ফিলিস্তিনিদের নাকবা দিবসের চেতনার সাথে সংহতি জানিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সক্রিয় জিহাদে শামিল হওয়াই হোক মুসলিম বিশ্বের জজবা
, ০৮ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৮ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ মে, ২০২৪ খ্রি:, ০৩ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
![](https://www.al-ihsan.net/uploads/no-image.jpg)
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
ব্রিটেনে প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইহুদিবাদীরা ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে এবং নিজেদের স্বাধীন বলে ঘোষণা দেয়। পরের দিন অর্থাৎ ১৫ মে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ শুরু করে ইউরোপ ও রাশিয়া থেকে যাওয়া ইহুদিরা। ওই দিন শরণার্থী হতে হয় সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনিকে। মাত্র দেড় লাখ ফিলিস্তিনি নিজেদের ভূমিতে থেকে যেতে পেরেছিলো। ওই সময় আরব বিশ্ব ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আর ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। পশ্চিমা দুই শক্তিধর দেশের মদদে আরবদের পরাজিত করে ইসরায়েল। ১৫ মে নিজেদের জন্মভূমি থেকে উচ্ছেদের দিনটিকে নাকবা বা বিপর্যয় দিবস বলে ঘোষণা করে ফিলিস্তিনিরা।
১৫ মে থেকে ইহুদি সশস্ত্র গোষ্ঠী ও সেনারা ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য হত্যা-ধর্ষণ-লুট-অগ্নিসংযোগ শুরু করে। প্রাণভয়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাড়িঘর, সহায়-সম্পত্তি ছেড়ে পালাতে থাকে। উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় নেয় পাশের দেশ জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়ায়। এরপর থেকেই এক অনিঃশেষ অনিশ্চয়তার মধ্যে পতিত হয ফিলিস্তিনিরা, যা আজও চলছে। আর তাই প্রতিবছর ১৫ মে ফিলিস্তিনিরা নাকবা দিবস হিসেবে পালন করেন।
ফিলিস্তিনিদের ভাষ্য, গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত যুদ্ধ এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে সামরিক সম্প্রসারণ স্পষ্ট প্রমাণ যে আজ দ্বিতীয় নাকবা ঘটছে। তবে ১৯৪৮ সালে আরব বিশ্বের সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনকে সমর্থন করেছিল। ২০২৪ সালে আরব বিশ্ব আর তাদের পাশে নেই। ফিলিস্তিনিরা একাই এখন নাকবার মুখোমুখি হচ্ছে।
৭ অক্টোবর গাজায় হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েল। ৭৬ বছর আগের মতোই এবারও তাদের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ইসরায়েলের হামলায় ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছিল মিশর সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতে। ওই শহরের একাংশে গত সপ্তাহে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বুধবার পর্যন্ত প্রায়ে সাড়ে পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছে।
স্বাধীন ফিলিস্তিনের জন্য চলমান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছে। গাজাবাসী যুবক, বৃদ্ধ, কিশোর, নারী জবরদখলকারী জালিমদের থেকে নিজ জন্মভূমির স্বাধীনতা কামনা করছে।
ইতোমধ্যে হাজার হাজার শিশু, নারী, বৃদ্ধ ও সাধারণ ফিলিস্তিনিকে তারা শহীদ করেছে। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়ে পড়ে রয়েছে। জীবন প্রবাহের সব ধরনের মাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে। আর উপর থেকে ভয়ঙ্কর সব রকেট ও বোমা হামলা করে সব তছনছ করে দিচ্ছে। এটি কি ফিলিস্তিনিদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? আর তাদের কী স্বাধীনতা অর্জন করার অধিকার নেই। অবশ্যই আছে।
ফিলিস্তিনের মজলুমদের এই স্বাধীনতার জন্য মুসলিম বিশ্বের উচিত তাদের সাথে থাকা। বিশ্ব মানচিত্রে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বা দেশ হিসেবে অন্যান্য স্বাধীন দেশের মতো তাদের নামও থাকার জন্য সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসা। শহীদের রক্ত ঝরানো ফিলিস্তিনের জেরুসালেম হোক ফিলিস্তিনের স্বাধীন রাজধানী। মুক্ত হোক সর্বপ্রথম কিবলা আল-আকসা। কিন্তু শুধু আশ্বাস বাণী আর সামান্য ত্রাণই দায়িত্ব পালন নয়, স্বাধীনতাবাসী ফিলিস্তিনীদের কাধে কাধ মিলিয়ে জিহাদে শামিল হওয়াই হোক মুসলিম বিশ্বের সত্যিকার সহযোগীতা, সহমর্মীতার জজবা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার বিশাল নথিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি দখলদার ১ লাখ ৬০ হাজার নাম এসেছে শুধু নাম সর্বস্ব না করে বনভূমি উদ্ধারের বাস্তব নজীর চাই
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরো সোনালী সমৃদ্ধি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কারফিউতে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে আরো আগুন। ধারদেনায় চলছে শ্রমজীবী মানুষ। তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করবে কে? সরকারকেই সবকিছু নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশের উদ্যোক্তারা ব্যাংক ঋণসহ বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত সরকারের উচিত- উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অপুষ্টির কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতি প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা; দেশের ৫০ ভাগ শিশুমৃত্যুর কারণ অপুষ্টি; অপুষ্টিতে শিশুদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বাড়ছে স্থুলতা। দেশের জনগণের প্রতি রাষ্ট্রযন্ত্রের কি কোনই দায়বদ্ধতা নেই?
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল খমিস, সাইয়্যিদুশ শুহাদা, শহীদে কারবালা, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। ঐতিহাসিক পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররমুল হারাম শরীফ।
১৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)