পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরা সম্পর্কে-
ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াজ শরীফ (৭)
, ১৬ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَكُلُوْا وَاشْرَبُوْا حَتّٰى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِـمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَكُلُوْا وَاشْرَبُوْا
তোমরা খাও ও পান করো।
حَتّٰى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْـخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْـخَيْطِ الْأَسْوَدِ
সেটা হচ্ছে, ছুবহি কাযিব থেকে ছুবহি ছাদিক্ব যাহির হওয়া পর্যন্ত। ছুবহি ছাদিক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। ছুবহি ছাদিকের পূর্ব পর্যন্ত খাওয়া যাবে। এরপর
ثُمَّ أَتِـمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ
পবিত্র রোযা পূর্ণ করবে কোন পর্যন্ত। রাত্র হওয়া পর্যন্ত। অর্থাৎ মাগরিব হওয়া পর্যন্ত। সূর্য ডুবে গেলে তখন পবিত্র রোযা শেষ হবে, ইফতার করতে হবে। পবিত্র রোযা উনার মাসটা হচ্ছে চাঁদের সাথে, অর্থাৎ সূর্য ও চাঁদ উভয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে একসাথে। আবার সাহরী ইফতারী হচ্ছে সূর্যের সাথে। আবার পবিত্র যাকাতের যে বিষয়টা রয়েছে, সেটা হচ্ছে-
اٰتُوا الزَّكَاةَ
পবিত্র যাকাত আদায় করো। কখন আদায় করবে? মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
حَالَ عَلَيْهِ الْـحَوْلُ
যখন বৎসর পূরা হবে। কোন বৎসর হবে? সূর্যের বৎসর না, চাঁদের বৎসর। এখানে চাঁদের বৎসর হবে। সৌর বৎসর অনুযায়ী কেউ যদি যাকাত দেয় সেটা আদায় হবে না। এটা ভুল হবে। চন্দ্র বৎসর অনুযায়ী তাকে পবিত্র যাকাত আদায় করতে হবে।
সেটা পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنِ اسْتفَادَ مَالًا، فَلَا زَكَاةَ عَلَيْهِ حَتّٰى يَـحُوْلَ عَلَيْهِ الْـحَوْلُ.
হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি কোন মাল লাভ করেছে তার সেই মালে (যাকাত) হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত উক্ত মালের উপর এক বৎসর অতিবাহিত না হবে।
অর্থাৎ এক বৎসর পুরা না হলে যাকাত দিতে হবে না। এখন সে বৎসরটা হচ্ছে চাঁদের বৎসর। সেটা পুরা হতে হবে, তখন যাকাত ফরয হবে। কাজেই এখানে যাকাতটা চাঁদের সাথে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু ছদাক্বাতুল ফিতর। এখন ছদাক্বাতুল ফিতর পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের সাথে সংশ্লিষ্ট। যেটা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
فَرَضَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ صَدَقَةَ الْفِطْرِ
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র ছদাক্বাতুল ফিতরকে ওয়াজিব করে দিয়েছেন উম্মতের জন্য। পবিত্র ছদাক্বাতুল ফিতর হচ্ছে-
حَقٌّ وَّاجِبٌ عَلٰى كُلِّ مُسْلِمٍ صَغِيْرٍ أَوْ كَبِيْر حُرٍّ أَوْ مَـمْلُوْكٍ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثٰى
পবিত্র ছদাক্বাতুল ফিতর হচ্ছে ওয়াজিব, যেটা বলা হচ্ছে ছোট-বড়, আযাদ-গোলাম, পুরুষ-মহিলা সকল মুসলমানের জন্য। এতে চাঁদের মাসয়ালার সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। কিন্তু ওয়াজিব হয় কখন? তা সূর্যের সাথে সংশ্লিষ্ট। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের পূর্বে কেউ যদি পবিত্র ছদাক্বাতুল ফিতর আদায় করে সেটা আদায় হবে না। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার চাঁদ উঠার পরে আদায় করতে হবে। কিন্তু ওয়াজিব হবে কখন সেটা হচ্ছে, ঈদের দিন ছুবহে ছাদিক্বের সময়। পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসের পহেলা তারিখে ছুবহে ছাদিক্বের সময় ছদক্বাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়। এখন কেউ যদি ছুবহে ছাদিক্বের পরে জন্ম গ্রহণ করে তাহলে তার উপর পবিত্র ছদাক্বাতুল ফিতর ওয়াজিব হবে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি না করুন যারা ছুবহি ছাদিকের আগে ইন্তিকাল করবে তাদেরও ছদক্বাতুল ফিতর ওয়াজিব হবে না। এটা পবিত্র রমাদ্বান শরীফের সাথে সংশ্লিষ্ট, কিন্তু ওয়াজিব হওয়ার বিষয়টি সূর্যের সাথে সংশ্লিষ্ট। আবার পবিত্র নামায, পবিত্র কুরবানী, বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযতো সূর্যের সাথেই সংশ্লিষ্ট। কিন্তু পবিত্র ঈদের নামায ও ছলাতুত তারাবীহর নামায, পবিত্র কুরবানী এসমস্ত কিন্তু মাস হিসেবে চাঁদের সাথে সংশ্লিষ্ট।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্বীন ও রাষ্ট্রকে আলাদা করার কথা বলায় শাহরিয়ার কবিরকে আইনি নোটিশ:
০৫ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
০৫ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বদ মাযহাব, বদ আক্বীদা ও বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (১০)
০৫ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াজ শরীফ (১০)
০৫ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জীবানু অস্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদীদের জাতি নিধনের ষড়যন্ত্র (৩)
০৪ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম
০৪ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস্ সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
০৪ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ৯ জন সম্মানিত ইমাম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন
০৪ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (২২)
০৪ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
“আত তাক্বউইমুশ শামসী”একটি নতুন সৌর সন (৩)
০৩ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৩২)
০৩ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র কুরবানী ও কুরবানীদাতার ফযীলত (৩)
০৩ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)