পবিত্র আযান ও পবিত্র ইক্বামাতের মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ইসিম মুবারক শুনে চোখে বুছা দেয়া মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত এবং ইহানত করা কাট্টা কুফরী-৪
এডমিন, ০১ রবীউর আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৭সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০২ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সুন্নত মুবারক তা’লীম

আর এই উম্মত যদি খালিছ নিয়তে উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক শুনে চোখে বুছা দেয়, তাহলে কতো বেমেছাল নিয়ামত মুবারক লাভ করবে, সেটা বলার অপেক্ষাই রাখেনা। সুবহানাল্লাহ!
আফদ্বালুন্নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি যখনই পবিত্র আযানের মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক শুনতেন, তখনই তিনি উনার দুই বৃদ্ধা আঙ্গুল মুবারকে চুম্বন করে চোখে বুছা মুবারক দিতেন। সুবহানাল্লাহ!
উনাকে ইত্তেবা করা সকলের জন্য ফরয। কেননা মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِىْ وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِيْنَ الْمَهْدِيِّيْنَ. تَمَسَّكُوْابِهَا وَعَضُّوْا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ.
অর্থঃ- “তোমাদের জন্য আমার মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ও আমার হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত সুন্নত মুবারক সমূহ অবশ্যই পালনীয়। তোমরা তা মাড়ীর দাঁত দিয়ে শক্ত করে আকড়িয়ে ধরো।” (মিশকাত শরীফ)
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا أَصْحَابِيْ كَالنُّجُوْمِ فَبِأَيِّهِمُ اقْتَدَيْتُمُ اهْتَدَيْتُمْ
অর্থ:- আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আকাশের তারকা সাদৃশ্য। উনাদেরকে যে কোন ব্যক্তি যে কোন বিষয়ে অনুসরণ করবে, সে হিদায়াত প্রাপ্ত হবে। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, কেউ যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মুহব্বত মুবারকে উনার নাম মুবারক শুনে মুহব্বতের সহিত অঙ্গুলীসমূহ চুম্বন করে চোখে বুছা দেয়, তা আযানে হোক ইক্বামতে হোক অথবা অন্য কোন সময়েই হোক, তা অবশ্যই ফযীলত, বুযুর্গী ও বেমেছাল মর্যাদা মুবারক লাভের কারণ হবে। সুবহানাল্লাহ!
-আহমদ হুসাইন