স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা:
তিনি তো খোদায়ী ইলমের অধিকারী
, ০৫ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৫ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ০৯ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
উনার এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য মুবারক স্থানান্তরিত হয়েছে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাঝে। এ সংক্রান্ত অনেক ওয়াকেয়া আমি পড়েছি, শুনেছি কিন্তু হাক্বীক্বত উপলব্ধি করতে পারিনি। উনাদের এই শান মুবারকের প্রকৃত বুঝ আমার তখনই হয়েছে, যখন আমি উনাদেরই অন্যতমা ব্যক্তিত্বা মুবারক সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে এই শান মুবারকে চাক্ষুষভাবে দেখার সৌভাগ্য লাভ করেছি।
ঘটনাটি আমার ছোট বোনকে নিয়ে। সে সন্তানসম্ভাবা থাকা অবস্থায় তার মনের আরজু ছিল যেন তার সন্তান সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার তত্ত্বাবধানে দুনিয়ায় আগমন করে। মহান আল্লাহ পাক উনার মাহবুবা ওলী তিনি তো সবই জানেন! দেখা গেল মাদরাসায় থাকা অবস্থায় তার প্রসব বেদনা শুরু হল। সুবহানাল্লাহ!
আমি তো ছিলামই, আবার বোনের শাশুড়ী, দাই মহিলাও সাহায্য করার জন্য এসে উপস্থিত হল। কিন্তু আমরা সবাই থাকার পরেও সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সারাটা সময় আমার বোনের মাথার কাছে একটি মোড়া মুবারকের উপর বসে ছিলেন এবং বারবার ফুঁ মুবারক দিচ্ছিলেন, সান্তনা দিচ্ছিলেন, সাহস জোগাচ্ছিলেন। অনেক ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও একটিবারের জন্যও তিনি সেখান থেকে উঠে যাননি। সুবহানাল্লাহ!
এদিকে ব্যথা ক্রমাগত বাড়ছিল কিন্তু জরায়ুর মুখ খুলছিল না। এমতাবস্থায় একজন ‘ডুশ’ ব্যবহার করার কথা বললে সেটা ব্যবহার করতেই ইস্তেঞ্জা বের হয়ে রুমটা নোংরা হয়ে যায়। তখন একজন রুমটা কোনমতে পরিষ্কার করলেও ভালোভাবে পরিষ্কার হয়নি। তাই পরম দয়া ও ইহসানে ভরপুর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি নিজ হাত মুবারকে একটি মগ নিয়ে পুনরায় নিপুণভাবে পুরো রুমটা মুছে ফেললেন। সুবহানাল্লাহ!
এর কিছুক্ষণ পরে জরায়ুর মুখ যখন প্রায় খুলে গেছে তখন তিনি বললেন, আমার বোনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কারণ হিসেবে তিনি পরবর্তীতে বলেছিলেন, হাসপাতালে যেতে হলে আমার বোনকে সিঁড়ি দিয়ে নামতে হত। ঐ সময়ে জরায়ুর মুখ যেহেতু প্রায় খুলে গিয়েছিল, তাই সিঁড়ি দিয়ে নামতে গেলে বাকিটুকু সহজে খুলে যেত এবং হাসপাতালে যাওয়ার পর আর নরমাল ডেলিভারি হতে সময় লাগত না। উনার সময়ের হিসাব যে কত সূক্ষ্ম তা বোঝা গেল যখন সত্যিই হাসপাতালে নিয়ে যাবার একটু পরেই আমার বোনের সন্তান সুষ্ঠুভাবে দুনিয়ায় আসলো। সুবহানাল্লাহ!
মানুষ রোগীর সেবা করার বিষয়ে কত পড়াশোনা করে! কত ট্রেনিং নেয়! তবুও পরিপূর্ণতায় পৌঁছাতে পারে না। কিন্তু সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি তো খোদায়ী ইলমের অধিকারী, তাই উনার বিষয়টা সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি আমাদেরকেও এই ইলমের হিস্যা দান করার লক্ষ্যে প্রায়ই হাতে কলমে বুঝিয়ে দেন যে রোগীর সেবা কিভাবে করতে হয়। আমরা যেন উনার এই অসীম দয়া ইহসান মুবারকের যথাযথ শুকরিয়া আদায় করতে পারি সেই আরজুই উনার ক্বদম মুবারকে জানাচ্ছি।
-খন্দকার জাঈমা আহমাদ
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












