পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থায় জাতীয় সম্পদ কুক্ষীগত হচ্ছে গুটিকয়েক ব্যক্তির হাতে। পবিত্র ঈদেও ফুটে উঠেছে বৈষম্যের চিত্র। ঈদের আনন্দ-খুশি থেকে বঞ্চিত হয়েছে গরীবরা। সরকারের উচিত, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে বৈষম্য নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
, ০৬ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ০৩ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
![পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থায় জাতীয় সম্পদ কুক্ষীগত হচ্ছে গুটিকয়েক ব্যক্তির হাতে। পবিত্র ঈদেও ফুটে উঠেছে বৈষম্যের চিত্র। ঈদের আনন্দ-খুশি থেকে বঞ্চিত হয়েছে গরীবরা। সরকারের উচিত, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে বৈষম্য নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।](https://www.al-ihsan.net/uploads/1713206867_Editor.jpg)
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
এক মাস পবিত্র সিয়াম পালন করার পর দেশের মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে। পবিত্র ঈদ আনন্দ-খুশির পাশাপাশি ত্যাগ, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং ইনসাফের শিক্ষা প্রদান করে। বৈষম্য নিরসনের শিক্ষা প্রদান করে। তবে সিংহভাগ গোষ্ঠী যেভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে তার প্রভাব বছরের দুই ঈদের সময়েও পড়ছে। এবারের ঈদেও তা প্রকট হয়েছে।
ঈদের সময় দরিদ্র এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক দায়িত্ব কর্তব্য থাকলেও দেশে এ ধরনের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না। ফলে ঈদের দিনেও মানুষের কাছে সাহায্য চাইতে দেখা যায় দুস্থ শ্রেণীকে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আমরা বলবো অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্ট দারিদ্র্যতার কারণে দেশের লক্ষ-লক্ষ পরিবার বড়ই কষ্টে-সৃষ্টে জীবন নির্বাহ করছে। মূল্যস্ফীতির কারণে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ হয়ে যাবার কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। আয়-উপার্জনহীন হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। পক্ষান্তরে দেশে মুষ্টিমেয় একদল মানুষের দ্বারে দ্বারে ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক-বীমাসহ সকল প্রকারের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্রীভূত হয়ে যাওয়ার দরুণ দেশে প্রতিবছর কোটিপতি লোকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে বিধায় দেশের জনগণের মধ্যে বৈষম্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।
পবিত্র ঈদের সময় ধনী-গরিব সবারই প্রত্যাশা থাকে বড়। ঈদ উপলক্ষে একটা দিন একটু ভালো খাওয়া-দাওয়া করতে, নতুন কাপড়চোপড় পরতে, সাধ্য-সামর্থ মতো খুশি প্রকাশ ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবারই মন চায়। তবে দেশের প্রকট বৈষম্য ঈদ উদযাপনে বিশাল পার্থক্যের সৃষ্টি করেছে। যে মহলটির কাছে দেশের সম্পদ কুক্ষিগত রয়েছে তাদের ঈদের শপিং হয় কলকাতা-দিল্লী-সিঙ্গাপুর-দুবাইয়ে। ঈদের দিনে এরা অতিথি আপ্যায়ন করে পাঁচতারা হোটেলের স্পেশাল অর্ডার দেওয়া খাবার দিয়ে। ঈদের ছুটিতে নিজেদের একটা ‘ব্রেক’ দিতে এরা দৌড়ায় সিঙ্গাপুর-কুয়ালালামপুরে, নিদেনপক্ষে কক্সবাজারে।
কিন্তু সাধ আর সাধ্যের মধ্যে ফারাক ঘুচিয়ে সব চাহিদা পূরণ করতে পারে না দরিদ্র শ্রেণীর মানুষেরা। বিশেষ করে দু’বেলা দুই মুঠো খাবার জোগাতে যাদের হিমশিম খেতে হয়, তাদের জন্য ঈদের আনন্দ, ঈদের স্বপ্ন, দুঃস্বপ্ন হয়েই থেকে যায়। তারা শিকার হয় যাকাতের কাপড় প্রদানের নামে সমাজের কিছু প্রভাবশালীদের লোকদেখানো কার্যক্রমের। যাকাতের কাপড় কিংবা অর্থ নিতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে মৃত্যু পর্যন্ত হয় তাদের।
ঈদ কেমন কেটেছে দরিদ্রদের তা নিয়ে জাতীয় দৈনিকগুলো হেডিং হয়েছে-
* ঈদের আনন্দ নেই দুস্থ-দরিদ্রদের।
* ঈদে গরীবের নাগালের বাইরে গোশতের বাজার।
* সেমাই চিনি ধারদেনা করে ঈদ পালন দুস্থদের।
* হাওরে নেই ঈদের আনন্দ, অনেকে কিনতে পারেননি সেমাই-চিনিও।
* ঈদের আনন্দ টেরই পায়নি দরিদ্র মানুষেরা।
* ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত অসহায় জেলে পরিবারগুলো।
* ভাসমান মানুষের আর্তনাদ: ঈদে কেউ আমাদের খোজ নেয় না।
এছাড়া, দেশের চরাঞ্চলের মানুষ, নদীভাঙ্গনে সর্বস্ব হারানো মানুষ, দেশের লাখ লাখ বেকার জনগোষ্ঠী তারাও পবিত্র ঈদ উৎসবের সত্যিকার আনন্দ ও খুশি প্রকাশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা চরম বৈষম্যকর।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, হাক্বীকী মানবিকতা এবং জনসাধারণের উন্নয়নের স্বার্থে সরকারের বছরব্যাপী বৈষম্য নিরসনের পাশাপাশি দায়িত্ব হলো দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে ঈদকেন্দ্রীক বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করা। যারা দুস্থ-নিম্নবিত্ত রয়েছে তাদেরকে ঈদ উপলক্ষ্যে পরিপূর্ণ নগদ আর্থিক সহায়তা এবং খাদ্যসহায়তা প্রদান করা। আরব মুসলিম দেশগুলোসহ অনেক মুসলিম দেশেই ঈদকেন্দ্রীক দুস্থদের আর্থিক এবং খাদ্য বিতরণের রীতি রয়েছে। একই ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত দ্বীন ইসলাম উনার দেশ তথা ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে সরকারিভাবে প্রবর্তিত হওয়া সময়ের চরম দাবী তথা বড় প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতাত্তোর সব সরকারই আয়বৈষম্য ও সম্পদ বন্টন বৈষম্যের প্রতিকারস্বরূপ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করার কথা বলে আসছে। কিন্তু এযাবৎকাল কোনো সরকারই দেশের এই ধনী-গরীব বৈষম্য রূখতে পারেনি। তথাকথিত আইন-কানুন দিয়ে কখনো বৈষম্য রোধের মতো মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার সাফল্য অর্জন আসলে সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ ও অনুভূতির প্রতিফলন ও প্রচলন। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই ধনীদের সম্পদে গরীবদের হক্ব রয়েছে’। এ পবিত্র আয়াত শরীফের চেতনা বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে দুস্থ-দরিদ্র নাগরিকদেরও পবিত্র ঈদের আনন্দ নিশ্চিত করা সম্ভব।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার বিশাল নথিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি দখলদার ১ লাখ ৬০ হাজার নাম এসেছে শুধু নাম সর্বস্ব না করে বনভূমি উদ্ধারের বাস্তব নজীর চাই
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরো সোনালী সমৃদ্ধি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কারফিউতে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে আরো আগুন। ধারদেনায় চলছে শ্রমজীবী মানুষ। তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করবে কে? সরকারকেই সবকিছু নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশের উদ্যোক্তারা ব্যাংক ঋণসহ বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত সরকারের উচিত- উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অপুষ্টির কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতি প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা; দেশের ৫০ ভাগ শিশুমৃত্যুর কারণ অপুষ্টি; অপুষ্টিতে শিশুদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বাড়ছে স্থুলতা। দেশের জনগণের প্রতি রাষ্ট্রযন্ত্রের কি কোনই দায়বদ্ধতা নেই?
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল খমিস, সাইয়্যিদুশ শুহাদা, শহীদে কারবালা, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। ঐতিহাসিক পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররমুল হারাম শরীফ।
১৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)