ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
ইসলামী আক্বীদার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম (১২)
, ২৩ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৭ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২১ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
একজন মুসলমান নর এবং নারী যদি খালিছ মুসলমান থাকতে চায়, ঈমানদার থাকতে চায়, মু’মিন হতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে আক্বীদা বিশুদ্ধ করতে হবে। আক্বীদা বিশুদ্ধ করা হচ্ছে ফরয। যার আক্বীদা শুদ্ধ নেই সে মু’মিন মুসলমান হিসেবে সাব্যস্ত হবে না। এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا آمِنُوْا بِاللهِ وَرَسُولِهٖ وَالْكِتَابِ الَّذِيْ نَزَّلَ عَلٰى رَسُولِهٖ وَالْكِتَابِ الَّذِيْ أَنْزَلَ مِنْ قَبْلُ وَمَنْ يَّكْفُرْ بِاللهِ وَمَلَائِكَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيْدًا
মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا آمِنُوْا
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা ঈমান আনো
بِاللهِ وَرَسُولِهٖ وَالْكِتَابِ الَّذِيْ نَزَّلَ عَلٰى رَسُولِهٖ وَالْكِتَابِ الَّذِيْ أَنْزَلَ مِنْ قَبْلُ
মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এবং উনার প্রতি যা নাযিল হয়েছে- অর্থাৎ পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ বা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার প্রতি এবং পূর্ববর্তী হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি এবং যেই পবিত্র কিতাব নাযিল হয়েছে উনাদের প্রতিও। এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলেন-
وَمَنْ يَّكْفُرْ بِاللهِ وَمَلَائِكَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ
যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনাকে অস্বীকার করলো, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অস্বীকার করলো, কিতাবসমূহ অস্বীকার করলো, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অস্বীকার করলো এবং পরকালকে অস্বীকার করলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيْدًا
সে সুদূর গোমরাহীতে গোমরাহ, বিভ্রান্তিতে সে বিভ্রান্ত।
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوْا ثُمَّ كَفَرُوْا ثُمَّ آمَنُوْا ثُمَّ كَفَرُوْا ثُمَّ ازْدَادُوْا كُفْرًا لَمْ يَكُنِ اللهُ لِيَغْفِرَ لَهُمْ وَلَا لِيَهْدِيَهُمْ سَبِيْلًا بَشِّرِ الْمُنَافِقِيْنَ بِأَنَّ لَهُمْ عَذَابًا أَلِيْمًا
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوْا ثُمَّ كَفَرُوْا
নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে এবং কুফরী করেছে
ثُمَّ آمَنُوْا ثُمَّ كَفَرُوْا
আবার ঈমান এনেছে অতঃপর আবার কুফরী করেছে
ثُمَّ ازْدَادُوْا كُفْرًا
এরপর কুফরী বৃদ্ধি করলো, এরমধ্যে দৃঢ়চিত্ত হয়ে গেলো
لَمْ يَكُنِ اللهُ لِيَغْفِرَ لَهُمْ وَلَا لِيَهْدِيَهُمْ سَبِيْلًا
মহান আল্লাহ পাক তিনি এদেরকে ক্ষমা করবেন না এবং এদেরকে সৎপথও দেখাবেন না। অর্থাৎ এরা ক্ষমা ও সৎপথ পাওয়ার অযোগ্য হয়ে গেছে।
بَشِّرِ الْمُنَافِقِيْنَ بِأَنَّ لَهُمْ عَذَابًا أَلِيْمًا
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এরা হচ্ছে মুনাফিক। এদেরকে জাহান্নামের সংবাদ দান করুন। এদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই এ আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ঈমানের বিষয়টি, আক্বায়িদের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
হে ঈমানদারগণ! তোমরা ঈমান আনো অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি যে সমস্ত বিষয়গুলোর প্রতি ঈমান আনতে বলেছেন এর থেকে ফিরে যেয়োনা। আর যারা ঈমান আনার পরে কুফরী করবে হয়তো তারা আবার ছূরতান ঈমান আনবে কিন্তু হাক্বীক্বতান তারা কুফরী করবে এবং পর্যায়ক্রমে তারা কুফরীর মধ্যে দৃঢ়চিত্ত হয়ে যাবে। এরা কস্মিনকালেও ক্ষমাও পাবে না, হিদায়াতও লাভ করবে না। এরা মুনাফিক হিসেবে সাব্যস্ত হবে। এদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে পরকালে। সেটাই পবিত্র হাদীছে জিবরীল উনার মধ্যে বলা হয়েছে, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মাধ্যম দিয়ে পরবর্তী উম্মতদেরকে তা’লীম দেয়ার জন্য হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে মাঝে মাঝে পাঠাতেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছ থেকে মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করে জানানোর জন্য অত্যন্ত আদব ও শরাফতের সাথে। তার মধ্যে একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ যা পবিত্র হাদীছে জিবরীল আলাইহিস সালাম নামে মশহূর। (অসমাপ্ত)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পুরুষের জন্য কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই শান্তি ও পবিত্রতা হাছিলের কারণ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সীমালঙ্ঘনকারী কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












