পবিত্র আযান ও পবিত্র ইক্বামাতের মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ইসিম মুবারক শুনে চোখে বুছা দেয়া মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত এবং ইহানত করা কাট্টা কুফরী-৩
এডমিন, ৩০ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৮ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০১ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
তখন তারা সবাই বললো, আপনি (দয়া করে) আপনার রব তা’য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনাকে (এ বিষয়ে) জিজ্ঞাসা করুন (যে, এর হাক্বীক্বত কী?)। তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি উনার রব তা’য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, আয় বারে ইলাহী! বনী ইসরাঈলরা যা বলেছে আপনি অবশ্যই তা জানেন। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত ওহী মুবারক করলেন যে, বনী ইসরাঈলরা যা বলেছে তা সত্যই বলেছে। নিশ্চয়ই সে দুই শত বছর আমার নাফরমানী করেছে। তবে সে একদিন পবিত্র তাওরাত শরীফ খুলে দেখতে পেলো যে, সেখানে আমার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক লিখিত রয়েছেন। তখন সে খুশি মুবারক প্রকাশ করে অত্যন্ত মুহব্বতে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম মুবারক ‘সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উনার মধ্যে (একবার মাত্র) বুছা দিয়েছিলো এবং খুশি মুবারক প্রকাশ করে অত্যন্ত মুহব্বতে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম মুবারক তার দুই চোখে লাগিয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ!
অপর বর্ণনায় রয়েছে, এবং সে উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করেছিলো অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছিলো। সুবহানাল্লাহ! এই কারণে আমি তাকে উত্তম প্রতিদান দান করেছি। সুবহানাল্লাহ! তার দুই শত বছরের (জীবনের) সমস্ত গুণাহখতাগুলো ক্ষমা করে দিয়েছি এবং তার সাথে সত্তরজন হুরের বিবাহ দিয়েছি। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তার উপর জাহান্নাম হারাম করে সম্মানিত জান্নাত মুবারক ওয়াজিব করে দিয়েছি এবং আপনার মতো একজন জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল উনার জন্য তার গোসল, কাফন ও দাফনের ব্যবস্থা করা এবং তার জানাযার নামায পড়ার জন্য আদেশ দিয়েছি।” (খছায়িছল কুবরা ১/২৯, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/৪১২, সীরাতে হালবিয়্যাহ ১/১৩৬, তাফসীরে দুররে মানছূর ৩/৫৭৯, শরহুল বুখারী ২/১১৯ ইত্যাদি)
-আহমদ হুসাইন