা ছিলো ততটা রাখতে পারছে না। তবে বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি অন্যান্য দেশের নয়। বাংলাদেশের জিডিপিতে ২০ থেকে ২৫% অবদান এসএমই খাতের। কিন্তু ওইসিডিভুক্ত ইউরোপীয় সদস্য দেশগুলোর জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান ৫৫%। চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিপিতে ৬০ থেকে ৭০% অবদান রাখছে এসএমই খাত। বেশির ভাগ কর্মসংস্থানও তাদের এসএমই খাতে।
প্রসঙ্গত, পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা না পেলেও এই উদ্যোক্তারা দেশের জিডিপিতে অবদান রাখেন ২৫%। উদ্যোক্তাদের কারণে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এক্ষেত্রে যদি উদ্যোক্তাদের পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়, উদ্যোক্তাদের বহুবিধ সমস্যাগুলোর সমাধান করা হয় তাহলে উদ্যোক্তারা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরো সুঠাম করতে পারতো।
আমরা মনে করি সরকারের উচিত- উদ্যোক্তাদের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করার পাশাপাশি তাদের জন্য সুদবিহীন ব্যাংক ঋণ, উদ্যোক্তাবান্ধব ব্যবসায়িক নীতিমালা, বাজেটে তাদের জন্য অর্থায়নসহ উদ্যোক্তাদের সার্বিক উন্নয়নে যথাযথো পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আর তাতে করেই দেশের তরুণ সমাজ চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ায় উৎসাহিত হবে। দেশে উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। জাতীয় অর্থনীতিতে তাদের অবদান বৃদ্ধি পাবে। বিপুল মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












