তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
(পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার আলোকে সংক্ষিপ্ত তাফসীরসহ)
, ০৬ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০৯ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
পবিত্র সূরা মাসাদ শরীফ উনার معنى الكلمات الطيبات (পবিত্রতম শব্দাবলী উনাদের অর্থ)
অর্থ আরবী শব্দ অর্থ আরবী শব্দ
হে يايها আপনি বলুন قل
আমি ইবাদত করিনা لا اعبد কাফিরেরা الكفرون
তোমরা ইবাদত করো تعبدون যার ما
তোমরা নও لا اننم এবং و
যাঁর ما উনার ইবাদকারী عبدون
এবং و আমি ইবাদত করি اعبد
ইবাদত কারী عابد আমি নই لا انا
তোমরা ইবাদত কর عبدتم যার ما
তোমরা নও لا انتم এবং و
যার ما উনার ইবাদত কারী عبدون
তোমাদের জন্য لكم আমি ইবাদত করি اعبد
এবং আমার জন্য ولى তোমাদের ধর্ম دينكم
আমার দ্বীন دين
পবিত্র সূরা মাসাদ শরীফ উনার সংক্ষিপ্ত ছহীহ্ তাফসীর বা ব্যাখ্যা মুবারক
‘পবিত্র সূরা কাফিরূন শরীফ’ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি এই বিষয়টি স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, মুসলমান ও কাফিরের তর্জ-তরীক্বা, নিয়ম-নীতি, আইন-কানূন কখনও এক হবে না। আরো বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, কাফির-মুশরিক, ইয়াহূদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীন তথা বিধর্মীরা সব সময় হক্বকে ভয় পাবে। অর্থাৎ মুসলমানদেরকে ভয় পাবে। যার কারণে তারা সবসময় চেষ্টা করবে কি করে মুসলমানদেরকে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের থেকে তথা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের থেকে সরিয়ে নেয়া যায়। মুসলমানদেরকে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের থেকে সরানোর জন্য তাদের ধর্মের সংস্কারের নামে তাদের ধর্মীয় নিয়ম-নীতি ছেড়ে ও তার কিছু কাটছাট করে নতুন নিয়ম-নীতি প্রণয়ন করে মুসলমানদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে দ্বীন ইসলাম উনার সংস্কারের নামে মুসলমানদের মধ্যে ঐ সমস্ত মনগড়া তর্জ-তরীক্বা প্রবেশ করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে।
যেমন বর্তমানে দ্বীন ইসলাম উনার নাম দিয়ে গণতন্ত্র, ভোট, নির্বাচনকে জায়িয করার চেষ্টা করছে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত পর্দাকে তুলে দেয়ার চেষ্টা করছে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ছবি তোলা, আঁকা, রাখা হারামকে হালাল করার চেষ্টা করছে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই একমাত্র আদর্শ অর্থাৎ অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়’ এ আয়াত শরীফ উনাকে গুরুত্ব না দিয়ে মুসলমান বিদ্বেষী কট্টর জাতি হিন্দু গান্ধীকে অনুসরণ করে হরতাল করছে। লক্ষ লক্ষ মুসলমানদের শহীদকারী নাস্তিক মাওসেতুংকে অনুসরণ করে লংমার্চ করছে। হিন্দু ও খ্রিস্টানকে অনুসরণ করে কুশপুত্তলিকা অর্থাৎ মূর্তি তৈরি ও দাহ করছে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আইন-কানূন বাদ দিয়ে ইয়াহূদী-নাছারাদের প্রবর্তিত ব্লাসফেমী আইন তলব করছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘আলিমুল গইব’ অর্থাৎ ‘সমস্ত কিছু জানেন’। আর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত ইল্ম হাদিয়া করা হয়েছে। সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যম দিয়ে এ বিষয়টা ‘পবিত্র সূরা কাফিরূন শরীফ’ উনার মধ্যে বার বার তাকিদ করেছেন যে, মুসলমানরা যেন কাফির তথা বিধর্মীদের স্পষ্ট করে বলে দেন, তারা যাকে মানে বা যার উপাসনা করে তাকে বা তাদেরকে মুসলমানদের পক্ষে মেনে নেয়া ও তাদের উপাসনা করা সম্ভব নয়। কারণ তারা মুসলমানদের রব মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত করে না। যদি করত তাহলে তারা অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মেনে নিত এবং তাদের ঐ সমস্ত উপাস্য অর্থাৎ মূর্তিদেরকে পূজা করতো না।
আর ইয়াহূদী-নাছারারা তাদের পবিত্র আসমানী কিতাব উনাকে ছেড়ে তাদের মনগড়া বানানো তর্জ-তরীক্বা কখনই পালন করত না। সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকিদ করে ইরশাদ মুবারক করেন, ইয়াহূদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক তথা বিধর্মীদের উপাস্যদের উপাসনা করা তথা তাদের মনগড়া বানানো তর্জ-তরীক্বা অনুসরণ করা কখনই সম্ভব নয়। কাজেই, তারা যদি এখন তওবা করে ফিরে আসে অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম উনাকে গ্রহণ করে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ও হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মেনে চলে তাহলে তাদের জন্য খায়ের-বরকত রয়েছে। আর মুসলমানরা অবশ্যই তাদের পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার উপর দৃঢ়চিত্ত ও ইস্তিক্বামাত থাকবে। আর বিধর্মীরা যদি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে না মেনে তাদের মনগড়া বাতিল ধর্মের উপর থাকে তাহলে সেটা তাদের নিজস্ব মত ও ইখতিয়ার। কাজেই, মুসলমানদের জন্য কখনই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে ছেড়ে অন্য কোন ধর্ম অনুসরণ করা জায়িয নেই। যদি কেউ অনুসরণ করে তাহলে সে কাট্টা কাফির ও চিরজাহান্নামী হয়ে যাবে। যেমন কাফিরেরা হবে।
(তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা থেকে সংঙ্কলিত)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা-হুসনে যন পোষণ করা ঈমান
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৬)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (১)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহিলাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ নির্দেশনা মুবারক- পর্দা পালন করা
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খরচ করার ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনার ফায়সালা
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৫)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (১)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিজাতীয় বিধর্মী তথা ইহুদী-নাছারাদেরকে অনুসরণ করা ইসলামী শরীয়তে হারাম-নাজায়িয
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র ‘ছলাতুল জুমুয়াহ’ উনার পূর্বে ৪ রাকায়াত সুন্নত নামায অর্থাৎ পবিত্র ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ’ নামায নিয়ে বাতিলপন্থিদের বিভ্রান্ত্রিকর ও মিথ্যা বক্তব্যের দলীলভিত্তিক জাওয়াব (৬)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












