সম্পাদকীয়-২
বর্তমান বিশ্বে ১৬০টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হয়। এক্ষেত্রে কাঁচামাল আমদানীর পরিবর্তে দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থাসহ যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ওষুধ শিল্পেই একশ বিলিয়নের উপরে আয় করা সম্ভব। ইনশাল্লাহ!
, ১০ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ০৯ মে, ২০২৫ খ্রি:, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
রফতানি বাজারে দেশীয় ওষুধ শিল্প একটি ভালো অবস্থান দখল করে আছে। এর মূলে আছে ওষুধের মান, আধুনিক যন্ত্রপাতি, সুদক্ষ জনবল এবং তাদের প্রজ্ঞা ও জ্ঞানসমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা। এটি গর্বের বিষয় যে বাংলাদেশ প্রস্তুতকৃত ওষুধগুলো মানের দিক থেকে অনেক উন্নত। আর সে কারণেই আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্সের মতো উন্নত দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রফতানি হয়। এটি বাংলাদেশের বিরাট সফলতা।
বাংলাদেশ এখন কেবল ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ সাসপেনশনে সীমাবদ্ধ নয়। উন্নত প্রযুক্তি, আধুনিক কলাকৌশল এবং যন্ত্রপাতির কল্যাণে ড্রাই-পাউডার সিরাপ, ড্রাই-পাউডার ইনহেলার, প্রি-ফিল্ড ইনজেকশন, লায়োফিলাইজড ইনজেকশন তৈরি হচ্ছে এবং একই সঙ্গে পরিমিত পরিসরে তৈরি হচ্ছে ভ্যাকসিনস, অ্যান্টি ক্যান্সার ড্রাগ, বায়ো সিমিলার প্রডাক্ট, হরমোনাল ওষুধপণ্য, ওষুধের সক্রিয় উপাদানসহ (এপিআই) প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম জৈব পণ্য। এ-জাতীয় ওষুধ ও ঔষধীয় পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ অবশ্যই জাতীয় অর্থনীতিকে শক্ত করছে। কেননা তা না হলে হয়তো এ-জাতীয় ওষুধ ও ঔষধীয় পণ্যের আমদানি খাতে পূর্ববর্তী সময়ের মতো ব্যাপক বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হতো।
এত সাফল্য-অর্জন সত্ত্বেও আমাদের বড় সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতা হলো ওষুধের কাঁচামাল বেশিরভাগই আমদানি করে আনতে হয়। বর্তমানে কমবেশি পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি পরিমাণে ওষুধের কাঁচামাল বা অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট (এপিআই) বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কিন্তু ডলার সংকটসহ নানা কারণে এপিআই আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়। ফলে জীবন রক্ষাকারী অনেক ওষুধের উৎপাদন বিঘিœত হয়ে থাকে।
ওষুধের কাঁচামাল তৈরি করে চীন ও ভারত। এসব দেশে থেকেই আমরা কাঁচামাল তৈরির উপকরণ আমদানি করছি। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি দামে এসব উপকরণ বিক্রি করছে। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমাদের উৎপাদকরা পারছে না। ওষুধের কাঁচামাল তৈরির জন্য ৪৯ সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এসব সংস্থার অনুমোদন নিতে ছয় মাসের বেশি সময় চলে যায়। এরপর কাঁচামাল উৎপাদনের জন্য ৫০০ টন উপকরণ প্রয়োজন হলেও আমদানির অনুমোদন মেলে ১০০ টনের মতো। এ ছাড়া ওষুধের কাঁচামাল তৈরিতে আলাদা আলাদা মেশিন প্রয়োজন হয়। এই যন্ত্রের দাম অনেক। এসব সমস্যা যতদিন আমরা সমাধান না করতে পারবো ততক্ষণ ওষুধের কাঁচামাল শিল্প হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
এর পাশাপাশি রপ্তানিসংক্রান্ত প্রক্রিয়াগুলি আরো সহজতর করতে হবে। এই সংক্রান্ত পণ্যের ক্লিনিক্যাল গবেষণার জন্য আমাদের কোনো সংস্থা নাই। এই ক্ষেত্রে আমরা এখনো প্রতিবেশী ভারতের উপর নির্ভরশীল। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হইলে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তখন পেটেন্টকৃত ঔষধ উৎপাদনে ছাড়া সুবিধা পাওয়া যাবে না। এই সকল সীমাবদ্ধতার কথাও চিন্তা করিতে হইবে। সরকার এই শিল্পের উন্নয়নে একটি এপিআই পার্ক তৈরি করিয়াছে। এই পার্কে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে কারখানা স্থাপন করেছে; কিন্তু গ্যাসের অভাবে কারখানাগুলি চালু করা যাইতেছে না। আবার বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত সরকারি মান যাচাইকারী ল্যাবরেটরিও নেই বলে জানা যায়।
এখন উপরিউক্ত প্রতিবন্ধকতাগুলি মোকাবিলার প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের ঔষধের বাজার আরো বাড়িবে নিঃসন্দেহে। এই শিল্পকে উন্নতি সাধনে গবেষণার পরিধি আরো বাড়াইতে হইবে। কেননা যেই সকল দেশের গবেষণা যত উন্নত, সেই সকল দেশে শিল্পের প্রসার তত অধিক। বিশ্বের উন্নত দেশগুলি প্রতি বছর গড়ে ১৩৫ বিলিয়ন ডলার গবেষণা খাতে ব্যয় করিয়া থাকে। তাহা ছাড়া বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ঔষধ রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু আইনি ও নীতিগত বাধা রহিয়াছে। রহিয়াছে দক্ষ মানবসম্পদের অভাব। এই সকল বাধাও দূর করিতে এখন সচেষ্ট হইতে হইবে।
বর্তমানে বিশ্বে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঔষধের বাজার রয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে আসিয়া বিশ্বে এ শিল্প ব্যাপক প্রসার ও অগ্রগতি লাভ করছে। তাই ভারত ও চীনের পাশাপাশি বাংলাদেশও এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে ১০০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি বাণিজ্য উন্নীত হতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন ঔষধশিল্প খাতকে পর্যাপ্ত গুরুত্ব দেয়া বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলি দূর করা।
কাঁচামাল আমদানি, বন্ধ করে কাঁচামালের উৎপাদন দেশেই করে অবকাশসহ দরকারি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে, ওষুধের সুনাম ও সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে কম সময়ের মধ্যেই এ বাজার ধরা সম্ভব ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিলো। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












