নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বতের বিষয়টিই কেবল জাতি-দ্বীন নির্বিশেষে সার্বজনীন বলে বিবেচিত হতে পারে
, ০৩ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৭ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে কাফিররাও সৃষ্টিকর্তা বলতে মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক স্মরণে নেয়, কারণ সৃষ্টিকর্তা হিসেবে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি বিশালত্বের ধারণার চর্চা মুসলমানরা করে এবং কাফিররাও তার দ্বারা প্রভাবিত হয়। কিন্তু এতে কাফিররা মুসলমান হতে পারে না, পারত যদি মুসলমানরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারকের প্রচার-প্রসার করে কাফির-মুশরিকদের প্রভাবিত করতে পারত।
এর উদাহরণ দেয়া যেতে পারে আকাশের সাথে, দুনিয়ার মানুষের দৃষ্টিতে প্রকৃতির সর্ববৃহৎ নিদর্শন হলো আকাশ। দুনিয়ার যেখানেই যাওয়া হোক না কেন, মানুষের মাথার উপর আকাশের অস্তিত্ব থাকে। যতো বেশি বিশালতা, ততো বেশি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক ও নৈকট্য। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেই রেখেছেন, এখন মানুষ তার ক্ষুদ্র চিন্তা জুড়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যতোটা বিশাল হিসেবে ধারণা করতে পারবে, তার নিসবত-তাওয়াল্লুক ততো বেশি হবে।
উল্লেখ্য, কাফিরগুলো মুসলমানদের উপর তাদের ঘৃণার মানদ- চাপিয়ে দিয়েছে ব্যক্তিকে চাপিয়ে দেয়ার মাধ্যমে, আইন কিংবা ধর্মের মাধ্যমে নয়। এদেশে মুসলমানদের সরাসরি বলা হচ্ছে না তোমরা হিন্দু হয়ে যাও, বরং তাদেরকে রবীন্দ্র ঠগের গান গাওয়ানো হচ্ছে। অতিরঞ্জিত প্রশংসার মাধ্যমে পতিতালয়ের ব্যবসায়ী নিকৃষ্ট রবীন্দ্রর একপ্রকার কৃত্রিম পিতৃরূপ বাঙালি মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এর দ্বারা এমন আবহ সৃষ্টি করা হচ্ছে যেখানে কেউ ধুতি পরে নাঙা হলে সভ্য-ভদ্র হিসেবে গণ্য হচ্ছে, যার ফলে মুসলমানিত্ব ধারণকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী নিজদেশেই একঘরে হয়ে যাচ্ছে।
মুসলমানদের এধরনের কার্যক্রম নেই যে, তারা গোটা বিশ্বের জনমানসকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক দ্বারা প্রভাবিত করবে। অথচ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এমন ছিফত তথা বৈশিষ্ট্য মুবারক উনার মালিক যে, উনার সম্পর্কে বলতে হয় তিনি শুধুমাত্র আল্লাহ পাক নন, এছাড়া বাকি সব।
উল্লেখ্য, কাফিরগুলো তাদের বদচরিত্র-দুশ্চরিত্র নিকৃষ্ট কীটগুলোকে মহান হিসেবে আখ্যায়িত করে। আর সারাদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে চরম বেয়াদবী করে কূরুচীপূর্ণ কনটেন্ট করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! অথচ মুসলমানরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক বিশ্ববাসীর নিকট প্রচার-প্রসার করতে অক্ষম। কাফিরগুলোকে প্রভাবিত করতে অক্ষম। কারণ বদ-আক্বীদাবশতঃ মুসলমানরা নিজেরাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী-বিশালত্ব শান মুবারক দ্বারা প্রভাবিত হয়নি। উল্টো মুসলমানরা কাফিরদের শান-শওকত দেখে প্রভাবিত হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
কাফিরদের কথিত বিশেষ ব্যক্তিদের প্রতি এই যে বিশালত্বের ধারণা মুসলমানদের মাঝে প্রবিষ্ট করা হয়েছে, এটাই মুসলমানদের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী। কেউ অস্বীকার করতে পারবে, রবীন্দ্রকে আরোপ করার মাধ্যমেই এদেশে ভারতের কুপ্রভাব জারি রয়েছে? গরীব-অগুরুত্বপূর্ণ পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রকে নিয়ন্ত্রণ করছে? অথচ প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক তার পত্রিকায় লিখেছে যে, বর্তমানে গোটা বিশ্বের কোথাও এই রবীন্দ্রের গুরুত্ব নেই, তার লেখার প্রাসঙ্গিকতাও নেই। তারপরও এদেশেই কেন রবীন্দ্রের প্রভাব অনুভূত হয়? কারণ বর্তমান বিশ্বে একমাত্র বাঙালি মুসলমানদের হিন্দু বানানোর কাজেই রবীন্দ্রের প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে বিধায় আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় ইসলামবিদ্বেষী অপশক্তি কর্তৃক রবীন্দ্রের গুণকীর্তন এদেশেই কেবল জারি রাখা হয়েছে।
আরো একটি বিষয় না বললেই নয়, তা হচ্ছে- সাম্প্রতিক সময়ে মুশরিক ভারতে কুখ্যাত যবন, কুলাঙ্গার রামগিরি সে মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান শান মুবারক নিয়ে কটূক্তি করে বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত করেছে। কিন্তু আমরা মূলত দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের কথা যদিও বলি, কিন্তু আসলে মুসলমানদের দ্বীনি অনুভূতি নেই। যার কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকের খেলাফ বললেও প্রতিবাদী হতে দেখা যায় না।
সারা বিশ্বের সমস্ত মুসলমান ও মুসলিম দেশের সরকারের জন্য ফরযে আইন ছিলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান শান মুবারক সম্পর্কে কটূক্তির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা। উনার মানহানীর অপচেষ্টাকারীদের সাথে সর্বপ্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করা, তাদেরকে সার্বিকভাবে বয়কট করা, আন্তর্জাতিকভাবে তাদের উপর শক্ত চাপ প্রয়োগ করা। যাতে সেই মালঊন লা’নতগ্রস্তের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।
-আহমদ হুসাইন মুফহিম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
একমাত্র হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুসরণে ‘খিলাফত’ ব্যবস্থা জারী করার মাধ্যমেই এদেশবাসী প্রকৃত সুখ-শান্তি ও ইনছাফ লাভ করতে পারবে (২)
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
এক নজরে উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ: ‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (১)
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১১)
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
একমাত্র হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুসরণে ‘খিলাফত’ ব্যবস্থা জারী করার মাধ্যমেই এদেশবাসী প্রকৃত সুখ-শান্তি ও ইনছাফ লাভ করতে পারবে (১)
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার দায়িমী ক্বিবলা মুবারক
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আলোচনায় বা লেখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত বা নাম মুবারক বারবার বলা ও লেখা সম্পূর্ণ আদবের খিলাফ (১)
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কাফির মুশরিকদের বিরুদ্ধে যখন আমি বদদো‘আ করি, প্রতিদিন আমি দেখতে পাই যে, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তো আছেনই, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও খুব খুশি মুবারক প্রকাশ করেন। উনারা বলেন যে, ‘এদের বিরুদ্ধে ধ্বংসের জন্য আরো দো‘আ করা হোক’
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা মহান আল্লাহ পাক উনার দায়িমী শান মুবারক (২)
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৯)
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত খিলাফত মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া (৪)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা মহান আল্লাহ পাক উনার দায়িমী শান মুবারক (১)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)