সুন্নতী মুবারক তা’লীম
পাগড়ী পরিধান করা দায়েমী সুন্নত মুবারক
, ০৩ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৭ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বদা পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন। তাই পাগড়ী পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক।
পাগড়ীর পরিমাপ :
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অধিকাংশ সময় যে পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন তা ছিল ৭ হাত লম্বা, যা পবিত্র হুজরা শরীফ হতে বের হওয়ার সময় তিনি পরিধান মুবারক করে বের হতেন । পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করার সময় এ ধরণের পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন। পবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে যে পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন তা ছিল ৩ হাত লম্বা। কোন কোন সময় ১২ হাত লম্বা পাগড়ী মুবারকও ব্যবহার করতেন।
সাধারণত: বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে, যেমন, পবিত্র ঈদ, পবিত্র জুমুয়াহ, জিহাদের ময়দান, ইত্যাদিতে এ ধরনের পাগড়ী মুবারক ব্যবহার করতেন। সব ধরনের পাগড়ী মুবারক উনার চওড়া কমপক্ষে আধ হাত উর্ধে দুই হাত হতো । (সিহাহ সিত্তাহ, সীরাত গ্রন্থসমূহ, শামায়েলে তিরমিযী, মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ৩/৪৫, ৩৬/৯৩)
পাগড়ীর রং :
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কালো, সবুজ, সাদা, রং এর পাগড়ী মুবারক পরিধান করতেন। তবে কালো পাগড়ী মুবারক তিনি বেশী ব্যবহার করতেন। (শামায়েলে তিরমিযী শরীফ, মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ৩৬/৯৩)
পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের সময় উনার মহাসম্মানিত নূরুল হুদা মুবারকে (মহাসম্মানিত মাথা মুবারকে) কালো পাগড়ী মুবারক ছিলেন।
শিমলা :
পাগড়ীর শিমলা ১ বিঘত থেকে ১ হাত হওয়া আবশ্যক এবং তা দু’ কাঁধের মধ্যখানে ঝুলিয়ে রাখা উত্তম। শিমলা ছাড়া পাগড়ী পরিধান করা বিজাতীয়দেও আলামত। (শামায়েলে তিরমিযী শরীফ, মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ৩/৪৫, ৩৬/৯৩)
রুমালকে পাগড়ী হিসাবে ব্যবহার :
রুমাল দিয়ে পাগড়ী পরিধান করলে পাগড়ীর পবিত্র সুন্নত আদায় হবে না। কারণ পাগড়ীর এক মাপ ও রুমালের আরেক মাপ। (মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ- ৩/৪৫)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِـىْ رَسُوْلِ اللهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ.
অর্থ: “অবশ্যই অবশ্যই মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ মুবারক রয়েছেন। ” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ)
কাজেই, সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো সুন্নতী পাগড়ী পরিধান সহ যাবতীয় সকল আমলের ক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ মুবারক করা।
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক - ২
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক -১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হাত ও পায়ের নখ কাটার মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেসব দিনে গোসল করা ও গোসলে কি কি ব্যবহার করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (১)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৪)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












