সম্পাদকীয়-২
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৬ কোটি মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকে না সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ৪০-৫০% কর্মী স্বাস্থ্যসেবার সব সমস্যা দূরীকরণে যথাযথ সক্রিয় হতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ১৭ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৯ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১৮ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ৩ চৈত্র, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
সারা দেশের সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীদের বিভাগভিত্তিক দৈনিক উপস্থিতি বা হাজিরার হার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্যাশবোর্ডে নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে। এ পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীদের গড়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ প্রতিদিনই কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকছে।
আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিরা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারলেও স্বল্প আয়ের মানুষের চিকিৎসার প্রধান ভরসা হলো সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো। কিন্তু পর্যাপ্তসংখ্যক কর্মীর অনুপস্থিতিতে এসব হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের ভোগান্তি বহুলাংশে বেড়ে যায়।
দেশের সংখ্যাগুরু জনগণের বাস গ্রামাঞ্চলে, কিন্তু চিকিৎসাসেবা হয়ে উঠেছে শহরকেন্দ্রিক। এই প্রবণতা ক্রমেই বেড়েছে এবং এখন তা হয়ে উঠেছে মূলত রাজধানীমুখী। একদিকে সারা দেশের সব বিভাগের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসকের গুরুতর ঘাটতি চলছে, অন্যদিকে অনুমোদিত পদসংখ্যার অনেক বেশি চিকিৎসকের ভিড় জমেছে ঢাকা বিভাগে। কিন্তু দেশের অন্য সব বিভাগের চিত্র এর ঠিক উল্টো। সেগুলোতে অনুমোদিত পদসংখ্যার ৪২ থেকে ৬৩ শতাংশ পর্যন্ত পদ খালি আছে।
দৈনিক আল ইহসান শরীফের অনুসন্ধানে জানা গেছে, চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে বছরে ৮৬ লাখের বেশি মানুষের আর্থিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। আর ৬৪ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের শিকার হচ্ছে। অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে ১৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসাই পাচ্ছে না। এ হিসাবে বছরে এ দেশের প্রায় তিন কোটি মানুষ প্রয়োজন হলেও চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছে পারছে না।
দেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি স্বাস্থ্য খাতের চিকিৎসকের সুষম বণ্টনের কোনো বিকল্প নেই।
সরকারি চিকিৎসকদের সুষম বণ্টনের ক্ষেত্রে মূল বাধা হচ্ছে চিকিৎসকদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে দায়িত্ব পালন ও কর্মস্থলে বসবাসের অনীহা। এই অনীহার কিছু বাস্তব কারণ আছে। যেমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে জীবনযাপনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধার অভাব, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাব ইত্যাদি। এ ছাড়া রয়েছে সরকারি দায়িত্ব পালনের বাইরে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের বিষয়। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে নার্স, মিডওয়াইফ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, চিকিৎসা-সরঞ্জামসহ সামগ্রিক লজিস্টিক ব্যবস্থারও প্রকট ঘাটতি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের একার পক্ষে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
এ ধরনের সমস্যাগুলো বজায় থাকলে সরকারি খাতের চিকিৎসাসেবার মান উন্নত করা সম্ভব হবে না। উপরন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরমুখী প্রবণতা বাড়তে থাকলে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে রোগীর চাপ ক্রমাগত বাড়তে থাকবে এবং তার ফলে শহরের বড় হাসপাতালগুলোরও চিকিৎসাসেবার মান নিম্নগামী হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই রাজধানীকেন্দ্রিক ও বড় শহরকেন্দ্রিক চিকিৎসাব্যবস্থা থেকে ক্রমেই বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতেই হবে।
সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৮ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এসব ক্লিনিকে শুধু ইউরিন পরীক্ষা ও ব্লাডপ্রেসার মাপলে কিডনি, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো তিনটি রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। এতে সব মিলিয়ে খরচ পড়তে পারে দেড়শ টাকার মতো। উপজেলাকেন্দ্রে এক্সরেসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নত ব্যবস্থা রয়েছে। তাই উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসা যদি সঠিকভাবে নিশ্চিত করা যায়, তাহলে রোগীদের ঢাকামুখী হওয়ার কোনো যুক্তি নেই।
একটি উপজেলায় ৪ থেকে ৫ লাখ লোকের বসবাস। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিসিন, গাইনি, সার্জারির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াও বেশ কয়েক জন মেডিক্যাল অফিসারও রয়েছেন। এক্সরের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষানিরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এগুলো যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে রোগীদের ঢাকামুখী হতে হবে না। কিন্তু বেশির ভাগ উপজেলায় রোগীরা চিকিৎসাসেবা পান না। উপজেলা পর্যায়ে সরকারকে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলছে ভারতের- এন-সার্কেল অন্তর্বর্তী সরকারের অন্ত:সারশূণ্যতা শুধু হতাশারই নয় বরং ঘোর অমানিশার।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দিন দিন বাড়ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুনসহ মারাত্মক সব অপরাধ এসব অপরাধের মূলে থাকছে কারখানা বন্ধ আর বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং সরকারের গৃহীত ভূল অর্থনীতি সরকারের টনক নড়বে কবে?
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
এসএফবি তথ্যানুযায়ী ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৯৪ লাখ অপরদিকে গত পরশু প্রকাশিত আইওএম পরিবেশিত তথ্যানুযায়ী দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৪৩ লাখ দুঃখজনক হলেও সত্য রাষ্ট্র বা সরকারের নিজস্ব তথ্য পরিসংখ্যান নেই। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়াও নেই। এর সমাধান জরুরী।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












