নিকাহ বা বিবাহের ফযীলত (৩)
নিকাহ বা বিবাহ করা সুন্নত, ক্ষেত্রবিশেষে ফরয
, ২৫ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২০ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
স্বাভাবিকভাবে বিবাহ করা সুন্নত। কিন্তু যাদের অর্থ সম্পদ রয়েছে, শারীরিক সুস্থতাও আছে। তাছাড়া যে কোন সময়ে কবীরা গুনাহে লিপ্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে তাদের জন্য নিকাহ করা ফরয। আর বিবাহ করে যদি হক্ব আদায় করতে না পারে তাহলে বিবাহ করা হারাম বা নিষিদ্ধ। এ ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلْيَسْتَعْفِفِ الَّذِيْنَ لَا يَـجِدُوْنَ نِكَاحًا حَتّٰى يُغْنِيَهُمُ اللهُ مِنْ فَضْلِهٖ
অর্থ: যারা বিবাহ করতে সামর্থবান নয়, তারা সংযম অবলম্বন করবে, যে পর্যন্ত না মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাব মুক্ত করে দেন। (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا تَزَوَّجَ الْعَبْدُ فَقَدِ اسْتَكْمَلَ نِصْفَ دِيْنِه فَلْيَتَّقِ اللهَ فِي النِّصْفِ الْبَاقِيْ
অর্থ: হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মানুষ যখন বিবাহ করে তখন সে তার সম্মানিত দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ হয়। বাকী অর্ধেকের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করা অর্থাৎ তাক্বওয়া অবলম্বন করা উচিত। ” (শুয়াবুল ঈমান, মিশকাত শরীফ)
অপর বর্ণনায় রয়েছে-
إِذَا تَزَوَّجَ الْعَبْدُ فَقَدِ اسْتَكْمَلَ نِصْفَ الْاِيـْمَانِ؛ فَلْيَتَّقِ اللهَ فِي النِّصْفِ الْبَاقِيْ
অর্থ: মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন মানুষ বিবাহ করে তখন সে তার সম্মানিত ঈমানের অর্ধেক পূর্ণ হয়। অপর অংশের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করা উচিত। (শুয়াবুল ঈমান, মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَزَوَّجَ ثِقَةً بِاللهِ وَاِحْتِسَابًا كَانَ حَقًّا عَلَى اللهِ اَنْ يُّعَيِّنَه وَاَنْ يُّبَارِكَ لَه
অর্থ: হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার উপর পরিপূর্ণ ভরসা করে এবং উনার সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক হাছিলের উদ্দেশ্যে বিবাহ করে মহান আল্লাহ পাক অবশ্যই তাকে গায়েবী মদদ করবেন এবং তাকে বরকত দান করবেন। সুবহানাল্লাহ! (তবারানী শরীফ, ফিকহুস সুন্নাহ ওয়াল আছার-২/৩৪)
-আল্লাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১৯ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১৯ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
১৮ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
১৬ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বেশিরভাগ ফিৎনা ফাসাদের মূল হচ্ছে ছবি, টিভি, বেপর্দা
১৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া জায়েজ নেই
১৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিলাদের জন্য হাত, পা ও চেহারা আবৃত করে ঘর থেকে বের হওয়া ফরয। খোলা রেখে বের হওয়া হারাম, জায়েয বলা কুফরী (১৫)
১৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত মীলাদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
১৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কোন মু’মিন মুসলমান কখনই ছোঁয়াচে রোগে বিশ্বাসী হতে পারে না
১৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠকারীর জন্য রয়েছে বেমেছাল নিয়ামত মুবারক
১৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)