পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরাহ করার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক-২
, ২৫ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২০ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إلهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَإقَامِ الصَّلاَةِ وَإيتَاءِ الزَّكَاةِ وَحَجِّ البَيْتِ وَصَوْمِ رَمَضَانَ.
অর্থ: হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ভিত্তি হচ্ছে পাঁচটি। প্রথম হচ্ছে, সাক্ষ্য দেয়া যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অন্তর্ভুক্ত। অতঃপর পবিত্র নামায ক্বায়িম করা। পবিত্র যাকাত আদায় করা। পবিত্র হজ্জ পালন করা। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার রোযা রাখা। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
উল্লেখিত ৫টি স্তম্ভের মধ্যে একটা হচ্ছে, পবিত্র হজ্জ। পবিত্র হজ্জের গুরুত্ব, তাৎপর্য, ফযীলত বলার অপেক্ষা রাখে না।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلِلّٰهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيْلًا ۚ وَمَنْ كَفَرَ فَإِنَّ اللهَ غَنِـيٌّ عَنِ الْعَالَمِيْنَ.
অর্থ: নিশ্চয়ই মানুষদের জন্য, জ্বিন ইনসানের জন্য পবিত্র কা’বা শরীফে পবিত্র হজ্জ করা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত রেযামন্দী সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের লক্ষ্যে ফরয করে দেয়া হলো। যাদের পথ এবং পাথেয়, মাল, জান, ঈমানের নিরাপত্তা থাকবে, তাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রেযামন্দী ও সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের লক্ষে হজ্জকে ফরয করা হলো। আর যে এ বিষয়গুলো অস্বীকার করবে, সে যেন এটা জেনে রাখে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি গণী, বেনিয়াজ সমস্ত কায়িনাত থেকে, সমস্ত আলম থেকে তিনি বেনিয়াজ, তিনি ছমাদ, তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। যারা এটা অস্বীকার করবে তারা কাফির হবে এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি এর মুহতাজ নন তিনি বেনিয়াজ, ছমাদ। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ- পবিত্র আয়াত শরীফ নং-৯৭)
কাজেই বান্দা-বান্দী, উম্মত যাদের পথ, পাথেয় ঈমানের নিরাপত্তা, মালের ও জানের নিরাপত্তা থাকবে, সামর্থ্য থাকবে তাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের লক্ষ্যে রেজামন্দী হাছিলের লক্ষ্যে পবিত্র হজ্জ করা ফরয হবে।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تعالٰى عَنْهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يُوْجِبُ الْـحَجَّ قَالَ الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এক ব্যক্তি (হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) তিনি এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কোন বিষয়গুলো, কোন জিনিসগুলো পবিত্র হজ্জকে ফরয করে দেয়, ওয়াজিব করে দেয়? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তখন ইরশাদ মুবারক করেন পাথেয় এবং বাহন। (তিরমিযী শরীফ)
একটা লোক যে পবিত্র হজ্জ করতে যাবে তার যাবতীয় খরচ, যাতায়াত, সংসারের খরচ এবং বাহন, ঈমানের নিরাপত্তা, জানের নিরাপত্তা যদি থাকে তাহলে তার জন্য পবিত্র হজ্জ আদায় করা ওয়াজিব অর্থাৎ ফরয হয়ে যায়।
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হাত ও পায়ের নখ কাটার মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেসব দিনে গোসল করা ও গোসলে কি কি ব্যবহার করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (১)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৪)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (১)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












