সম্পাদকীয়-২
পশু খাদ্য মূল্যস্ফীতি ও পশু সিন্ডিকেট এবং কর্পোরেট থাবা নিয়ে প্রচারণা ও প্রতিক্রিয়া নেই কেন? সারাবছর কুরবানীতে গরুর দাম সুলভে রাখতে এবং খামারীদেরও বাঁচাতে সব ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ!
, ০৯ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৬ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
সরকারি হিসাবে এবার কুরবানীর জন্য প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ কুরবানীযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ২০ লাখের বেশি গবাদি পশুর জোগানও রয়েছে। অভিজ্ঞমহল মনে করেন, উভয়ক্ষেত্রে প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে পশুর বেচাকেনাও শুরু হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত পশু থাকার পরও জনসাধারণকে আগের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হবে। খামারিরা জানিয়েছেন, কর্পোরেটদের নিয়ন্ত্রণে থাকা গো-খাদ্য এবার ২৫-৩৫ শতাংশ বেশি দামে কিনতে হয়েছে। ফলে পশু পালন ব্যয় বেড়েছে।
কিন্তু মানুষের খাবারের মূল্যস্ফীতি নিয়ে সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে যতটা আলোচনা হয় পোল্ট্রি ফিড মূল্যস্ফীতি নিয়ে ততটা প্রতিক্রিয়া তেমন প্রকাশিত ও প্রচারিত হয় না।
শুধু খাবার নয়, গরুর বাছুর উৎপাদনও এখন কর্পোরেটদের নিয়ন্ত্রণে। একটা সময় গবাদি পশুর সিমেন বা বীজ আমদানি করা হতো। কয়েক বছর থেকেই গবাদি পশুর কৃত্রিম প্রজননে বড় সাফল্য দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রেও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বাজার দখল করে আছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর শোষন ও স্বেচ্চাচারীতার বিপরীতে সরকারের নজরদারীহীনতা ও নিয়ন্ত্রণহীনতা খামারীদের জন্য কত কষ্টের কারণ; সংশ্লিষ্টদের সে উপলব্ধি ও অনুভূতি দেখা যায়।
পশু পালনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খাদ্যের উচ্চমূল্য। গো-খাদ্য উপকরণের একটি বড় অংশই আমদানিনির্ভর। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন গম ও সয়াবিন, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও আমদানিকারকদের উচ্চ মুনাফা প্রবৃত্তির কারণে দেশে গো-খাদ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এ বিষয়েও সরকারের উদাসীনতা ও নিষ্ক্রিয়তা স্পষ্টত সংবিধান লংঘন।
বর্তমানে গো-খাদ্যের প্রয়োজনীয় উপকরণ আমদানি করে দেশের প্রায় ৩০০ কোম্পানি। তবে এর মধ্যে ১০টি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান সিংহভাগ আমদানিতে জড়িত। এদের মধ্যে ফ্রেশ, তীর, আবুল খায়ের, আকিজ, ইফাদ, যমুনা, স্কয়ারসহ ১০ কোম্পানির হাতে গো-খাদ্য উপকরণের বাজার ৫০ শতাংশের বেশি। মূল্য নির্ধারণে এসব কোম্পানিই মুখ্য ভূমিকা রাখে। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করছেন খামারিরা।
কর্পোরেট কোম্পানীগুলোর এমন সিন্ডিকেটবাজী প্রশ্নবিদ্ধ করে যে তারা কি তবে দেশের সরকারের চেয়েও বড় আসল সরকার?
শুধু গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত হিসাব করলে দেখা যায়, গো-খাদ্যের দাম গড়ে ২৫-৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে কর্মচারীর খরচ ছাড়া ফিডে ১৪.৮১, ভুসিতে ৩৮ শতাংশ, খড়ে ৬০ শতাংশ, ঘাসে ৪২ শতাংশ এবং ধান, ভুট্টা ও গমমিশ্রিত খাবারের দাম বেড়েছে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত। সেই হিসাবে এবার ছোট থেকে মাঝারি বা বড় আকারের গরুতে গড়ে অন্তত ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি বেড়েছে।
খাদ্যের এরূপ বাড়তি দামের কারণে পশু পালন রীতিমত চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে।
অথচ গোশতের ভালো দাম ও নিশ্চিত মুনাফার কারণে গরুর খামারে যুবকরা, বিশেষ করে শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে, যা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু সে আশার আলো যেনো এখন ডুবতে বসছে।
পাশাপাশি খাবারের বাইরেও ছোট খামারিদের জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এর বাজার। ট্রেডার্স ও মধ্যস্বত্বভোগীরা সুসংগঠিত হওয়ায় বাজারে ছোট খামারিদের সরাসরি প্রবেশাধিকারে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সরাসরি ক্রেতার কাছে গরু বিক্রিতে ছোট খামারিদের কঠিন যুদ্ধ করতে হয়।
অভিজ্ঞতায় আমরা বারবার বলছি যখনই এদেশে কোন শিল্প সমৃদ্ধির পথে এগোয় তখনই বহুমুখী ষড়যন্ত্র ও বাধা তা গিলে খাওয়ার উপক্রম করে।
এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান। তবে সাধারণ খাওয়া ছাড়াও কুরবানীতে অপরিহার্য অনুষঙ্গ। এ বিষয়ে সরকারের দায়িত্ববোধ জোরদার করতে হবে। গরু কুরবানী ও গরুর গোশত নাগরিকদের সূলভ করতে হবে। খামারীদের পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












