তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা (পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার আলোকে সংক্ষিপ্ত তাফসীরসহ)
, ০৩ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১২, মে, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

পবিত্র সূরা নাস শরীফ
সংক্ষিপ্ত ছহীহ্ তাফসীর বা ব্যাখ্যা মুবারক
পবিত্র সূরা নাস শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষদেরকে নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন যে, মানুষ ও জিন খন্নাসের পক্ষ থেকে মানুষের ছুদূর বা অন্তরে অতি গোপনে খুবই সুক্ষèভাবে যে ওয়াসওয়াসা দেয়া হয়, সে ওয়াসওয়াসা থেকে তাদেরকে নিরাপদ রাখা বা পবিত্র করার জন্য। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন,
اِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّـخِذُوْهُ عَدُوًّا.
“নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। তোমরা তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করো। ” (পবিত্র সূরা ফাত্বির শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)
অতএব, শত্রুকে নিশ্চিহ্ন না করে অন্তরে স্থান দেয়াই হচ্ছে অন্তরের ধ্বংসের কারণ। তাই এই ধ্বংস থেকে অন্তরকে পবিত্র ও হিফাযত করার মাধ্যম হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
اَلَا بِذِكْرِ اللهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوْبُ.
“সাবধান! একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরের দ্বারাই অন্তর ইতমিনান লাভ করে। ” (পবিত্র সূরা রা’দ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮) অর্থাৎ যিকিরের দ্বারা ক্বল্ব্ বা অন্তর সমস্ত প্রকার খারাবী ও ওয়াসওয়াসা থেকে পবিত্র ও নিরাপদ হয়ে থাকে।
وَمَن يَعْشُ عَن ذِكْرِ الرَّحْـمَنِ نُقَيِّضْ لَه شَيْطَانًا فَهُوَ لَهُ قَرِينٌ.
“যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির থেকে গাফিল হয় তার জন্য একটি শয়তান নির্দিষ্ট হয়ে যায়। আর সে তার সঙ্গী হয়ে যায়। ” (পবিত্র সূরা যুখরাফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)
চির শত্রু শয়তান ও সঙ্গী শয়তান এবং তার ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচতে হলে বা নিরাপদ থাকতে হলে দায়িমীভাবে ক্বল্বী যিকির করতে হবে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
الشيطان جاثـم على قلب بنى ادم فاذا ذكر الله خنث واذا غفل وسوس.
“শয়তান মানুষের ক্বলবের উপর বসে। যখন সে যিকির করে তখন শয়তান পালিয়ে যায়। আর যখন সে যিকির থেকে গাফিল হয় তখন শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয়। ” (বুখারী শরীফ)
অতএব, আদম সন্তান যতক্ষণ পর্যন্ত যিকির করবে ততক্ষণ পর্যন্ত শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে নিরাপদ বা হিফাযত থাকবে। আর গাফিল হলে শয়তান ওয়াসওয়াসা দিবে।
কাজেই, প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলাদের জন্য ফরয হলো, হক্কানী ওলীআল্লাহ উনার নিকট বাইয়াত হয়ে ক্বল্বী যিকির করে এবং উনার ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমে ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ মুবারক হাছিল করে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেকে হিফাযত করা।
বরকতময় শানে নুযূল বা অবতীর্ণের কারণ
‘পবিত্র সূরা ফালাক্ব শরীফ’ ও ‘পবিত্র সূরা নাস শরীফ’ নাযিল হওয়ার পিছনে লক্ষ-কোটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে যে বিষয়টা মাশহূর হিসেবে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এবং পবিত্র কুরআন শরীফ উনার তাফসীর শরীফ উনাতে যা বর্ণিত রয়েছে তাহলো- এক ইয়াহূদী যার নাম লবীদ বিন আসিম ও তার কন্যারা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর যাদু করেছিলো।
তাফসীরে ইবনে কাছীর, মুসনাদে আহমদ শরীফ, বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, নাসায়ী শরীফ ইত্যাদি কিতাব উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে। হযরত ইমাম সা’লাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ননা করেন, উক্ত ইয়াহূদী ও তার কন্যারা জনৈক বালকের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যবহৃত একটি চিরুনী মুবারক অথবা চিরুনী মুবারক উনার কয়েকটি দাঁত মুবারক এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাথা মুবারক উনার থেকে কয়েকখানা চুল মুবারক হস্তগত করে। অতঃপর উক্ত ইয়াহূদী এবং তার কন্যারা এ সমস্ত বিষয়ের উপর সুতা বা রশি দিয়ে এগারটা গিরো দেয় এবং প্রত্যেক গিরোর মধ্যে একটা করে সুঁচ সংযুক্ত করে। কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে, একটা মোমের পুতুল তৈরি করে সেখানে ঐ সমস্ত বিষয় রেখে তাতে এগারটা সুঁচ গেঁথে যাদু করে। এ সমস্ত উপকরণগুলি আবার খেজুর ফলের আবরণ বা মুকুলের মধ্যে জারওয়ান কুপের নীচে পাথর দ্বারা চাপা দিয়ে রাখে।
এক বর্ণনায় রয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বপ্নে দেখেন যে, একজন হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিস সালাম তিনি উনার মাথা মুবারক উনার দিকে, আরেকজন হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিস সালাম উনার পা মুবারক উনার দিকে বসে আলোচনা করছেন যে, উনার অসুস্থার কারণ হচ্ছে, উনাকে যাদু করা হয়েছে। কারা কারা করেছে, কিভাবে করেছে, কোথায় করেছে তা বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আরেক বর্ণনায় রয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে হযরত জিবরীল আলাইহিস্ সালাম তিনি এসে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সরাসরি যাদুর বিষয়টা বিস্তারিত জানান।
অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যাদুর বিষয়টা বিস্তারিত জানান এবং যাদু যাতে ক্রিয়া না করে সেজন্য ‘পবিত্র সূরা ফালাক্ব শরীফ’ ও ‘পবিত্র সূরা নাস শরীফ’ উনাদেরকে নাযিল করে যাদুকৃত বস্তুগুলির উপর পবিত্র ‘সূরা ফালাক্ব শরীফ’ ও ‘পবিত্র সূরা নাস শরীফ’ উনাদের পাঁচ এবং ছয় মোট এগারখানা আয়াত শরীফ তিলাওয়াত করতে বলেন অথবা তিলাওয়াত মুবারক করে ফুঁ দিতে বলেন।
তখন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে হযরত আম্মার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে এবং হযরত যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে উক্ত জারওয়ান কুপ থেকে যাদুকৃত বস্তুগুলি উত্তোলন করে নিয়ে আসতে বলেন। আনার পর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘পবিত্র সুরা ফালাক্ব শরীফ’ ও ‘পবিত্র সূরা নাস শরীফ’ উনাদের এগারখানা আয়াত শরীফ পর্যায়ক্রমে তিলাওয়াত মুবারক করেন। সাথে সাথে এগারটি গিরো খুলে গেল এবং সুঁচগুলো যা গাঁথা হয়েছিল সেগুলোও খুলে পড়ে গেল। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উক্ত ইয়াহূদী ও তার কন্যাদের যাদুকৃত রোগকে নিশ্চিহ্ন করে দেন।
উল্লেখ্য, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক উনার উপর উক্ত যাদু তেমন কোন ক্রিয়া করতে পারেনি। তবে পানি দ্বারা যেমন ঠা-া অনুভব হয়, আগুনের দ্বারা যেমন গরম অনুভব হয় এবং জ্বর হলেও শরীরে গরম অনুভব হয় তেমন একটা হালকা ক্রিয়া অনুভূত হতো। যাদু করা থেকে এবং যাদুকৃত রোগকে নিশ্চিহ্ন করা পর্যন্ত ছয় মাস সময় অতিবাহিত হয়েছিল।
প্রকৃতপক্ষে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দ্বারা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যাদুর বিষয়টাকে সত্যায়িত করে বান্দাদেরকে, বান্দিদেরকে তথা উম্মতদেরকে জানিয়ে দিলেন যে, যাদু এক প্রকার বিদ্যা রয়েছে যা শেখা ও শেখানো এবং কারো প্রতি করা ও করানো প্রত্যেকটিই হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
উপরোক্ত ঘটনা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, ইয়াহূদী সম্প্রদায় শুরু থেকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধিতা করে আসছে; যদিও তারা তেমন কিছু করতে পারেনি। তাদের এই বিরোধিতা এখনও চলছে এবং তা ক্বিয়ামত পর্যন্ত চলবে। আমরা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে দেখতে পাই, হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি আখিরী যামানায় আকাশ থেকে নাযিল হয়ে দাজ্জালকে ইয়াহূদীদেরকেসহ হত্যা করবেন। তখনও ইয়াহূদীরা দাজ্জালের সঙ্গী হয়ে মুসলমানদের বিরোধিতা করবে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে,
لَتَجِدَنَّ اَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لّلَّذِيْنَ امَنُواْ الْيَهُوْدَ وَالَّذِيْنَ اَشْرَكُواْ.
“মুসলমানদের সবচাইতে বড় শত্রু ইয়াহূদী অতঃপর মুশরিকরা। ” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮২)
অতএব, মুসলমানদের দায়িত্ব কর্তব্য হলো- ইয়াহূদী এবং তাদের সমজাতীয় যারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ও মুসলমান বিদ্বেষী সম্প্রদায় তাদের থেকে এবং তাদের তরফ থেকে কৃত জাদু, বান, টোনা, টোট্কা ইত্যাদি সর্বপ্রকার অনিষ্টতা থেকে বেঁচে থাকার জন্য রূহানী কুওওয়াত মুবারক হাছিল করা। আর এই রূহানী কুওওয়াত মুবারক হাছিল করতে হলে হক্কানী শায়খ উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ক্বল্বী যিকির ও শায়খ উনার ছোহবত ইখতিয়ার করার মাধ্যমে ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ মুবারক হাছিল করতে হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে শরঈ ফতওয়া (৩)
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (২)
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিজাতীয় বিধর্মী তথা ইহুদী-নাছারাদেরকে অনুসরণ করা ইসলামী শরীয়তে হারাম-নাজায়িয
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৫০)
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত ও নিসবত-কুরবত মুবারক ব্যতিত কখনোই পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের হাক্বীক্বী অর্থ ও ব্যাখ্যা করা সম্ভব না (২)
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (১)
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত শায়েখ আব্দুল ওয়াহিদ বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ক্বায়িম মাক্বাম
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)