নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিধর্মী-কাফির, মুশরিকরা কতবেশি বিদ্বেষ পোষণ করে তার একটি উদাহরণ
, ২৩ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩০ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১২ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
ইংরেজিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত এবং মহাপবিত্র নাম মুবারক “সাইয়্যিদুনা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” লিখলে প্রথমে ‘গ’ অক্ষরটি আসে। সেই হিসেবে ইংরেজি বর্ণমালা অনুযায়ী ‘গ’ অক্ষরটি ১৩ নম্বরে আসে। সে জন্য এই যবন, মেøচ্ছ, অস্পৃশ্য কাফির-মুশরিকগুলি তাদের কোন প্লেন, রেল, লঞ্চ-এ তের নম্বর সিটটি রাখে না। কোন হোটেলে তের নম্বর রুম রাখে না। লেখা বাহুল্য, মুসলমানরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক ইংরেজিতে লেখেন না, আরবিতে লেখেন। আরবি হরফ অনুযায়ী ‘মীম’ অক্ষরটি তের নম্বরে আসে না।
এটা কিন্তু তেমন উল্লেখযোগ্য কোন ব্যাপার নয়, কেবল তের নম্বর অক্ষরটি ‘গ’ হওয়াতেই তারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এতটুকু বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে। তাহলে এরা কতভাবে এবং কত দিক থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে তা বলাই বাহুল্য। মূলত এদের ২৪ ঘন্টা একটাই ফিকির কিভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানের খেলাফ করা যায়। সেটা লেখনী, বক্তব্য-বিবৃতি অথবা কাজ যেভাবেই হোক।
অস্পৃশ্য কাফিরগুলি আরো বলে থাকে, ‘লাকি সেভেন (ম=মড়ফ), আনলাকি থারটিন(গ)’। তাদের ইংরেজি বর্ণমালা অনুযায়ী তেরতম অক্ষরটি ‘গ’ হওয়াতেই তারা আনলাকি থারটিন বলে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! অথর্ব মুসলমানরাও কোন প্রকার চিন্তা-ফিকির না করে সেটাই বলে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!
লজ্জা এবং পরিতাপের বিষয়, যে কাফেরটা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি জঘন্যতম বিদ্বেষ পোষণ করে, উনার ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এরপরও এই গন্ডমুর্খ মুসলমানগুলিই জমি-জমা বিক্রি করে খেলার সময় ঐ কাফিরটার মুহব্বতে বড় পতাকা বানানোর প্রতিযোগিতায় নামে, পছন্দের দল হেরে গেলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। অথচ যখন ঐ কাফিরটা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানের খেলাফ আচরণ করে তখন এই মুসলিম নামধারী মুরতাদগুলিকে একটা টু শব্দও করতে দেখা যায় না। আবার তাদের জাতীয় পোশাক স্যুট, কোট, টাই (ধর্মীয়) পরিধান করে ভাবে, এই বুঝি জাতে ওঠা গেলো। আরো বলে থাকে, সব কাফিরতো খারাপ নয়। নাউযুবিল্লাহ!
মূলত এ জন্যেই সারা পৃথিবীতে মুসলমানরা কাফির-মুশরিকদের দ্বারা অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কারণ যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে মুসলমানরা কামিয়াবী হাছিল করবেন, সেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি যে কাফিরটা বিদ্বেষ পোষণ করে, মুসলমানরা ঐ কাফিরটার সাথেই মুহব্বত করে। নাউযুবিল্লাহ! মুসলমানদের স্মরণ রাখা উচিত, কাফিরগুলি মহান আল্লাহ পাক উনার শত্রু, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শত্রু এবং সাথে সাথে মুসলমানদেরও শত্রু। কেউ কি কখনো তার নিজের শত্রুর সাথে মুহব্বত রাখে। তাহলে যে কাফিরটা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে; মুসলমানরা কিভাবে ঐ সৃষ্টির নিকৃষ্ট কাফিরটার সাথে মুহব্বত রাখে তা চিন্তা ও ফিকিরের বিষয়।
-আহমদ সা’দ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুল ফাতাহ” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩১)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৭)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৩)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৬)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (২)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (১)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












