তায়াল্লুক-নিসবত, মুহব্বত-নৈকট্য পাওয়ার বিশেষ আমল
, ২০ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১১ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১০ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
والله يختصى برحمته من يشاء .
অর্থ:- “মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা উনাকে খাছ রহমত দান করেন।”
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
ذلك فضل الله يؤتيه من يشاء.
অর্থ:- “উহা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ অনুগ্রহ। তিনি যাকে ইচ্ছা উনাকে তা দান করেন।”
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি উনাদের খাছ রহমত, দয়া, দান, ইহসান যারা লাভ করতে পারেন, উনারাই কেবল সমস্ত সৃষ্টির মাঝে শ্রেষ্ঠত্বের মাক্বামে সমাসীন হন। কায়িনাতের মধ্যে বিশেষভাবে স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে থাকেন। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিশেষ প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। জিন-ইনসানসহ সকল সৃষ্টি জীবনই উনাদের থেকে বিশেষ ফায়দা লাভ করে থাকেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জলিলুর ক্বদর রসূল, হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে একদিন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, হে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আপনি কি জানেন, আমি কবে আপনাকে খাছভাবে কবুল করেছি? তিনি বললেন, বারে ইলাহী! আমার তা জানা নেই। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আপনি পাহাড়ে ছাগল চরাকালীন একদিন একটি ছাগল পাল থেকে ছুটে আলাদা হয়েছিলো। আপনি তাকে ধরার জন্য ধাওয়া করেছিলেন। তাতে আপনার জালালী হালত জাহির (প্রকাশ) হয়েছিলো। ছাগলটি পাহাড়ে উঠতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে গড়তে গড়তে আপনার নিকট এসে পড়তেছিলো। আর ঠিক সেই সময়েই আপনি ছাগলটিকে ধরে কোলে তুলে নিলেন। আপনার দয়া হলো তার প্রতি। আপনি তাকে আঘাত করার পরিবর্তে কোলে নিয়ে আদর করলেন। বুছা দিলেন। তার প্রতি দয়া প্রদর্শন করলেন। আপনার এই আমল মুবারকটি আমার খুবই পছন্দ হলো। আর আমি তখনই আপনাকে খাছভাবে কবুল করে সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসলাত মুবারক প্রকাশ ঘটিয়ে দিলাম। সুবহানাল্লাহ!
বনী ইসরাইলের সেই ব্যক্তি, যে দুইশত বছর হায়াত পেয়েছিলো। সারাজীবন খারাপ কাজে ব্যয় করছিলো। কিন্তু পবিত্র তাওরাত শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মান ও মুহব্বত করতঃ উনার নাম মুবারকে বুছা দেয়ার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে খাছভাবে কবুল করেন।
হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রধান। তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অত্যন্ত আদব-ইহতারামের সাথে অধিক পরিমাণে পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করেছিলেন। ফলে খাছ রহমত, দয়া, দান, ইহসান লাভ করলেন। মহান আল্লাহ পাক খুশি হয়ে সম্মানিত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যমনিতে পরিণত করেছিলেন।
-আল্লামা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা শক্ত হারাম, রয়েছে কঠিন শাস্তি
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাই উম্মুল কায়িনাত
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
একমাত্র মহান আল্লাহ পাক ব্যতিত অন্য কারও অনুসরন করার বিষয়ে বাতিলপন্থীদের বিভ্রান্তির জাওয়াব
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ভোট, নির্বাচন, পদপ্রার্থী হওয়া ইত্যাদি কোনটিই জায়িয নেই
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী ও মুশরিকরা
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সত্যের মাপকাঠি
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৫৬)
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)