সম্পাদকীয় (২)
দেশের প্রায় ৬০ ভাগ শিশুদের পুষ্টিহীনতা ও রক্তশূন্যতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। শিশুদের পুষ্টি সুরক্ষায় সরকারকে সক্রিয় হতে হবে।
, ২৪ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০২ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ৩১ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
দেশে দুই দশকে পুষ্টির সর্বোচ্চ ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। প্রি-স্কুল বাচ্চাদের এক-তৃতীয়াংশ খর্বাকৃতির, এক-পঞ্চমাংশের বেশি কম ওজনের এবং দশভাগের এক ভাগ ক্ষীণকায়। ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুদের ৪৩ শতাংশই রক্ত স্বল্পতায় ভুগছে। বিবাহিত নারীদের এক-তৃতীয়াংশের ওজন প্রত্যাশিত মাত্রার নিচে। ১৩ শতাংশ লম্বায় খাটো। যে কারণে শিশু জন্ম দেওয়ার সময় তারা নানা জটিলতায় ভোগে এবং কম ওজনের শিশুর জন্ম দেয়। আইসিডিডিআর'বি-এর এক সমীক্ষায় এসব তথ্য এসেছে।
পুষ্টিকর খাবার খেতে না পেয়ে এখনো ৩৩ শতাংশ শিশুর শারীরিক বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে না। ফলে উচ্চতার তুলনায় কম ওজন এবং ওজনের তুলনায় উচ্চতা কাক্সিক্ষত পর্যায়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে না। বাংলাদেশের শিশুদের পুষ্টি পরিস্থিতির এমন তথ্য বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) যৌথ সমীক্ষায় বলা হয়েছে।
পুষ্টি বিষয়টি অনেক জটিল কিছু না, খুবই সহজ বিষয়। পুষ্টি সম্পর্কিত জ্ঞান মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। যার গরুর গোশত খাওয়ার সক্ষমতা নেই, সে মুরগি খাবে, মুরগি খাওয়ার সক্ষমতা নেই ডিম খাবে, ডিম খাওয়ার সক্ষমতা নেই ডাল খাবে।
বাজারের সবজি কিনে খেতে না পারলে, সে থানকুনির পাতা তুলে খাবে, ফেলে দেওয়া কলার মোচা তুলে এনে খাবে, ধান ক্ষেতের পাশে থাকা শাক খাবে, রাস্তার পাশের কচু শাক খাবে। মূলত মানুষের জানতে হবে যে, দামি খাবার না খেয়েও সুস্থ থাকা যায়। এই বিষয়টি শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষকে জানাতে হবে। এ জন্য সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, স্থানীয় সরকার, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সরকারের সব দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে মানুষকে সচেতন করতে হবে। প্রয়োজনে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মতো মানুষের পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিতের জন্য আলাদা বিভাগ গড়ে তুলতে হবে। যারা বিশেষভাবে মানুষকে পুষ্টি সম্পর্কে জানাবেন। সাধারণ মানুষ যদি পুষ্টি বিষয়ে জানতে পারে, তাহলে হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে পুষ্টিহীনতা কমবে।
দু:খজনক হলেও সত্য বাংলাদেশের ইউনিয়ন বা থানাপর্যায়ে পুষ্টিবিদের পদ নেই। পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনো জরিপও নেই। সাধারণ মানুষের পুষ্টি নিশ্চিতের জন্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক জরিপ একান্ত দরকার।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮(১) ধারায় বলা হয়েছে, জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্র অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য বলিয়া গণ্য করিবে। ’ কিন্তু সাংবিধানিক এ দায়িত্ব পালনে সরকারের সাথে সফলতা যে নেই শুধু বিষয়টি তাই নয় বরং সরকারের নামমাত্র সদিচ্ছার প্রতিফলনও দেখা যায় না।
প্রসঙ্গত, যে শিশুটি অপুষ্টির কারণে ধুঁকে ধুঁকে মরে গেল তার জন্য দুঃখ ও কষ্টবোধ কেবল আপনজনের। সমাজ ও রাষ্ট্রযন্ত্র হয়তো এ ক্ষতিকে তেমন আমল দেয় না। কিন্তু যে শিশুটি অপুষ্টিকে জীবনসাথী করে বড় হচ্ছে, তার বিষয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রযন্ত্র না ভেবে পারে না। এমনকি অপুষ্টির শিকার হয়ে ঝরে পড়াদের ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রযন্ত্র ও সমাজের দৃষ্টি ঘুরিয়ে রাখা সাজে না। কারণ আজ যে শিশু সেই তো আগামী দিনের শ্রমজীবী, কর্মজীবী, পেশাজীবী। অর্থাৎ দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের দায়িত্ব তাদের উপরই বর্তাবে। আর তাদেরই একটি অংশ যদি অপুষ্টির মধ্যে বড় হয় তাহলে তাদের মেধার উপযুক্ত বিকাশ হয় না এবং কায়িক শ্রম করার যথেষ্ট শক্তিও তাদের থাকে না। মেধার উপযুক্ত বিকাশ না হলে তারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় তেমন সাফল্য পায় না। ফলে তাদের ভাগ্যে ভালো কর্মসংস্থানও জুটে না। এ কারণে তাদের অধিকাংশের পারিবারিক জীবন হয় একেবারেই আটপৌরে তথা অসচ্ছলতার মধ্য দিয়েই চলে তাদের। অথচ শিশু বয়স থেকে উপযুক্ত পুষ্টি পেলে তারা যেমন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারত, তেমনি তারা শিক্ষা-দীক্ষায় নিজের, পরিবারের ও জাতির জন্য অনেক সাফল্য বয়ে আনতে সক্ষম হতো।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












