সুওয়াল-জাওয়াব:
প্রসঙ্গ মূর্তি-ভাস্কর্য দ্বীন ইসলামে নিষিদ্ধ
, ১১ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৭ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ৩০ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সুওয়াল:
এক মুনাফিক কিছু বাতিল ও মনগড়া দলীল জোগাড় করে মূর্তিকে জায়িয প্রমাণ করার অপচেষ্টা করেছে। তার মূল বক্তব্য হচ্ছে, যে মূর্তিকে পূজা, আরাধনা, ইবাদত করা হয়, যেটা মানুষকে মুশরিক বানায়; সেটা নিষেধ। কিন্তু যে মূর্তিকে আরাধনা ইবাদত করা হয় না বরং যে মূর্তি সৌন্দর্য বাড়ায়, সুসজ্জিত করে সেটা নিষেধ নয়।
অতএব, উক্ত ব্যক্তির এ ধরণের যুক্তি কতটুকু ইসলামসম্মত? দলীলসহ জাওয়াব দিয়ে বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।
জাওয়াব:
অতএব, সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কারো দ্বীন-ধর্ম-মতবাদ, আদর্শ, তর্জ-তরীক্বা, তন্ত্র-মন্ত্র, নিয়ম-নীতি গ্রহণযোগ্য অনুকরণ ও অনুসরণযোগ্য নয়।
কাজেই, প্রতিমা বলা হোক, মূর্তি বলা হোক, ভাস্কর্য বলা হোক প্রত্যেকটাই মূর্তি এবং প্রত্যেকটার হুকুম এক। প্রতিমা, মূর্তি, ম্যানিকিন, ভাস্কর্যের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা চরম জিহালতি, গ-মূর্খতা ও মনগড়া। মনগড়া বা বানোয়াট কোন কথা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও সম্মানিত মুসলমানদের জন্য কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-
هَاتُوْا بُرْهَانَكُمْ اِنْ كُنْتُمْ صَادِقِيْنَ
অর্থ: যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক, তবে দলীল পেশ করো। (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১১)
কাজেই, কেউ কোন বিষয়কে জায়িয কিংবা নাজায়িয প্রমান করতে চাইলে তাকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের থেকে দলীল পেশ করতে হবে। আর দলীল প্রদানকারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে যার দলীল বেশি এবং নির্ভরযোগ্য হবে তারটাই সঠিক বলে সাব্যস্ত হবে।
উল্লেখ্য, মুসলমানদের জন্য কোন স্থান, কোন দেশ, কোন সম্প্রদায়, কোন ব্যক্তি দলীল নয়।
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা মূর্তিকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ মূর্তি মানেই হারাম তা মূর্তি, ভাষ্কর্য, প্রতিমা, ম্যানিকিন, পুতুল, কুশপুত্তলিকা, রূহওয়ালা প্রাণীর ছবি বা আকৃতি অথবা অন্য যে কোন নামেই নামকরণ করা হোক না কেন, সবই সুস্পষ্টভাবে হারাম ও নাজায়িয। অনুরুপভাবে উপাসনা করা, সম্মান প্রদর্শন করা, অসম্মান প্রকাশ করা, স্মৃতি ধরে রাখা, মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা, শিশুদের খেলনার বস্তু বানানো, দাহ করা, ঘর সাজানো, কোন কিছুর প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা অথবা অন্য যে কোন উদ্দেশ্যেই রূহওয়ালা কোন প্রাণীর আকৃতি তৈরী করা, মুদ্রণ করা, ছাপানো, খোদাই করা, সংরক্ষণ করা, প্রদর্শন করা সবই হারাম নাজায়িয এবং কঠিন গুণাহর কাজ। যা থেকে বেঁচে থাকা সকলের জন্য ফরয। মহান আল্লাহ পাক সকলকে বেঁচে থাকার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা-হুসনে যন পোষণ করা ঈমান
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৬)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (১)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহিলাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ নির্দেশনা মুবারক- পর্দা পালন করা
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খরচ করার ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনার ফায়সালা
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৫)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (১)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিজাতীয় বিধর্মী তথা ইহুদী-নাছারাদেরকে অনুসরণ করা ইসলামী শরীয়তে হারাম-নাজায়িয
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র ‘ছলাতুল জুমুয়াহ’ উনার পূর্বে ৪ রাকায়াত সুন্নত নামায অর্থাৎ পবিত্র ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ’ নামায নিয়ে বাতিলপন্থিদের বিভ্রান্ত্রিকর ও মিথ্যা বক্তব্যের দলীলভিত্তিক জাওয়াব (৬)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












