ফ্রান্সের অব্যাহত লুটপাট! একটি সমৃদ্ধ জনপদের ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার না জানা ইতিহাস (১)
, ১৭ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৬ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ কথাটা শুনলেই আমাদের মানসপটে ভেসে আসে আফ্রিকা মহাদেশের (উত্তর আফ্রিকা বাদে) কথা। অথচ আফ্রিকা কখনোই অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ ছিলো না। তাকে অন্ধকারে আবৃত করেছে ফরাসি, বেলজিয়াম, পর্তুগিজ সহ ইউরোপীয় সভ্য (!) দেশগুলো।
মধ্যযুগে আফ্রিকার (বিশেষ করে উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকার) এক সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য ছিলো। উত্তর আফ্রিকা মোটামুটি তা ধরে রাখতে পারলেও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো এখন দারিদ্রতার অতল গহীনে পর্যবসিত। অথচ এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিটি পশ্চিম আফ্রিকার অধিবাসী।
আসুন দেখে নিই মধ্যযুগে পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশগুলোর সমৃদ্ধ ইতিহাসের দিনগুলি।
পশ্চিম আফ্রিকায় আরব বণিকদের আগমন: নতুন যুগের সূচনা যেখান থেকে!
জাজিরাতুল আরবে দ্বীন ইসলাম আবির্ভাবের পরপরই এটি জাজিরাতুল আরব পাড়ি দিয়ে ১০০ বছরের মধ্যেই উত্তর আফ্রিকা (মাগরেব) হয়ে পৌঁছে যায় ইউরোপীয় ভূখন্ডে। অর্থাৎ ৭ম শতাব্দীর মধ্যেই বিস্তীর্ণ সাহারা মরুভূমির উত্তর অংশে ইসলাম পৌঁছে যায়। কিন্তু মুসলিম সৈন্যদলের পক্ষে সাহারা মরুভূমি পাড়ি দিয়ে দ্বীন ইসলামকে পশ্চিম আফ্রিকা তথা সাব সাহারা অঞ্চলে আনা সম্ভব হয়নি।
কিন্তু মুসলিম বণিকরা এই সময় বাণিজ্যের জন্য ব্যাপকহারে সাব সাহারা অঞ্চলে গমন করতো। বিশেষ করে ঘানা তে তখন একটা সাম্রাজ্য ছিলো যা ব্যাবসা বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিলো সে যুগে।
১) ঘানা সাম্রাজ্যে ইসলাম ও ঘানার অর্থনৈতিক অবস্থা:
তৎকালীন ঘানা সাম্রাজ্যটি আজকের মৌরতানিয়া, সেনেগাল, নাইজার ও মালি নিয়ে গঠিত একটি সমৃদ্ধ সাম্রাজ্য (আজকের ঘানা রাষ্ট্র ও তৎকালীন ঘানা সাম্রাজ্য অবশ্য এক জায়গা না)। সমৃদ্ধ রাজ্য হওয়ায় এই রাজ্যে ব্যবসা বাণিজ্য উপলক্ষে দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই আসতো।
বিখ্যাত আন্দালুসিয়ান ঐতিহাসিক আল বাকরি এগারো শতাব্দীতে ঘানা সফর করেন।তার মতে, ঘানা অর্থনৈতিকভাবে খুবই উন্নত ছিলো।
ঘানা সাম্রাজ্যের রাজাদের দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার দলিল পাওয়া যায়নি। তবে তারা মুসলিম বণিকদের সাথে নিয়মতি বাণিজ্যক লেনদেন করতো। শহরের একদিকে মুসলমানদের আবাস ছিলো। আর বাকরির মতে, ঘানার রাজধানী দুইটি অংশ নিয়ে গঠিত ছিলো। যার একদিকে থাকতো মুসলিমরা। সেখানে বারোটি মসজিদও ছিলো।
-মুহম্মদ কুররাতুল আইন হায়দার।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












