বুলন্দী শান মুবারক
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বরকতময় কতিপয় সুন্নত মুবারকের আবশ্যকতা স্বীকার করলো আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান!
, ১২ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৩ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২২ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ০৯ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللهَ فَاتَّبِعُونِي
অর্থ: (আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, তোমরা যদি মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করে থাকো তবে আমাকে অনুসরণ করো। ” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ- ৩১)
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করার মধ্যে শুধু যে পারলৌকিক কল্যাণ নিহিত তা নয় বরং তা কল্যাণকর ইহকালের নিমিত্তেও। কেননা উনার সুন্নত মুবারকের অনুসরণ একদিক থেকে যেমন সমস্ত বালা-মুছিবত ধ্বংসকারী অন্যদিকে উনার সমস্ত সুন্নত মুবারকসমূহ বিজ্ঞানময় যা বিভিন্ন গবেষণার প্রেক্ষিতে বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞান স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে।
* হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট একটি সুরমাদানী ছিলো। তা হতে তিনি প্রতি রাত্রে তিন শলাকা সুরমা উভয় নূরুল মুনাওওয়ার মুবারক (চোখ মুবারকে) ব্যবহার করতেন। ” (তিরমিযী শরীফ)
বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ গবেষণা করে সুরমার অসাধারণ গুণের কথা স্বীকার করেছে। সুরমা ব্যবহারে সূর্যের প্রখর আলো চোখের রেটিনার ক্ষতি করতে পারে না। পক্ষান্তরে সুরমা ব্যবহার না করলে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি চোখের রেটিনার যথেষ্ট ক্ষতি করে থাকে। এছাড়াও সুরমা ব্যবহারে চোখের উপর বিন্দুমাত্র লেড ইনফেকশন হয় না। এবং এটা চোখের শক্তিশালী জীবানুনাশক।
* পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সূতি সাদা পোশাক পছন্দ করতেন। ” (উসওয়ায়ে রসূল)
পরবর্তীতে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছে, সূতি সাদা বস্ত্র পরিহিত ব্যক্তিগণ চামড়া সংক্রান্ত সকল ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকেন। কেননা সাদা পোশাক পরিধানকারী ব্যক্তির ঘামের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার এবং ছেতো রোগের ন্যায় মারাত্মক ব্যাধি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ চর্ম এলার্জি এবং উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত রোগীদের সর্বদা সাদা বস্ত্র পরিধানের পরামর্শ দিয়ে থাকে। ক্রোমোপ্যাথী নীতি অনুযায়ী সাদা কাপড় মস্তিষ্ক, হৃদপিন্ড ও চর্মের সংরক্ষক। (উসূলে ক্রোমোপ্যাথী)
আর সূতি কাপড় শরীরকে চর্মরোগ থেকে রক্ষা করে। কেননা পলিষ্টার ও নায়লন সূতার পোশাক শরীরের ঘর্ষণে তীব্র গরম হয়ে যায়। ফলে এর তাপ শরীরের তাপের সাথে মিলে বৃদ্ধি পেয়ে চর্ম রোগের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও যারা সূতি পোশাক ব্যতীত অন্য পোশাক পরিধান করে তাদের চর্ম ক্যান্সার, মহিলাদের স্তন ক্যান্সার, চর্ম চুলকানী, একজিমা ইত্যাদি ব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
* মিশকাত শরীফে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দায়িমীভাবে পাগড়ী ব্যবহার করতেন।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে পাগড়ী পরিধানকারীদের প্রলাপ ও উম্মাদনা রোগের আশংকা কম থাকে। শুধু তাই নয়, পাগড়ী পরিধানকারী ব্যক্তি লু-হাওয়া থেকে পূর্ণভাবে রক্ষা পায়। দায়িমীভাবে পাগড়ী ব্যবহার মস্তিষ্ক শক্তিশালীকরণ ও স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর।
জনৈক বিশেষজ্ঞের অনুসন্ধান ও গবেষণা অনুযায়ী যখন (ঝঢ়রহধষ পড়ৎফ) সুরক্ষিত থাকবে তখন শরীরের স্নায়ু (ঘবৎাড়ঁং ঝুংঃবস) এবং গোশ্ত পেশী (গঁংপষবং ঝুংঃবস) সঠিক, সুশৃঙ্খল থাকে। আর এটা শুধুমাত্র পাগড়ী পরিধান করার দ্বারা সম্ভব।
* আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক ব্যবহার অপছন্দ করেছেন। ” (মিশকাত শরীফ)
চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ বলছে, লাল রংয়ের পোশাক (কোর্তা, রুমাল, লুঙ্গী) সূর্যের আলো থেকে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি টেনে পৌঁছে দেয় ফলে পুরুষের দেহে চরম আকারে চর্মরোগ দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞগণ গবেষণার পর আরো জানায়, লাল রংয়ের পোশাক পুরুষের ঐড়ৎসড়হ ঝুংঃবস এর জন্য খুবই ক্ষতিকারক। যার ফলে শরীরের হরমোনের উপর খুবই খারাপ প্রভাব ফেলে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ এক ধরনের রস নিঃসৃত হয়ে রক্তের সাথে যুক্ত হয়। মনস্তাত্ত্বিক ও ক্রোমোপ্যাথী বিশেষজ্ঞগণের মতে, সেই নিঃসৃত রস থেকে উচ্চ রক্তচাপ কামোত্তেজনা, চর্মরোগ, গোশ্ত গ্রন্থি ফোলা, খিঁচুনী ইত্যাদি ব্যাধি সৃষ্টি হয়।
শত শত বর্ষ পূর্বে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা বলে গেছেন, নির্দেশ করেছেন আজকের বিজ্ঞান সেগুলো গবেষণা করে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেছে।
আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারকের নিমিত্তে সমস্ত সুন্নত মুবারক পালনের কোশেশ করা। আর সে উছীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সুন্নত মুবারকের সকল রহমত, বরকত, ফুয়ুজাত, নিয়ামত নছীব করুন। আমীন!
-আহমদ সা’দ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র শবে বরাত শরীফ উনার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছাহিবে কা’বা কাওসাইনে আও আদনা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযীমুশ শান মি’রাজ শরীফ উনার বর্ণনা মুবারক (১১)
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘আহ্ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বমেছোল মহাসম্মানতি বুলন্দী শান মুবারক এবং উনাদরে মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি শান মুবারক উনার খলিাফ র্বণতি মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (৪)
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)