প্রকট অর্থনৈতিক সংকটেও ঋণখেলাপীদের রহস্যজনকভাবে ছাড় দেয়া হচ্ছে। এর একান্ত প্রতিকার হওয়া দরকার।
, ০৮ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ০১ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
দেশের ব্যাংক খাত খেলাপি ঋণের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না। এর প্রভাব যে শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর ওপর পড়ছে তা নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের শিল্প খাতও। উদ্বেগের বিষয়, একের পর এক ভয়াবহ ঋণ জালিয়াতি ও খেলাপি-কা- প্রকাশ্যে আসার পরও এ ধরনের ঘটনা বন্ধ হয়নি। সব মিলে খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংক খাত এখন বহুবিধ রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে তারল্য সংকট, প্রভিশন ঘাটতি, মূলধন ঘাটতি এবং আয় কমে যাওয়া।
প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার আগে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছিলেন, ‘ঋণখেলাপিদের ধরতে চাই, এবার ধরব। ’ কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে খেলাপিদের ধরার পদক্ষেপের কোনো কথাই বলা হয়নি। এমনকি ঋণখেলাপি শব্দটিও বাজেট বক্তৃতার কোথাও উল্লেখ নেই। বরং বাজেটের দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ-এ তিন মাসেই খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩৬ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা বেড়ে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃত খেলাপি ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি। বলার অপেক্ষা রাখে না, খেলাপি ঋণের এ চিত্র সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য শুভ লক্ষণ নয়।
আমরা মনে করি, দেশের আর্থিক খাতের দুষ্ট ক্ষত খেলাপি ঋণ না কমে দিন দিন বেড়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া।
চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আরও উদ্বেগের বিষয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে খেলাপি ঋণের যে অঙ্ক প্রকাশ করা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে এর পরিমাণ আরও বেশি। কারণ, অর্থ ঋণ আদালত, হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্টের মামলাগুলোতে আটকে থাকা খেলাপি ঋণকে জাস্টিফাইড ঋণে অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। আবার ৬৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করা হয়েছে। পাঁচ বছরের পুরোনো মন্দ ঋণও খেলাপি ঋণে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। এগুলোকে যোগ করলে খেলাপি ঋণের মোট অঙ্ক ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। বোঝাই যাচ্ছে, খেলাপি ঋণ আদায়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
২০২৪ সালের মধ্যে দেশের পুরো ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার যে শর্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) দিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঠিক নির্দেশনার অভাবে উল্টো তা আরও বেড়েছে। অর্থাৎ গোড়াতেই যে গলদ রয়েছে, তা স্পষ্ট। কোন কৌশলে খেলাপি ঋণ কমানো যাবে, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যদি দিকনির্দেশনাই দিতে না পারেন, তাহলে তাদের রাখার সত্যিই কোনো দরকার আছে কিনা, এমন প্রশ্ন ওঠা অমূলক নয়।
যেখানে শুধু ব্যাংক খাত নয়, দেশের অর্থনীতির স্বার্থেই ঋণখেলাপিদের মুখোশ উন্মোচন করা প্রয়োজন, নেওয়া উচিত শাস্তিমূলক কঠোর পদক্ষেপ; সেখানে রহস্যময় কারণে তাদের ঢালাওভাবে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে যদি কোনো দুষ্টচক্র সক্রিয় থাকে, তাদেরও শনাক্তের পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












