সম্পাদকীয়-২
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্ত সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
শিশুরা সিসা বিষক্রিয়া দ্বারা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এর প্রভাবে শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ, শারীরিক বৃদ্ধি ও সামগ্রিক সুস্থতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
বাংলাদেশের জন্য একটি উদ্বেগজনক খবর দিয়েছে ইউনিসেফ। তারা জানিয়েছে, সিসা দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ; যাদের মধ্যে সাড়ে তিন কোটির বেশি শিশুর রক্তে বিপজ্জনক মাত্রায় ক্ষতিকর এ ভারী ধাতুর উপস্থিতি আছে।
যেখানে মেক্সিকো ও ঘানার মতো দেশে সিসায় আক্রান্ত শিশুদের রক্তে ৫ মাইক্রোগ্রাম/ডিএল, সেখানে বাংলাদেশে ৩ কোটি ৫৫ লাখের বেশি শিশুর রক্তে উচ্চমাত্রার, অর্থাৎ ৩০ মাইক্রোগ্রাম/ডিএলের বেশি সিসা রয়েছে। অর্থাৎ এই শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আর কালক্ষেপণের উপায় নেই, জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
সিসার বিষক্রিয়ার কারণে বিশ্বে যেসব দেশে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি, সেসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার ১০০টি অননুমোদিত স্থানে কোনো রকম সুরক্ষা কিংবা সতর্কতা ছাড়াই মোটরগাড়িতে ব্যবহৃত পুরোনো সিসা-অ্যাসিড ব্যাটারি রিসাইকেলিং করা এবং সে কারণে সিসা গলানো হয়। ফলে আশপাশের পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হয়।
গবেষকরা নমুনা সংগ্রহ করেন এবং একটি এক্সআরএফ (এক্সÑরে ফ্লুরোসেন্স) মেশিন দিয়ে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করেন। এই পরীক্ষায় দেখা যায় যে, ১৯৭টি সংগ্রহীত নমুনা সামগ্রীর মধ্যে ২৪% নমুনা সিসার নিরাপদ মাত্রা বা রেফারেন্স ভ্যালু ছাড়িয়ে গেছে। দৈনন্দিন জীবনে নিত্যব্যবহার্য নানা পণ্যসামগ্রী যেমন অ্যালুমিনিয়ামসহ বিভিন্ন ধাতব রান্নার ও খাবারের বাসনপত্র (৫৯%), সিরামিকের খাবারের বাসনপত্র (৪৪%), দেয়াল ও বিভিন্ন ধরনের রং (৩৪%), ভাত/স্টার্চ (১৭%), এবং খেলনায় (১৩%) সর্বাধিক পরিমাণে সিসার উপস্থিতি পাওয়া যায়।
বহু দশক থেকে সিসাযুক্ত ফসিল জ্বালানি ব্যবহার, সিসা মেশানো রং আর পানির পাইপে সিসার অস্তিত্ব আজকের এ দুরবস্থার কারণ। এর সঙ্গে আছে জনস্বাস্থ্য প্রশাসনের দৃষ্টি এড়িয়ে তৈরি করা সিসাযুক্ত প্রসাধনী এবং ওষুধের ব্যবহার।
বাংলাদেশে হলুদে উচ্চ মাত্রায় সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মান নির্দেশক হিসেবে রঙ ও ওজন বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত লেড ক্রোমেট শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সমানভাবে রক্তে সিসার মাত্রা বৃদ্ধিতে প্রভাবিত করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারী ধাতু বিশেষ করে সিসা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে; যেটি স্থায়ী হয়। এর ফলে শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশের সময়সীমা কমে যায় এবং প্রায় সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে বয়স্কদের হৃদরোগ দেখা দেয়, সন্তান সম্ভাবা নারীদের অনাগত শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুস্পষ্ট আইন বিশেষ করে বেসরকারি খাতের সঠিক ও কার্যকরি পদক্ষেপের মাধ্যমে এ দূষণ কিছুটা প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি।
তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, অ্যালুমিনিয়াম বা সিরামিকের জিনিষপত্র বাদ দিয়ে কাঠের তৈরী সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার করলে এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র থেকে রঙ ও ভেজালমুক্ত খাটি খাদ্যদ্রব্য কিনলে সীসার ক্ষতি থেকে পুরোই নিরাপদ থাকা সম্ভব ইনশাআল্লাহ।
বিশেষত এ দূষণের ফলে ভুক্তভোগী নারী ও শিশুদের যে অতিরিক্ত খরচ ও ভোগান্তি হয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে যে বাড়তি খরচ হয়ে থাকে, সেটাও কমানো সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রবীণরা অপুষ্টি, রোগ-ব্যাধি, মানসিক অবসাদ ও একাকিত্বে ভূগছে। প্রবীণরা বোঝা নয় বরং বড় সম্পদ রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে প্রবীণদের সুরক্ষা ও সেবা দিতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পেঁয়াজের দাম এ বছরই কী দশ দিনেই দ্বিগুণ হলো? প্রতি বছরই এ সময়ে দাম বাড়ে পেছনে- সিন্ডিকেট আর হিমাগারের অভাব। অনেক আশ্বাসের সরকার অন্তর্বর্তী সরকারও বিগত ফ্যাসিস্ট আর দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক সরকারের পথেই হেটেই জনগণের সাথে কী বিশ্বাসঘাতকতা করল না সরকার?
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গঃ গণপরিবহনে নারীবাসীর শ্লীলতাহানি নারীর জন্য আলাদা পরিবহনের পাশাপাশি ইসলামী মূল্যবোধের বিস্তার ঘটাতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অন্তর্বর্তী সরকারের অব্যবস্থাপনায় হু হু করে বাড়ছে দারিদ্রদের সংখ্যা। দারিদ্রপীড়িত মানুষের দুর্ভোগ দূরীকরণে সত্তর তৎপর হোন।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জনসংখ্যা বোঝা নয় বরং জনসম্পদ জনশক্তিকে আরও দক্ষ করতে হবে।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে বিপুল কৃষি উৎপাদনের বিপরীতে স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও গড়ে উঠেনি কৃষিভিত্তিক শিল্প। বঞ্চিত হচ্ছে কৃষক। কৃষি শিল্পের বিকাশে কৃষক ও দেশ উভয়ই বিশেষ সমৃদ্ধ হবে ইনশাআল্লাহ কৃষি শিল্পের দিকে নজর দিন
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
উন্নয়নের জোয়ারের প্রচারনার বিপরীতে অল্প বয়সী বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, তালাক্বপ্রাপ্তা লাখো-কোটি মহিলা মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অসংগতি, অনিয়ম, অস্বচ্ছতা, অন্যায় আর মিথ্যায় পর্যবসিত ও প্রমাণিত স্টারলিংক কার্যক্রম। জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থে চরম হুমকী স্বরূপ স্টারলিংক অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অসংগতি, অনিয়ম, অস্বচ্ছতা, অন্যায় আর মিথ্যায় পর্যবসিত ও প্রমাণিত স্টারলিংক কার্যক্রম। জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থে চরম হুমকী স্বরূপ স্টারলিংক অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়লেও সুবিধার বাইরে ৭১ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দারিদ্রের যাঁতাকল থেকে জনগণকে বের করে না আনলে দেশ অবিলম্বে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাঁচতে হলে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই পাওয়া যাবে প্রকৃত নিরাপত্তা ও সফলতা ইনশাআল্লাহ
০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সোনার চেয়েও অনেক দামী সোনাদিয়া দ্বীপ। বঙ্গোপসাগরে সোনাদিয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সন্দীপসহ আরো দ্বীপগুলোতে সোনা নয়, হীরার চেয়েও দামী খনিজ আছে। আরো আছে গারনেট, ইলমেনাইট ও রুটাইল সহ আরো দামী এবং দুর্লভ খনিজ।
০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












