সম্পাদকীয় (২)
বর্ষায় তথা পানিবদ্ধ এলাকায় নতূন রহমত ভাসমান সবজি দেশের ৪৫ লাখ হেক্টর পানিতে ভাসমান সবজি চাষ করে বৈপ্লবিক সমৃদ্ধি আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
, ০৬ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ১৩ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার তথা সারা দেশে লাখ লাখ হেক্টর নিচু জমি কচুরিপানা এবং অন্যান্য পানিজউদ্ভিদসহ পানিতে বন্দি থাকে। কিন্তু পানিবদ্ধতা আর কচুরিপানা অভিশাপ হিসেবে মনে করা হলেও, এখন আর তা নয়। বাস্তবসম্মত কৌশলগত চাষের কারণে পরিণত হয়েছে ব্যাপক রহমতে। তথ্যাদি অনুযায়ী, এই ভাসমান সবজি কমবেশি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
এর জনপ্রিয়তা ও আর্থিক দিক দিয়ে গ্রহণযোগ্যতার সারণি ধরে বাংলাদেশের সবজি চাষকে স্বীকৃতি দিয়েছে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (জাতিসংঘ)।
এই চাষ সামনে রেখে আষাঢ় মাসে কচুরিপানা সংগ্রহ করে স্তূপ করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে পানিভূমিতে কচুরিপানাসহ পর্যায়ক্রমে শ্যাওলা, দুলালীলতা, টোপাপানা, কুটিপানা, কলমিলতা ও নানা পানিজ লতা স্তরে স্তরে সাজিয়ে ২ থেকে ৩ ফুট পুরু করে ধাপ বা ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়। আর ধাপ দ্রুত পচানোর জন্যও সামান্য পরিমাণ ইউরিয়া সার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ ধাপ চাষের উপযোগী করতে ৭ থেকে ১০ দিন ধরে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রাখতে হয়।
আর এভাবে সারা বছরের প্রয়োজনীয় জোগান নিশ্চিত করে রাখা হয়। একেকটি ভাসমান ধাপ ৫০ থেকে ৬০ মিটার লম্বা ও দেড় মিটার প্রশস্ত এবং ১ মিটারের কাছাকাছি পুরু থাকে। এভাবে উঁচু বীজতলা তৈরি করে তার উপর কচুরিপানা ও বর্ণিত পানিজ উদ্ভিদ স্তরে স্তরে সাজিয়ে নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়া ও ক্ষুদ্রাকৃতির বিভিন্ন ধরনের পানিজ উদ্ভিদ পচিয়ে বীজতলার উপর ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং এখানে বীজ বপন করে উৎপাদন করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সবজি।
চাষী আব্দুর রহিম বলেন, ‘এবার ১০টি বেডে সবজি চাষ করেছি। বেড তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। ৬০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছি। এখন ৭০-৮০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতে পারব। ’
এক দশক আগে ভাসমান বেডে সবজি ও চারা উৎপাদন হতো মাত্র ৫০ থেকে ৭০ হাজার টন। এখন তা দেড় লাখ টন অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে বরিশাল ও পিরোজপুরের ‘মডেল’ দেশের ২৪টি জেলায় সম্প্রসারিত করা হয়েছে। এটা সত্য যে, বর্ষা মৌসুমে, বিশেষ করে কোনো এলাকা বন্যাকবলিত হলে, সেক্ষেত্রে সবজি ও চারার বড় অবলম্বন হলো ভাসমান চাষ পদ্ধতি। মজার ব্যাপার হলো, ঢাকা রাজধানীর সমুদয় ছাদবাগানের বাহারি চারার জোগান আসে এ এলাকা থেকে। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে, দেশের ৪৫ লাখ হেক্টর স্থান পানির মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ জমিতে যদি ভাসমান সবজির আবাদ করা যায়, তাহলে দেশের সবজি ও মসলা উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব। এদিকে পরিবর্তিত পানিবায়ুর ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ও সহায়ক হলো এই ভাসমান সবজি চাষ। তা ছাড়া বন্যা, ঝড় ও পানিচ্ছ্বাসেও তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। আর যদি সেইভাবে উদ্যোগ নেওয়া যায়, তাহলে এখনকার উৎপাদিত চারা আশপাশের দেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হতে পারে। তা ছাড়া ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে। এই কারণে আগের অনাবাদি জমির মূল্য ও কদর বেড়েছে। এ ব্যাপারে উল্লেখ্য যে, সংশ্লিষ্ট চাষিরা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার পাশাপাশি অন্যদেরও প্রকারান্তরে স্বাবলম্বী করার পথ খুলে দিয়েছেন। কেননা সবজি ও চারা কেনা-বেচা এবং পরিবহনের সুবাদে কয়েক লাখ লোকের জীবিকার পথ সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, সৌন্দর্যের দিক দিয়েও কম নয়। সারি সারি এসব ভাসমান ধাপের অপরূপ সৌন্দর্য বাঙালির মনে বাড়তি হিল্লোল বয়ে আনছে বললে অত্যুক্তি হবে না।
পরিবেশবান্ধব ভাসমান সবজি প্রযুক্তি আমাদের নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়ের দেশে সত্যি আশীর্বাদস্বরূপ এবং আগামী দিনের আলোকবর্তিকা। তাই এই পটেনশিয়াল কার্যক্রমকে আরও প্রসার এবং অর্থবহ করে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পর্যায়ের লোকদের অংশীদারত্বের আদলে বিভিন্ন আঙ্গিকে তৎপরসহ এগিয়ে আসতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ফুটপাতের প্রান্তিক হকারদের কাছ থেকে অসৎ ও লুটেরা মহল প্রতি মাসে চাঁদা আদায় করছে শত শত কোটি টাকা; অথচ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ অর্থ দিয়ে বারবার উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসন সম্ভব; অন্যদিকে এই অর্থ যোগ হতে পারে জাতীয় অর্থনীতিতেও। সরকারের আশু নজর কাম্য।
২৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রবীণরা অপুষ্টি, রোগ-ব্যাধি, মানসিক অবসাদ ও একাকিত্বে ভূগছে। প্রবীণরা বোঝা নয় বরং বড় সম্পদ রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে প্রবীণদের সুরক্ষা ও সেবা দিতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিগত সরকারগুলোর মত কথিত অন্তর্বর্তী সরকারও দেশের পতিত জমির দিকে নজর দিচ্ছে না অথচ প্রায় ১ কোটি ৫৩ লাখ ৫৫ হাজার শতক পতিত জমি আবাদের আওতায় এনে দেশকে মহা সমৃদ্ধ করা যায় যতদিন খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা না হবে ততদিন এসব নিয়ামত অধরাই থেকে যাবে (নাউযুবিল্লাহ)
২৩ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এখনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
২৩ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
২২ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাজারের ৯৮ ভাগ শাকসবজি ও ৭০ ভাগ খাবারে কীটনাশক ডিজিটাল বা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাইলে আগে স্মার্ট খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে
২২ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরো সোনালী সমৃদ্ধি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দৈনন্দিন ৩২ বার পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করলেও মুসলমান কি পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ শুধু পাঠের মধ্যেই আবদ্ধ থাকবে? ফিকির আর আমল কী অধরাই থাকবে?
২০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ নামের ভয়ঙ্কর ড্রাগ আতঙ্কে সারাদেশ একান্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ তৎপরতা এবং জনগণের সচেতনতা দরকার
২০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মূলতঃ এদেশের শিশু মৃত্যু বাড়িয়ে ও প্রতিবন্ধী তৈরি করে, যা মুসলিম জনসংখ্যার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে যুৎপতভাবে এ বিষয়ে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
১০ বর্গকিলোমিটার নারিকেল দ্বীপ রক্ষায় মিথ্যার বেসাতির বিপরীতে ৩ লাখ একর বেদখল বনভূমির প্রতি নিষ্ক্রীয় দর্শকের ভূমিকা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে সাংঘর্ষিক শহীদদের সাথে প্রতারণা পরিবেশ উপদেষ্টার সম্যক উপলব্ধি প্রয়োজন।
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)