মহিলাদের পাতা
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য (১৪)
(আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ থেকে সংকলিত)
, ০৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৮ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
এ প্রসঙ্গে বলা হয় যে, হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি একবার ইবাদত-বন্দেগী শেষ করার পর মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশে বের হলেন সফর (ভ্রমন) করার জন্য। সফর করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এল। যখন সন্ধ্যা হয়ে এল, তিনি কিছুটা ক্লান্ত-শ্রান্ত বোধ করলেন। তখন তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে বললেন, আল্লাহ পাক! এ সফর করার কারণে আমি খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি, এখন আমার পক্ষে হেঁটে এখান থেকে আবার আমার সেই গন্তব্যস্থল যেখানে রয়েছে, সেখানে যাওয়া কঠিন। আপনি দয়া করে আমার একটা বাহনের ব্যবস্থা করে দিন, আয় মহান আল্লাহ পাক! তিনি যখন আরজু করলেন মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আপনি একটু সামনের দিকে হাঁটুন, সামনে পাহাড় রয়েছে, সেখানে যান। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম হেঁটে হেঁটে পাহাড়ের দিকে কিছুটা গেলেন। উনি বললেন- যখন আমি পাহাড়ের কাছে এসে পেীঁছলাম, তখন দেখলাম- পাহাড়ের গুহার মধ্যে যেটা বাহির থেকে দেখা যায় যে, একজন লোক নামায পড়তেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আপনি সামনে যান, সেখানে একটা লোককে দেখবেন আমার ইবাদতে মশগুল রয়েছেন, আপনি তাকে আপনার বাহনের কথা বলবেন, বললে সে আপনার জন্য বাহনের ব্যবস্থা করে দিবে। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম, উনি অগ্রসর হয়ে দেখলেন, একটা লোক নামায পড়তেছেন। তার নামায যখন শেষ হলো, উনি তাকে বললেন, হে ব্যক্তি! তুমি আমাকে একটা বাহনের ব্যবস্থা করে দাও। আমাকে যেতে হবে। সে ব্যক্তি কথা শুনে বললেন- বেশ, আপনি অপেক্ষা করুন। সে সাথে সাথে আকাশের মেঘকে নির্দেশ দিল- হে মেঘ! তুমি নিচে নেমে আস। এসে এই যে ব্যক্তি, (সে ব্যক্তি অবশ্য মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে চিনতে পারেনি) উনি যে চাচ্ছেন কোথাও যেতে, তুমি উনাকে বহন করে উনার গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দাও। বলার সাথে সাথে মেঘটা নেমে আসলো। সেই মেঘে চড়লেন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম। মেঘতো উনাকে নিয়ে উনার গন্তব্যস্থলে রওয়ানা হলো। মহান আল্লাহ পাক তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “হে আমার রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! এই যে লোকটা, তাকে এত ফযীলত আমি দিয়েছি, বুযুর্গী দিয়েছি যে, তার নির্দেশে মেঘ চলে আসলো আপনাকে আপনার গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য, সেটা বাহন হলো। কি কারণে আমি তাকে এত ফযীলত দিয়েছি, আপনি কি জানেন সেটা। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম বললেন, আয় বারে এলাহী! সেটা তো আমার জানা নেই, আপনি কি কারণে তাকে এত ফযীলত দিয়েছেন, বুযুর্গী-সম্মান দিয়েছেন, এত মর্যাদা-মর্তবা দিয়েছেন? এহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, “হে আমার রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আপনি জেনে রাখুন, এই লোক, যাকে আপনি দেখলেন পাহাড়ে ইবাদত-বন্দেগী করতে, যে আপনার বাহনের ব্যবস্থা করে দিল, তার মায়ের মৃত্যুর সময় তার মা তার কাছে একটা জিনিস চেয়েছিল। চাওয়ার সাথে সাথে তৎক্ষনাৎ সে তা সংগ্রহ করে তার মাকে দিয়েছিল। তার মা সেটা পেয়ে দোয়া করেছিল যে, আল্লাহ পাক! আমার এই সন্তান আজকে আমার অভাব, আমার চাহিদা যেভাবে পূরণ করে দিলো তৎক্ষনাৎ। আপনি দয়া করে আমার এই সন্তানের সমস্ত চাহিদা, সমস্ত অভাবগুলো তৎক্ষনাৎ পুরা করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ! যখন তার মা এ দোয়া করলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “তখন আমি তার দোয়াটা সাথে সাথে কবুল করে নিলাম। সেই মুহূর্তে যদি সেই সন্তান আমাকে বলতো যে, আসমানকে যমীনে নামিয়ে দেয়ার জন্য, আর যমীনকে আসমানে তুলে দেয়ার জন্য, আমি সেটাও করতাম। ”সুবহানাল্লাহ! একমাত্র তার মায়ের দোয়ার বদৌলতেই আমি তাকে এই মর্যাদা-মর্তবা, ফযীলত দিয়েছি। একমাত্র তার মায়ের দোয়ার বদৌলতে এই ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান দিয়েছি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












