সম্পাদকীয় (২)
দেশের ফসলী জমিতে কমছে জৈবসারের ব্যবহার, বাড়ছে রাসায়নিক সার। সরকারের উচিত আইন করে জৈবসার ব্যবহার ও জৈবসারের জন্য প্রয়োজনীয় ভর্তুকি-প্রণোদনা প্রদান করা।
, ২৬ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০২ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৫ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
মাটিকে বলা হয় খাদ্য শস্যের ভান্ডার। এখানে শস্য জন্মায় এবং সেই খাদ্য আমাদের শরীর এবং স্বাস্থ্যের পুষ্টি ও শক্তি যোগায়। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মাটির স্বাস্থ্যেও চরম অবক্ষয় হচ্ছে। মাটির স্বাস্থ্য হলো মাটির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক গুণাগুণের সর্বাধিক সমন্বয়। একসময় বাংলাদেশের মাটির উৎপাদনশীলতায় অবদান রাখে এমন গুণগত মানের বৈশিষ্ট্যাবলি রক্ষায় কাজ করা হতো। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং মানবস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় গুণগত মানকে খুব কম বিবেচনা করা হতো। কিন্তু বর্তমানে তা করা হয় না। একতরফা ফসল উৎপাদনে অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার এবং জৈব সার ব্যবহারে কৃষকের অনীহার কারণে প্রতিনিয়ত দেশের মাটির স্বাস্থ্য দুর্বল হচ্ছে। দেশে বিভিন্ন এলাকার বেশিরভাগ ফসলি জমির জৈব পদার্থ কমে দাঁড়িয়েছে ১.৭ শতাংশের নিচে। এমনকি বহু জমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ ১ শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে। যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে দেশের ফসল উৎপাদনে।
৬ দশক আগে ফসলি জমিতে হেক্টরপ্রতি ৮.৮ কেজি রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হতো, বর্তমানে তা ৭৫ গুণ বেড়ে প্রতি হেক্টরে প্রায় ৬৬০ কেজি রাসায়নিক সার ব্যবহার হচ্ছে। এতে সাময়িক সময়ের জন্য ফসলের উৎপাদন বাড়লেও ফসলি জমির দীর্ঘমেয়াদী উর্বরতা শক্তি বহুগুণে কমিয়ে দিয়েছে।
তাই কৃষিজমিতে জৈব সার ব্যবহার প্রয়োজনে আইন করে বাধ্যতামূলক করতে হবে। দেশে উঁচু, মাঝারি উঁচু ও মাঝারি নিচু মিলে ৭৫ ভাগ কৃষিজমি হয়। তাতে প্রতি হেক্টরে ১০ টন সাদামাটা হিসেবে, ৬০-৬২ মিলিয়ন টন জৈবসারের চাহিদা রয়েছে। অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে, বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় জৈব সারের উপকরণ কোথায় পাওয়া যাবে? এ প্রশ্নের উত্তর হলো- বাংলাদেশে জৈবসারের উপকরণের অভাব অতীতেও ছিলোনা এবং বর্তমানেও নেই। দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎসের পশুপাখির মল (গরু, মুরগি, হাঁস), শহরাঞ্চলের জৈব বর্জ্য, গৃহস্থালির আবর্জনা, কাঁচা বাজারের বর্জ্য, নিটিং শিল্পের বর্জ্য, চিনিকলের পুনর্ব্যবহারযোগ্য বা জৈব সারের কাঁচামালের পরিমাণ বছরে ১৩০-১৫০ মিলিয়ন টন। সে পরিমাণ কাঁচামাল যথাযথ প্রক্রিয়ায় কম্পোস্ট করলে তা থেকে ৪৫-৫৫ মিলিয়ন টন জৈব সার উৎপাদন সম্ভব।
সঙ্গতকারণেই আমরা মনে করি, দেশের মাটির স্বাস্থ্য অটুট রাখতে প্রয়োজন রাসায়নিক সারের মতো জৈব সারের জন্য বিশেষ শিল্প গড়ে তোলা। তথ্যমতে, সরকার রাসায়নিক সার খাতে ৮০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করে। অথচ, জৈব পদার্থ তথা জৈব সার তৈরী, বিপনন এবং মাঠপর্যায়ে সরবরাহে যদি বছরে ৩০০০ কোটি টাকার সংস্থান রাখে তাহলেই দেশের মাটির স্বাস্থ্য অটুট রাখা সম্ভব।
এতে মাটির স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন হবে, শহরের বর্জ্য কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করায় বর্জ্য কমে যাবে ও পরিবেশ দূষণ কমবে। উদ্যমী তরুণদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে, পাশাপাশি পরিবেশের উন্নয়ন হবে। অধিকন্তু জৈব সারের পদ্ধতির মাধ্যমে দেশে জৈব কৃষির অপার সম্ভাবনা তৈরি হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












