পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার কতিপয় মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী আমল মুবারক
, ১৪ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৬ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ২৮ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
১. সূর্য ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থাৎ ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে পবিত্র ইফতার করা।
২. খেজুর দ্বারা পবিত্র ইফতার শুরু করা, না থাকলে পানি দ্বারা পবিত্র ইফতার শুরু করা।
৩. যে জিনিসের মাধ্যমে পবিত্র ইফতার করবে তা বেজোড় সংখ্যক হওয়া।
৪. পবিত্র ইফতার করার সময় পবিত্র দুরূদ শরীফ ও পবিত্র ইফতার উনার দোয়া/নিয়ত মুবারক পাঠ করা।
ইফতার উনার নিয়ত
اَللّٰهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلٰى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ .
অর্থ: “আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টি মুবারক উদ্দেশ্যে আমি রোযা রেখেছি। আর আপনার দেয়া রিযিক্ব দিয়ে আমি ইফতার করছি। ”
৫. পবিত্র সাহরীর সময় অল্প করে হলেও কিছু খাওয়া। জরুরত আন্দাজ খাওয়া-দাওয়া করার পর বেজোড় সংখ্যক খেজুর বা খুরমা খেজুর খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক।
৬. রাতের শেষভাগে পবিত্র সাহ্রী করা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত এবং পবিত্র সাহরী এত দেরিতে না করা যে, ছুবহে ছাদিক হওয়ার আশঙ্কা হয়।
৭. পবিত্র সাহরীর নিয়ত করা।
সম্মানিত রোযা রাখার নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اَصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمَضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضًا لَّكَ يَا اَللهُ فَتَقَبَّلْ مِنِّىْ اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ.
বাংলা নিয়ত: “আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনার সম্মানিত সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য আগামীকালের পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার পক্ষ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা এবং সর্বজ্ঞাত। ”
৮. সব ধরনের অনর্থক কথাবার্তা থেকে জবানকে হিফাজত করা এবং সব ধরনের হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা। যেমন- গিবত, চুগলখোরি, মিথ্যা কথা বলা ইত্যাদি।
৯. সাধ্য অনুযায়ী দান-ছদক্বা করা।
১০. ইলিম অর্জনে মশগুল থাকা, পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা, পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করা, ইস্তিগফার-তওবা করা, দোয়া-মুনাজাত করা। সর্বদা যিকির-ফিকিরে মশগুল থাকা।
১১. পবিত্র ই’তিকাফ করা ।
১২. পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার শেষ ১০দিনের বেজোড় সংখ্যক রাতে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর শরীফ তালাশ করা।
১৩. পবিত্র ছদক্বাতুল ফিতর আদায় করা।
১৪. যাকাত সংগ্রহ ও আদায় করা।
১৫. মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের উদ্দেশ্যে সর্বপ্রকার নেক কাজের মধ্যে মশগুল থাকা।
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খুতবায় লাঠি ব্যবহার করা খাছ সুন্নত মুবারক
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মিম্বর শরীফে খুতবা দেওয়ার মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত খাছ সুন্নতী মিম্বর শরীফ উনার বর্ণনা
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ঘরে চন্দন কাঠ পোড়ানো এবং ধূপ জ্বালানো সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অর্ন্তভূক্ত
১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের উদ্দেশ্যেই নিকাহ বা বিবাহ করতে হবে
১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একখানা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক হচ্ছে, বিবাহ-শাদী করা। যার দ্বারা রিযিক বৃদ্ধি পায়
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তরীক্বায় বিবাহের মোহর
১২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিবাহের পূর্বে বরকে ও কনেকে দেখার সম্মানিত শরয়ী অর্থাৎ মহাসম্মানিত সুন্নতী তরীক্বাহ
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিবাহের ক্ষেত্রে কুফু বা সমকক্ষতা রক্ষা করা পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বিবাহের প্রস্তাব দেয়া এবং সম্মতি জ্ঞাপন করার মহাসম্মানিত সুন্নতী তরীক্বাহ
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৩)
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (২)
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












