নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা-নির্দেশ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর আবেগঘন উক্তির পরও পথশিশুদের জন্য ড্যান্ডিই শেষ পরিনতি। পথহারা পথশিশুদের করুণ পরিনতি সরকার ও রাষ্ট্রের জন্য চরম লজ্জাকর।
, ২১ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৯ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৪ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
২০২২ সালে ইউনিসেফের সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) 'পথশিশুদের জরিপ ২০২২' এ পথশিশুদের প্রকৃত সংখ্যা না থাকলেও বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, দেশে পথশিশুর সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখের মতো। বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয় দেশের মোট পথশিশুর মধ্যে ৪৮ দশমিক ৫ ভাগই ঢাকা বিভাগে থাকে।
অন্যদিকে ২০২২ সালে প্রকাশিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) একটি গবেষণায় বলা হয় দেশে ৫৮ শতাংশ পথশিশু মাদকে আসক্ত। ১৪ শতাংশ শিশুর বয়স ১০ বছর হওয়ার আগেই মাদক গ্রহণ করে। তুলনামূলক সহজলভ্য ও সস্তা হওয়ায় পথশিশুদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ শিশুই গাঁজা সেবন করে। ড্যান্ডিতে আসক্ত ১৫ দশমিক ২ শতাংশ শিশু।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গবেষণা ও ইউনিসেফের বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী ঢাকাতেই ড্যান্ডিতে আসক্ত পথশিশুর সংখ্যা কয়েক লাখেরও বেশী।
ড্যান্ডি মূলত একধরনের আঠা। ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ বা ড্যান্ড্রাইট নামের আঠাটিকেই মাদক সেবীরা ডান্ডি বলে চেনে। এই আঠা দিয়ে নেশা করে তারা। আঠায় থাকা কার্বন-ট্রাই-ক্লোরাইড, টলুইন, অ্যাসিটোন ও বেনজিন স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই বাষ্পে পরিণত হয়। এসব রাসায়নিক শ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে মাদকসেবি পথশিশুরা। চিকিৎসকরা জানান, ক্রমশ ব্যবহারের কারণে মাদকটি ধীরে ধীরে চরম আসক্তিতে পরিণত হয়।
'পথশিশুদের ড্যান্ডি গ্রহণ করার একমাত্র কারণ এটি সস্তা ও সহজলভ্য। পথশিশুরা এটি নাক দিয়ে গ্রহণ করে, এবং একধরনের মনস্তাত্তি¡ক অবসাদে চলে যায়। যাকে তারা সমস্ত কিছু থেকে নিস্তার পাওয়া বলে মনে করছে। একই সঙ্গে তারা মনে করে তারা অতীতকে ভুলতে পারছে। অন্য মাদকের চেয়ে ড্যান্ডির পার্থক্য হলো এটি অন্য ধরনের এক অনুভূতির সৃষ্টি করে, যা আবেগকে ভিন্নভাবে পরিবর্তিত করে। যে কারণে পথশিশুদের মধ্যে এটি জনপ্রিয়।
মাদকাসক্ত পথশিশুদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের অধীনে থাকলেও মাদকাসক্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য তাদের কোনো চিকিৎসাকেন্দ্র নেই। কিন্তু পথশিশুদের প্রতি প্রতিশ্রæতির কোনো অভাব নেই।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, পথ শিশু বলে কিছু নেই। পথে কোন শিশু জন্মানোর কারনে সে পথ শিশু হয় না, সমাজ তাদেরকে পথ শিশু বানায়।
শিশুরা পথে জন্মায় না, সমাজ তাদেরকে পথ শিশু হিসাবে তৈরী করে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে প্রতিটি পথশিশুর পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিগত বছরে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এ দুই মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিচ্ছি, একটি শিশুও আবাসন ছাড়া থাকবে না। মানবেতর জীবনযাপন করবে না।
একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদনে ‘৩৪ লাখ শিশুর রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর’ তথ্য এসেছে জানিয়ে এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশ তখন এসেছে যখন পথশিশুরা অনেক আগেই পথ হারিয়ে বিপথগামী হয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ!
পথশিশুরা শুধু আশ্রয়হীন নয়, শিক্ষাসহ সকল রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। আশ্রয় ও অভিভাবকহীন শিশুরা শিক্ষা ও সঠিক পরিচর্যার অভাবে বড় হয়ে বিপথে পরিচালিত হয়। বেশিরভাগই হয়ে ওঠে অপরাধী। এসব শিশুর সঠিক পরিচর্যা এবং শিক্ষায় লালন করতে পারলে দেশের একটি বড় জনগোষ্ঠী সঠিক পথে ফিরে আসবে। কমবে সামাজিক অপরাধ। বাড়বে দক্ষ জনবল।
পথশিশু এবং তাদের নেশা; সম্পূর্ণই রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতার ফসল। রাষ্ট্রযন্ত্রের যান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণ। রাষ্ট্রযন্ত্র এসব পথশিশুকে তার নাগরিক বলে মনে করে না। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার সেবা দেবার জন্য দায়বদ্ধ সেটা মালুম করেনা। পথ শিশুরা রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে না পায় খাদ্য না পায় শিক্ষা। ফলে তাদের জীবন হয়ে উঠছে পশুর মতো। রাষ্ট্রযন্ত্রের উদাসীনতায় পথশিশুরা ক্রমশ মানবরূপী পশুতে পরিণত হচ্ছে।
অপরদিকে রাষ্ট্রযন্ত্রের পরিচালকরা তাদের কথিত রাজনীতি আর ক্ষমতার লড়াই নিয়ে বুঁদ। রাষ্ট্রযন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতায় শেয়ারবাজার থেকে লাখো কোটি টাকা লুট হয় কিন্তু পথ শিশুর জন্য কোনো কিছু বরাদ্দ হয় না। রাষ্ট্রযন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতায় হলমার্ক আর ডেসটিনি কর্তৃক দশ হাজার কোটি টাকা পাচার হয় কিন্তু পথ শিশুদের জন্য কোনো বরাদ্দ মেলে না। রাষ্ট্রযন্ত্র ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য হন্যে হয়ে ঘর্মাক্ত হয় কিন্তু পথশিশুদের কল্যাণের কথা চিন্তা করতে পারে না।
সঙ্গতকারণেই রাষ্ট্রযন্ত্রের এ ব্যর্থতার কথা এবং পথশিশুদের বঞ্চনার কথা জোরদারভাবে বলতে হবে। রাষ্ট্রযন্ত্রের উপর জোর চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান পথশিশু সম্পর্কে মুখ খুলেছেন। আমরা আশা করবো এটা যেন মুখে মুখেই না থাকে। এ নির্দেশনা যাতে শতভাগ বাস্তবায়িত হয়। তবে আমরা মনে করি পথশিশুদের বিষয়ে সামাজিক সচেতনতাও বাড়াতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ তথা পবিত্র দ্বীন ইসলামী অনুভূতির প্রসার ঘটাতে হবে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “গোটা সৃষ্টিজগৎ মহান আল্লাহ পাক উনার পরিবার। উনার কাছে সেই প্রিয় যে উনার পরিবারের কাছে প্রিয়। অর্থাৎ সে তাদের কল্যাণ সাধন করে।”
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলছে ভারতের- এন-সার্কেল অন্তর্বর্তী সরকারের অন্ত:সারশূণ্যতা শুধু হতাশারই নয় বরং ঘোর অমানিশার।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দিন দিন বাড়ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুনসহ মারাত্মক সব অপরাধ এসব অপরাধের মূলে থাকছে কারখানা বন্ধ আর বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং সরকারের গৃহীত ভূল অর্থনীতি সরকারের টনক নড়বে কবে?
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
এসএফবি তথ্যানুযায়ী ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৯৪ লাখ অপরদিকে গত পরশু প্রকাশিত আইওএম পরিবেশিত তথ্যানুযায়ী দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৪৩ লাখ দুঃখজনক হলেও সত্য রাষ্ট্র বা সরকারের নিজস্ব তথ্য পরিসংখ্যান নেই। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়াও নেই। এর সমাধান জরুরী।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












