সম্পাদকীয় (২)
প্রতারণামূলকভাবে বাংলাদেশে নিম্নমানের গণপরিবহন সরবরাহ করেছে ভারত। রাষ্ট্রের গচ্চা যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা, মুনাফা লুটছে ভারত। এর এক্ষুণি অবসান হওয়া দরকার।
, ২১ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৯ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১২ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বর্তমানে বিআরটিসি’র বাসের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি। গত ১০ বছরে দেড় হাজারের বেশি বাস কেনা হয়েছে, যার বেশিরভাগই ভারত থেকে কেনা। এসব বাসের মধ্যে ৫ শতাধিক বাস এখন বিআরটিসির বিভিন্ন বাস ডিপোতে অচল হয়ে পড়ে আছে বলে জানা গেছে। দেশের সড়ক পরিবহন সেক্টরে হাজার হাজার বাস মিনিবাস চলাচল করছে। এর মধ্যে অনেক নামি-দামি ব্র্যান্ডের গাড়ীও আছে। বেশিরভাগই ১০-১৫ বছরের পুরনো হলেও বছরের পর বছর ধরে সড়ক-মহাসড়কে চলছে এবং বেসরকারি পরিবহন কোম্পানী বছরে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করছে। তবে জনগণের রাজস্ব থেকে বিআরটিসির জন্য বছরে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও বিআরটিসি সব সময়ই অলাভজনক ও লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
বাইরে চাকচিক্য দিয়েই দিনের পর দিন চলাচল করছে ভারত থেকে আমদানিকৃত বিআরটিসি’র বাসগুলো। ভারত থেকে আনা বিআরটিসি বাসগুলোর ভেতরে পা দিতেই দেখা যায় ভিন্ন দৃশ্য। বাসের মেঝে কাঠের তৈরি। সামান্য চাপ দিলেই বেঁকে যায় বডি। ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি-১) মাধ্যমে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১২ সালে কেনা হয় ২৯০টি দ্বিতল ও ৫০টি আর্টিকুলেটেড বাস। দ্বিতল বাসগুলোর অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ১২ বছর ও আর্টিকুলেটেড বাসগুলোর অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ধরা আছে ১৫ বছর। আট বছর যেতে না যেতেই দ্বিতল ৫৫টি বাস অচল। অচল আর্টিকুলেটেড বাসের সংখ্যা ১২। সচলগুলো হালকা ও ভারি মেরামতের মধ্যেই থাকে বেশিরভাগ সময়।
শুধু বিআরটিসি বাসই নয় বাংলাদেশ রেলেও নিম্নমানের ট্রেনের কোচ ও বগি নিয়ে ব্যাপক লোকসানী খাতে পরিণত হয়েছে। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ ও ৪ এপ্রিল ভারত থেকে ৪০টি লাল সবুজ কোচ আমদানি করে সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে পরীক্ষা করে দেখা যায় এই আমদানিকৃত ট্রেনের কোচগুলো স্টেইনলেস স্টিল নয়। পুরোপুরি ভারতীয় নিম্নমানের একপ্রকার টিন দিয়ে তৈরী। যাতে চুম্বক নিলেই সাথে সাথে আটকে যায়। সেইসাথে এই কোচগুলোর গতিও প্রচুর পরিমাণে কম ছিলো এবং অল্প গতিতেই ব্যাপক শব্দের সৃষ্টি করেছিলো। অন্যদিকে- রেল খাতের কথিত উন্নয়নের নামে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছিলো ডেমু ট্রেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের গণপরিহন খাত দিন দিন ভারত নির্ভর হয়ে গেছে। বিশেষ করে ভারত থেকে বাস ও ট্রেন আমদানি করার কারনে দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছা যাচ্ছে। দেখা যায়- বিদেশ থেকে বিশেষ করে ভারত থেকে এই পরিবহনগুলো আমদানি করার সময় তাদের কাছ থেকেই ঋণ নিয়ে আনা হয়। যাতে নানারূপ কঠিন শর্তের বেড়াজালে চুক্তি আবদ্ধ থাকে। এসব আমদানির সময় তাদেরই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজ দেয়া হয়। অতিরিক্ত যন্ত্রপাতি ও মেশিনারিজ তাদের দেশ থেকেই আমদানি করতে হয়। এতে করে একদিকে তাদের ওই নিম্নমানের পরিবহনগুলোর কারনে লোকসানী হচ্ছে দেশের পরিবহন খাত অন্যদিকে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোই কাজ পাওয়ার কারনে তাদের কাছ থেকে নেয়া ঋণ আবার কয়েক খাত ঘুরে তাদের কাছে ফেরত যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশকে আবার তাদের সেই ঋণও পরিশোধ করতে হচ্ছে অনেক সময় সুদসহ। অর্থাৎ সবমিলিয়ে এই গণপরিবহন আমদানিতে দেশের অর্থনীতিতে একটি বিশাল কুপ্রভাব পড়ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি অটোমোবাইল কোম্পানি বাংলাদেশে উন্নতমানের বাস কোচের বডি তৈরী করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের সৈয়দপুরের রেল কারখানাতেই তৈরী হতে পারে উন্নতমানের রেল কোচ। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাতে বছরে ৬০টি যাত্রীবাহী রেলকোচ তৈরীর সুযোগ রয়েছে। যার জন্য প্রয়োজন শুধু সরকারের সক্রিয় কর্মতৎপরতা। বিশেষজ্ঞদের মতে- যদি উন্নত দেশগুলোর বাস কোচ তৈরীর স্ট্যান্ডার্ড ও সাশ্রয়ী প্রযুক্তি সরকারি বাজেটে বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে বাংলাদেশেই বাস ও ট্রাক সম্পূর্ণরূপে তৈরী করা সম্ভব। এতে করে বিদেশ থেকে নিম্নমানের পরিবহন আমদানি করার আর কোন প্রয়োজনীয়তা থাকবে না। বরং দেশের পরিবহন খাত হবে মজবুত ও উন্নত এবং সেইসাথে এই পরিবহন খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাবে দেশের শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক দুর্বলই থেকে যাচ্ছে। দেশের শিক্ষক সমাজকে অপ্রশিক্ষিত রেখে সরকারের শিক্ষার উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা কখনই সফল হবেনা।
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের প্রায় ৬০ ভাগ শিশুদের পুষ্টিহীনতা ও রক্তশূন্যতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। শিশুদের পুষ্টি সুরক্ষায় সরকারকে সক্রিয় হতে হবে।
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শুধু শস্য উৎপাদন নয় শস্য বহুমুখীকরণের উপর বিশেষ জোর দিতে হবে
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উন্নয়নের জোয়ারের প্রচারনার বিপরীতে অল্প বয়সী বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, তালাক্বপ্রাপ্তা লাখো-কোটি মহিলা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দেশের অসহায় মহিলাদের প্রতি সরকারের বিশেষ হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরী।
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনে আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়
০৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
উন্নয়নের প্রচারণার বিপরীতে অতি উচ্চ ঋণ গ্রহণের তথ্যই বাস্তব সত্যি মাথাপিছু ঋণ দেড় লাখ টাকা- জনগণ নিজেদের ঋণী হিসেবে দেখতে চায় না
০৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ২৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আত তাসিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ২৭ তারিখ। যা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বমিসাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দেশের ফসলী জমিতে কমছে জৈবসারের ব্যবহার, বাড়ছে রাসায়নিক সার। সরকারের উচিত আইন করে জৈবসার ব্যবহার ও জৈবসারের জন্য প্রয়োজনীয় ভর্তুকি-প্রণোদনা প্রদান করা।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আত্মহত্যা প্রবনতারোধে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরো সোনালী সমৃদ্ধি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)