নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম উনার ঈমান গ্রহণ
, ১৩ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৮ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১২ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
وَيْـحَكِ يَا حَضْرَتْ بِلْقِيْسَ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ اَفْـنَـيْتِ شَبَابَكِ فِـىْ عِبَادَةِ الشَّمْسِ مِنْ دُوْنِ اللهِ قَالَتْ يَا نَبِـىَ اللهِ دَعْ مَا مَضٰى فَالْاٰنَ قَدْ دَخَلْتُ فِـىْ دِيْــنِكَ وَقُـلْتُ بِـمَقَالَتِكَ وَشَهِدْتُ بِشَهَادَتِكَ غَيْـرَ اَنِّـىْ اَرٰى خَاتِـمَكَ مَنْـقُوْشًا بِلَا حَفْرٍ وَلَا كِـتَابَةٍ فَمَا الَّذِىْ عَلـٰى خَاتِـمِكَ قَالَ حَضْرَتْ سُلَيْمَانُ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَآ اِلـٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ حَضْرَتْ بِلْقِيْسُ عَلَيْـهَا السَّلَامُ مَنْ سَيِّدُنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَضْرَتْ سُلَيْمَانُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّدُنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكُوْنُ فِـىْ اٰخِرِ الزَّمَانِ قَالَتْ حَضْرَتْ بِلْقِيْسُ عَلَيْـهَا السَّلَامُ فَلِمَ صَارَ اِسْـمُهٗ عَلـٰى خَاتِـمِكَ دُوْنَ اِسْـمِكَ فَـقَالَ لِاَنَّهٗ اَكْـرَمُ عَلَى اللهِ مِنِّـىْ وَلَنْ يَّــنْـفَعَكِ الْاِيْـمَانُ وَلَنْ يَّــقْبَلَ اللهُ مِنْكِ صِرْفًا وَلَا عَدْلًا حَتّٰـى تُـؤْمِنِـىْ بِسَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاٰمَنَتْ حَضْرَتْ بِلْقِيْسُ عَلَيْـهَا السَّلَامُ وَمَنْ مَّعَهَا بِنَبِـيِّـنَا سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قَـبْلِ اَنْ يُّـوْلَدَ بِدَهْرٍ طَوِيْلٍ
অর্থ: “হে হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম! আপনার জন্য আফসোস! আপনি আপনার যৌবনকালটা (জীবনের মূল সময়টা) মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগী না করে সূর্যের উপাসনা করে কাটিয়েছেন।’ হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, ‘হে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নবী-রসূল আলাইহিস সালাম! যেটা অতীত হয়ে গেছে, সেটার জন্য আমি লজ্জিত এবং তওবা-ইস্তিগফার করছি। এখন তো আমি আপনার সম্মানিত দ্বীন গ্রহণ করেছি, আপনার নছীহত মুবারক অনুযায়ী কথা বলছি এবং আপনার সাক্ষ্য অনুযায়ী সাক্ষ্য দিয়েছি অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান এনেছি। তবে আমি আপনার সম্মানিত আংটি মুবারক উনার মধ্যে অত্যন্ত সুন্দর নক্বশাকৃত একটি বিষয় দেখতে পাচ্ছি যা খোদাই করাও নয়, লিখিতও নয়। আপনার সম্মানিত আংটি মুবারক উনার মধ্যে যেই নক্বশা মুবারক, এটা মূলত কী? হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, (এটা হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ-)
لَآ اِلـٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উনার সম্মানিত নক্বশা মুবারক। হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, ‘সাইয়্যিদুনা মাওলানা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কে?’ হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘তিনি আখিরী যামানায় যমীনে তাশরীফ মুবারক নিবেন।’ হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, ‘তাহলে আপনার সম্মানিত আংটি মুবারক উনার মধ্যে আপনার সম্মানিত নাম মুবারক না হয়ে উনার নাম মুবারক হলেন কেন?’ তখন হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘কারণ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আমার চেয়ে অনেক সম্মানিত। আর সম্মানিত ঈমান আপনাকে কস্মিনকালেও ফায়দা দিবে না এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত ও নফলসহ যত প্রকার ইবাদত-বন্দেগী রয়েছে, সমস্ত প্রকার ইবাদত-বন্দেগী এবং তওবা-ইস্তিগফার কোনো কিছুই কস্মিনকালেও কবুল করবেন না; যতক্ষণ পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি আপনি সম্মানিত ঈমান না আনবেন।’ অতঃপর হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনার সাথে যাঁরা ছিলেন সকলেই আমাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী এবং রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক) প্রকাশের অনেক পূর্বেই উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান আনেন।” সুবহানাল্লাহ! (দারজুদ দুরার ফী তাফসীরিল আয়ি ওয়াস সুওয়ার ৩/১৩৪০-১৩৪১)
হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম তিনি কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি উম্মত নন, তারপরও উনার প্রতি ঈমান এনে শুকরিয়া আদায় করেছেন। এমনিভাবে সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান এনেছেন। এবং উনারা সকলেই সরাসরি উম্মত হওয়ারও আরজি পেশ করেছেন।
তাহলে যারা বিনা আরজিতে সরাসরি উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হওয়ার সু-নছীব হাছিল করেছেন; তাদের জন্য কতটুকু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শুকরিয়া আদায় করতে হবে, উনার ছানা-ছিফত মুবারক করতে হবে, উনাকে মুহব্বত করতে হবে, উনার অনুসরণ-অনুকরণ করতে হবে সেটা চিন্তা-ফিকিরের বিষয়।
কাজেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান আনা, উনার গোলামী মুবারক করা, উনার তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা সমস্ত সৃষ্টির উপর ফরয। সুবহানাল্লাহ! যাঁরা এটা করতে পারবেন, উনাদের জন্য রয়েছেন ইহকাল ও পরকালে সর্বোচ্চ নিসবত-কুরবত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












