পবিত্র দ্বীন ইসলাম হাক্বীকীভাবে পালনে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র ছোহবত মুবারক অত্যাবশ্যক
, ০৬ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৯ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ২৭শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৩ই ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহিলাদের পাতা
‘আমরা মুসলমান’। আমাদের সংস্কৃতি বা কালচার হবে সম্মানিত ইসলামী নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা অনুযায়ী। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি আমাদের পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে সম্মানিত দ্বীন হিসেবে মনোনীত করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ‘পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ’ উনার ৩ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে কামিল করে দিলাম। তোমাদের উপর আমার নিয়ামত তামাম করলাম এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকেই তোমাদের পবিত্র দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।” খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছেন ইসলাম।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯)
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো বলেন, “তিনি (খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক) উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হিদায়েত এবং সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন সকল দ্বীনের উপর প্রাধান্য দিয়ে এবং এ বিষয়ে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষ্যই যথেষ্ট। (যার সাক্ষী মহান আল্লাহ পাক তিনি) আর মহাসম্মানিত রসূল হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি।” (পবিত্র সূরা ফাতহ্ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮, ২৯)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একদিন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা ইহুদীদের নিকট থেকে কিছু নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা শুনে থাকি, তা থেকে কিছু লিখে রাখব কি? তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! আপনারাও কি ইহুদী-নাছারাদের মতো দ্বীন ইসলাম উনার সম্পর্কে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন? নিশ্চয়ই আমি আপনাদের জন্য পরিপূর্ণ, উজ্জ্বল দ্বীন নিয়ে এসেছি। এমনকি যদি হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনিও থাকতেন তবে উনার উপরও আমার দ্বীন অনুসরণ করা ওয়াজিব হতো।” (আহমদ শরীফ, বায়হাক্বী শরীফ)
অতএব, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যে জীবন বিধান দিয়েছেন তা যেমন পুরুষদের জন্য মানা ফরয-ওয়াজিব; তেমনি মহিলাদের জন্যও বিশ্বাস করা এবং মানা ফরয-ওয়াজিব। শুধু তাই নয়; বরং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যেই রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ মুবারক।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২১)
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো বলেন, “আখেরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা এনেছেন সেটা আঁকড়িয়ে ধর এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, সেটা থেকে বিরত থাক। এ বিষয়ে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর, নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।” (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
অর্থাৎ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা আদেশ করেছেন এবং যা নিষেধ করেছেন- সেটা পরিপূর্ণভাবে মেনে চলার নামই হচ্ছে- ‘সম্মানিত দ্বীন ইসলাম’। তাই পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরকেও অতি উত্তমভাবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম মুতাবিক জীবনযাপন করতে হবে। আর যখন আমরা অনুরূপ জীবনযাপন করব তখনই আমরা মুসলমান মহিলা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে আনন্দবোধ করবো। প্রকৃতপক্ষে আমরা তখনই মুসলিম নারী হিসেবে নিজেদের সার্থক মনে করব যখন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন এবং উনার প্রিয়তম হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আনুগত্য করবো তথা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক নিজেদের জীবনকে গঠন করব। আর যথার্থ পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনেই মহিলাদের মুক্তি নিহিত। এজন্যে প্রয়োজন যামানার ইমাম উনার সান্নিধ্য এবং ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ্্ হাছিল করা। যেহেতু মহিলাদের পক্ষে তো যামানার ইমাম, মুজাদ্দিদে আ’যম উনার সরাসরি দর্শন লাভ, সান্নিধ্য হাছিল সম্ভব নয়। তাই আমাদেরকে আফদ্বালুন নিসা, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার খাছ ছোহবতের মাধ্যমে হাক্বীক্বী মুসলিমা মু’মিনায় পরিণত হতে হবে। (আমীন)
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অমুসলিম মহিলাদের দ্বীন ইসলাম গ্রহণের ঈমানদীপ্ত ঘটনা: গবেষণা করতে যেয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ জার্মান নও-মুসলিম নারী ‘ক্যাথেরিন হুফার’র
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দাম্পত্য জীবন সুখময় করার কতিপয় সুন্নত মুবারক
১৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া জায়িয নয়
১৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হাকীকী মু’মিনা মুসলিমা হতে হলে বর্তমানে প্রচলিত এই সমস্ত ফিতনা হতে নারীদেরকে খালেছ তওবা করে দ্বীন ইসলামী আহকামে ফিরে আসতেই হবে
১৭ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহিলাদের সুন্নতী লিবাস, অলংকার ও সাজ-সজ্জা (১১)
১৭ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১৬ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য (২)
১৬ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহিলা ছাহাবী উনাদের জীবনী মুবারক:
১৪ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়
১৩ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ নিয়ে গবেষণা করে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন জাপানি নও-মুসলিম নারী
১২ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: কন্যা সন্তানকে পিতার সম্পত্তি বণ্টন
১২ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাংলাদেশে কখন ও কীভাবে শরীয়তবিরোধী যৌতুক প্রথার প্রচলন শুরু হয়
১১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)