পর্দা পালন করা ফরজ
প্রসঙ্গ অনুমতি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করা এবং কারো ঘরে উঁকি দেয়া
, ২০ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৯ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّى تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَى أَهْلِهَا ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্য ঘরে প্রবেশ করোনা, যে পর্যন্ত অনুমতি না নাও এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না করো। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা স্মরণ রাখ। (সূরা নূর : আয়াত শরীফ ২৭)
উক্ত আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমভাবে সকলকেই যে কোন কারো ঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ কারো ঘরে প্রবেশ করার পূর্বে ঘরওয়ালাদের অনুমতি সাপেক্ষে প্রবেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর এটাও মূলতঃ ‘হিজাব বা পর্দার’ একটি অংশ।
অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করা সংক্রান্ত উল্লেখিত আয়াত শরীফের ব্যাখ্যায় ইমাম-মুজতাহিদ তথা অনুসরণীয় মুফাস্সিরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের তাফসীর গ্রন্থসমূহে যে ফায়ছালা দিয়েছেন এখানে তা উল্লেখ করা হলো-
প্রথম মাসয়ালা: কারো ঘরের ছিদ্র দিয়ে ভিতরে দৃষ্টি দেয়া সংক্রান্ত।
মহান আল্লাহ তায়ালা উনার কালাম-
(يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا)
“(হে ঈমানদারগণ! তোমরা কারো ঘরে প্রবেশ করো না) মহান আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার আদম আলাইহিস সালাম উনার সন্তানের জন্য আবাসস্থল তথা ঘর নির্ধারণ করেছেন। এর মাধ্যমে তাদেরকে অনেক দৃষ্টি থেকে আড়ালে রেখেছেন এবং আলাদাভাবে তাদেরকে উপকার লাভের মালিকানাস্বত্ত্ব দিয়েছেন। মানুষের জন্য সীমা যে, যা ঘরের বাইরে এবং ঘরের অভ্যন্তরে তা ঘরের মালিকের অনুমতি ছাড়া দেখবে না। তাদেরকে আদব শিক্ষা দিয়েছেন তাদের মধ্যে আওরাতদের থেকে ফিরানোর মাধ্যমে, যাতে তাদের মধ্যে কেউ অপর কোন মহিলার দিকে দৃষ্টি না দেয়।
‘ছহীহ্ মুসলিম’ শরীফে আছে, সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “কেউ যদি কোন সম্প্রদায়ের কারো বাড়ীতে তাদের অনুমতি ছাড়া উকি মেরে দেখে, বাড়ীওয়ালার জন্য বৈধ হবে তার চক্ষুকে ফুটা করে দেয়া। ”... এখানে চক্ষু ফুটা করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেন এর উপর আমল করার মত আমল করা হয়। এমনকি এরপর সে অপর কারো ঘরে দৃষ্টি দিবে না। আর কেউ কেউ বলেন; এতে জরিমানা হবে না এবং কেছাছও হবে না। এটাই ছহীহ্ মত।
-আল্লামা সাইয়্যিদ শুয়াইব আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












